বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবকের ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহতের নাম ইউনুছ (২৫)। সে কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রের এজাহার হোসেনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তুমব্রু পশ্চিমকুল লালকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিমকুল সীমান্তের লালকান্দা এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য মিয়ানমারে পাচারের সময় উল্টো পথে যাবার সময়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মীর পুঁতে রাখা ল্যান্ড মাইন বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে রোহিঙ্গা যুবক ইউনুছের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সীমান্তের বাসিন্দাদের দাবি, মিয়ানমার থেকে চোরাই পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসা এবং এদেশ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের পাচারের সঙ্গে একটি চোরাচালান চক্র সক্রিয় রয়েছে সীমান্ত এলাকায়। চক্রটির সঙ্গে আশ্রয় কেন্দ্রের রোহিঙ্গারা জড়িত। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল বলেন, সীমান্ত পথে অবৈধভাবে পণ্য চোরাচালানের সময়ে মাইন বিস্ফোরণে বৃহস্পতিবার রাতে এক রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সীমান্তপথে চোরাচালানের সময়ে গত বুধবার (২৫ জুন) জারুলিয়াছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া (২৫) এক বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়। সে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীকাটা গ্রামের বাসিন্দা সাবের মিয়ার ছেলে। এরআগে ২২ জুন জামছড়ি সীমান্তে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে আরাফাতুর রহমান (২২) নামে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সীমান্তপথে মিয়ানমার থেকে চোরাই পণ্য আনতে গিয়েই অধিকাংশ সময়ে মাইন বিস্ফোরণে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে চোরাচালানে স্থানীয় বাংলাদেশি যুবকেরাও জড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিজিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।