আগামীকাল শ্রীলংকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। তাই গতকাল শুক্রবার ক্রিকেটার, কোচিং ও সাপোর্টিং স্টাফদের যে করোনা টেস্ট করানোর কথা ছিল সেটাও হয়নি। করোনা ইস্যুতে লংকান সরকার, তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর পরিচালনায় টাস্কফোর্স কঠোর অবস্থানে। শ্রীলংকায় কোনো ভিনদেশি নামার সাথে সাথে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা বাধ্যতামূলক। সেখানে বিসিবির ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ টিকবে কিনা তা নিয়ে আছে বড় সংশয়। করোনার কারণে ও কোয়ারেন্টাইন ঝামেলায় টাইগারদের শ্রীলংকা যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তাই শ্রীলংকা সফর না হলে ক্রিকেটারদের খেলার ভেতরে রাখতে তিন দলের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা আছে বিসিবির। একটি তিন দলের টুর্নামেন্ট করার কথা ভাবা হচ্ছে । আর সেটি হবে জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ক্রিকেটার এবং এইচপির বহর থেকে ক্রিকেটারদের নিয়ে। বিসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে ১২ ক্লাবকে নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করা সম্ভব নয়। কারণ প্রিমিয়ার লিগে ১২ দলে ক্রিকেটার, কোচ, কোচিং–সাপোর্টিং স্টাফ আর কর্মকর্তা মিলে গড়পড়তা ২০ জনের বহর। করোনার মধ্যে এত মানুষকে কি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাখা হবে? সেটা অসম্ভব ব্যাপার। তাই জাতীয় দল, ‘এ’ দল ও এইচপির বহর থেকে তিন দল করে বিকেএসপিতে একসঙ্গে রেখে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের চিন্তা করছে বিসিবি।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান এবং প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান করোনার ভেতরে সবকিছু ম্যানেজ করে ১২ দলকে নিয়ে খেলা সম্ভব না। তাই শ্রীলংকা সফর না হলে আমরা তিন থেকে চার দলের অংশগ্রহণে একটা টুর্নামেন্ট করার কথা ভাবছি। বিকেএসপই সে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাব্য ভেন্যু। সেখানে তিন থেকে চার দলকে একসাথে রাখা যাবে। বিকেএসপিতেতো যুব দলের ৪৫–৪৬ জন ক্রিকেটার একসাথে থেকেছে।
অনুশীলনের পর তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে ফেললো। কাজেই বিকেএসপিতে আয়োজন করলে সব ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফ একই কমপ্লেক্সে থেকে খেলতেও পারবে।