নগরে ৮ লাখ ২৯ হাজার শিশুকে দেওয়া হবে টাইফয়েড টিকা : মেয়র

‘চট্টগ্রাম শহর হবে টাইফয়েড মুক্ত নিরাপদ নগরী’

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম শহর হোক টাইফয়েড মুক্ত নিরাপদ নগরীএমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু এবং প্রাকপ্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হবে এই ক্যাম্পেইনে। স্কুল পর্যায়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলবে। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান থাকবে, এ টিকা পেতে প্রয়োজন জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য (১৭ ডিজিট) দিয়ে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করুন।

তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে লালদীঘি পাড়ে চসিক পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অ্যাডভোকেসি সভা ও সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোঅর্ডিনেটর ডা. ইমন প্রু মারমা, ডা. সরোয়ার আলম, ডা. হোসনে আরা ও ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী।

ডা. শাহাদাত বলেন, সচেতন অনেক অভিভাবক ব্যক্তিগতভাবে তাদের শিশুকে টাইফয়েডএর টিকা দিয়ে থাকেন। ব্যক্তিগতভাবে কিনে এই ভ্যাকসিন দিতে গেলে চৌদ্দশত টাকা খরচ হয়। কিন্তু কাম্পেইনএ আমরা শিশুদের এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিচ্ছি। টাইফয়েড প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল টিকা গ্রহণ। তাই নগরের প্রতিটি শিশু যেন বিনামূল্যে এই টিকা গ্রহণ করে, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান, নগরের ১ হাজার ৫৪৬টি স্কুল ও ৭৮৩টি আউট রিচ সাইডে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩০১ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৩১ হাজার ১৬৭ জন, স্কুল বহির্ভূত শিশু ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৪ জন। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২ লাখ ৮ হাজার ২৬৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, স্কুলের ১ লাখ ৬০ হাজার ১৪৮ জন (৩০ শতাংশ) এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ৪৮ হাজার ১১৯ জন (১৬ শতাংশ) ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করেছে। মেয়র বলেন, www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।

ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগ টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনে ৫৫ শতাংশ নিবন্ধন করে প্রথম স্থানে আছে। বাকিদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে সক্ষম হব আশাকরি। মা মাটি দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে ৫ কোটি শিশুকে বাঁচাতে হবে।

ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৫ কোটি সোনামণিকে টাইফয়েড টিকার আওতায় আনতে পারব। যে রোগে দেশে ৬ হাজার শিশু মারা যায়। চট্টগ্রাম জেলায় ৬০ শতাংশ নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দিকে কম সাড়া পেলেও সব শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।

ডা. ইমন প্রু মারমা বলেন, সরকারি ভ্যাকসিন সঠিক তাপমাত্রায় রাখা হয়। তাই এ টিকার গুণগতমান বেশি। যারা আগে প্রাইভেটলি টাইফয়েড টিকা নিয়েছে তারাও টিকা নিতে পারবে ক্যাম্পেইনে। টাইফয়েড টিকা নিরাপদ, প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। টাইফয়েড টিকা নিবন্ধন নাগরিক সুবিধার অংশ হিসেবে কাজ করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমাদের অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী
পরবর্তী নিবন্ধগুমের অভিযোগ আমলে, হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা