নগরে বইমেলা হচ্ছে

মেয়রের সভাপতিত্বে আজ প্রস্তুতি সভা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২ মার্চ, ২০২১ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে নগরে বইমেলা করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। প্রাথমিকভাবে ১৫ দিন ব্যাপী বইমেলা করার পরিকল্পনা আছে সংস্থাটির। গত দুই বারের মত এবারো এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠেই বইমেলা করতে চায় চসিক। তবে কবে মেলা শুরু হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ মঙ্গলবার আন্দরকিল্লাস্থ নগর ভবনে লেখক ও প্রকাশকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজাদীতে ‘নগরে এবার বইমেলা হবে?’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের আগ্রহ থাকলেও বইমেলা করার বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের নীরবতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি দেখে মেয়র চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বইমেলা করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দেন। এর প্রেক্ষিতেই আজকে মতবিনিময় সভা আহ্বান করা হয়েছে। এতে লেখক, প্রকাশক, প্রকাশনা সংস্থা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া দৈনিক আজাদীকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বইমেলার বিষয়ে প্রস্তুতি সভা হবে। মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করবেন। প্রাথমিকভাবে আমরা ১৫ দিন ব্যাপী বইমেলা করার পরিকল্পনা করেছি। তারপরও সবার মতামতের প্রেক্ষিতে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এছাড়া ঢাকায় ১৮ মার্চ মেলা শুরু হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা ওইদিন শুরু করতে না পারলেও কাছাকাছি সময়ে শুরু করার চিন্তা-ভাবনা করছি। মেলার স্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্বের মত এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে করার পরিকল্পনা আছে। কাল (আজ) সকালে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের সঙ্গে কথা বলব। যে সময়ে আমরা মেলা করতে চাচ্ছি ওই সময়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোনো অনুষ্ঠান আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। যদি থাকে তাহলে তারিখ হয়তো এদিক-ওদিক হবে।
প্রসঙ্গত, একসময় ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে কমপক্ষে তিনটি বইমেলার আয়োজন করতো বিভিন্ন সংস্থা এবং সংগঠন। এতে বিভ্রান্ত হতেন পাঠক এবং দর্শণার্থীরা। ফলে সেগুলো সত্যিকারের বইমেলা হয়ে উঠেনি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে তৎকালীন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের উদ্যোগে শুরু হয় অভিন্ন বইমেলা। যার ধারাবাহিকতা ছিল ২০২০ সালেও। এ দু’বার মেলা শুরু হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। সিটি কর্পোরেশন আয়োজন করলেও চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্য শিল্প-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরাই সম্মিলিতভাবে মেলা বাস্তবায়ন করে। ২০১৯ সালে ২১ দিনে (প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মেলার সময় দুইদিন বেড়েছিল) আনুমানিক সাড়ে ১৩ কোটি টাকা এবং ২০২০ সালে ২০ দিনে বিক্রি হয় ১৮ কোটি টাকার বই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদারবাড়ি ও সীতাকুণ্ডে ছাদ থেকে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধবিদেশিদের উদ্বেগ ‘তাজ্জবের’ ব্যাপার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী