করোনাকালীন সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আপনজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নগরী ছাড়ছে মানুষ। ধীরে ধীরে কোলাহলহীন হয়ে পড়ছে নগরী। মানুষের সঙ্গে সঙ্গে কমছে যানবাহনও।
ঈদের ছুটিতে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা না করলেও নগরী নিরাপত্তার চাদরে জড়ানো থাকবে বলে জানিয়েছে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে নিরাপত্তা বিষয়ে আমরা বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নগরীর ১৬ থানার পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু করোনার সময়, তাই বাইরে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করা হবে। সেজন্য ঈদের নামাজ চলাকালীন মসজিদকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
তিনি বলেন, এরপর নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি টহলের পাশাপাশি আবাসিক এলাকাগুলোতেও পুলিশি টহল বাড়িয়ে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত হবে এরা। ফাঁকা বাসা-বাড়ির ওপর পুলিশের আলাদা নজরদারি থাকবে। এছাড়া বাড়ির মালিকদের ঈদের এই সময়ে ভাড়াটিয়াদের বাসাগুলো দেখভাল করার জন্য সিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এডিসি রউফ বলেন, ঈদের ছুটিতে আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছি না। বড় কোনো অপরাধী নগরীতে ঢুকতে পারবে না। তাই আশা করছি নগরী শান্তই থাকবে। ঈদের ছুটির কারণে নগরী ফাঁকা পেয়ে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাইকারীরা যাতে বেপরোয়া হয়ে উঠতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। সিএমপির প্রতিটি থানা এলাকায় নিয়মিত টিমের পাশাপাশি অতিরিক্ত টিম নামানো হয়েছে। মোবাইল টিম, ফুট পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ঈদের ছুটিতে এরা এলাকায় নিয়োজিত থাকবে।
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভল্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছে সিএমপি। সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) শামসুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নগরীতে অবস্থিত সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকদের এ অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি (শবে কদর ও ঈদুল ফিতর) উপলক্ষে ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ছুটি চলাকালীন যাতে কোনো চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী বা যেকোনো দুষ্কৃতকারী ব্যক্তি ব্যাংকের টাকা চুরি/লুণ্ঠনসহ জানমালের ক্ষতি সাধন করতে না পারে সে লক্ষ্যে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
অনুরোধের মধ্যে রয়েছে, ১. ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ২. ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা যাতে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সেটি নিশ্চিত করা, ৩. স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন অফিসার পালাভিত্তিক নিয়োগ করে দিনে-রাতে ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা, ৪. ব্যাংকের ভল্টের অবস্থানের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার কাভারেজের ব্যবস্থা করা ও ভল্টের চারপাশে নিয়মিত পরিদর্শন করে সন্দেহজনক কোনো বিষয় নজরে এলে তা নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করা, ৫. ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে নিকটতম থানা পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করা।