নগরের মহেশখালে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের আওতায় স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হলেও পার্শ্ববর্তী পোস্ট অফিস খালে কোনো স্লুইচ গেট নেই। তাই ৩৮ নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় জলাবদ্ধতা হয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন। তারা পোস্ট অফিস খালে স্লুইচ গেট নির্মাণের পাশাপাশি ড্রেনেজ ও ড্রেজিং সিস্টেম সমপ্রসারণের দাবি করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে। গতকাল সোমবার মেয়র ওয়ার্ডটিতে চসিকের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনে গেলে এ দাবি করা হয়। এসময় স্থানীয়দের দাবি আমলে নিয়ে প্রকৌশল বিভাগকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেন মেয়র।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে চসিকের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র। ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ, ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা, ৩৮ নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর এবং ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড। পরিদর্শনকালে মেয়র স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। শুনেন তাদের সমস্যার কথা। এসময় সমস্যাগুলো সমাধানে আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের সাথে তাল মেলাতে নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নতুন নির্মিত রাস্তায় আলোকায়ন করা হবে। এসময় মেয়র চলমান কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য চসিকের প্রকৌশল বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
মেয়র দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে গেলে স্থানীয় ওয়াহিদুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে এলাকাবাসী জানান, পতেঙ্গা এলাকার অলি–গলিতেও এখন পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী সরকার ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট। এসময় মেয়র জানান, নতুন যেসব এলাকায় রাস্তা করা হয়েছে সেসব এলাকায় আলোকায়নের ব্যবস্থা করা হবে।
গোসাইলডাঙ্গায় স্থানীয় কাউন্সিলর মো. মোর্শেদ আলী ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফেরদৌসী আকবর গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের হাল–নাগাদ মেয়রের কাছে উপস্থাপন করেন। তারা ওই এলাকায় একটি কবরস্থান নির্মাণের দাবি করেন মেয়রের কাছে। তখন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
পরিদর্শনকালে ২৪নং ওয়ার্ডস্থ কর্ণফুলী মার্কেট দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৪০ বছরে প্রথমবারের মতো এ বাজারের অন্যতম ঘাটতি ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে তুলতে চসিকের অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর পাশাপাশি বাজারের ক্রেতা–বিক্রেতারা উপকৃত হবেন ফলে এ বাজারটির আর্থিক সমপ্রসারণ হবে। এরপর পার্শ্ববর্তী চসিকের অর্থায়নে নবনির্মিত বেপারিপাড়া সিটি কর্পোরেশন কাঁচাবাজার পরিদর্শনকালে এলাকাবাসীর বিভিন্ন দাবি ও অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হন মেয়র। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম ও কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, আশিকুল ইসলাম, আনোয়ার জাহান, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান, উপ–সহকারী প্রকৌশলী মো. আলী।