নগরের উন্নয়নকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে কাজ করছি : মেয়র

দায়িত্বগ্রহণের তিন বছর পূর্তিতে তুলে ধরলেন সাফল্য, চাইলেন সহযোগিতা বললেন হকারদের জন্য হলিডে মার্কেট, বিপ্লব উদ্যান এবং জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গেও

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

নগরের উন্নয়নকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারের কিছু কিছু শুরু করেছি। কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দিন শেষে হয়ত অনেক কাজ শেষ করা যাবে না। তবে সূচনা করে যাব। আমি না থাকতে পারি, কিন্তু কোনো কাজ সূচনা করে গেলে কেউ না কেউ এসে তা ভবিষ্যতে শেষ করবেন। এই নগরের উন্নয়নকে একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারি, সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। দায়িত্বগ্রহণের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মেয়র। টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় দায়িত্ব পালনকালে গত তিন বছরে সড়ক যোগাযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়কবাতি স্থাপন, নগরপরিকল্পনা এবং পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের উন্নয়নে বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন।

জানা গেছে, ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জানুয়ারি চসিকের ষষ্ঠ পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন রেজাউল করিম চৌধুরী। ১১ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন তিনি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণ করেন ১৫ ফেব্রুয়ারি। সে দায়িত্বগ্রহণের তিন বছর পূরণ হল আজ বৃহস্পতিবার।

সাফল্য : মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল ৩৭ দফা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি। এর বাইরে জনসংযোগকালেও দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তাই তিন বছর পূর্তিতে এসে মেয়রের কাছে প্রশ্ন ছিল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন? উত্তরে মেয়র বলেন, এখনো দুই বছর সময় আছে। ইশতেহারের কিছু কিছু শুরু করেছি। কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমি তো সূচনা করছি। পদক্ষেপ নিচ্ছি। যদি পদক্ষেপই না নিতাম তখন দোষারোপ করতে পারবেন। আমি অগ্রসর হচ্ছি। সবাই যদি আমাকে সমর্থন দেন তাহলে সাফল্য আসবে। আমি উদ্যোগ নিচ্ছি। ভুল করলে শুধরে দিবেন।

এসময় মেয়র ফুটপাত দখলমুক্ত করে মানুষের হাঁটার উপযোগী করা, চসিকের সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা দেনা পরিশোধ, অসন্তোষ দূর করে সহনীয়ভাবে গৃহকর আদায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়নকে নিজের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেন। এছাড়া যানজট নিরসনে ৩৮ ফুটওভার ব্রিজ ও দুটি মোড়ে আন্ডারপাস নির্মাণ, নগর ভবন নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আন্ডারগ্রাউন্ড এসটিএস নির্মাণে গৃহীত উদ্যোগকে সাফল্য হিসেবে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ইশতেহার অনুযায়ী নারী উদ্যোক্তা ও বস্তিবাসীর জন্য কাজ করছি। প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাসযোগ্য নান্দনিক নগর প্রতিষ্ঠার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়ে আমি গত তিন বছর দায়িত্বপালন করেছি। প্রায় ১১০০ কোটি টাকা দেনা নিয়ে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি। গত তিন বছরে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ শোধ করা হয়েছে। পরিশোধ করা হয়েছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল এবং ঠিকাদারদের পাওনা। দায়িত্ব নিয়ে দেখি কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি। আমার তিন বছরে এক টাকাও বিল, সরকারি ভ্যাটট্যাঙ বাকি নেই। এখনও যা বাকি আছে, তা অতীতের।

সবার সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র : শহরকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন রেজাউল করিম চৌধুরী। বলেন, শহরটা শুধু মেয়রের নয়। সবকিছু যদি মেয়রের উপর চাপিয়ে দেন তাহলে, আমার ঘাড়টা নিচের দিকে ভেঙে পড়বে। তাই সবার সহযোগিতা লাগবে। প্রশাসন, সাংবাদিক, সাধারণ পাবলিক সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেমন ফুটপাত দখলমুক্ত করছি সেখানে সবাই হাঁটবে। তাই সবাই যদি এগিয়ে আসে কিছুই অসফল হতে পারে না। আপনারা চুপ করে থাকলে আমি একা কী করব।

এসময় চট্টগ্রাম শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে মন্তব্য করে বলেন, অতীতে কোনো একজন মেয়রের চোখে যেটা সুন্দর মনে হয়েছে, সেটা করেছেন। আরেকজন মনে করেছে অন্যভাবে সুন্দর, সেটাও করেছেন। কিন্তু মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করা হয়নি। হলে আজ শহরের এ দুর্দশা হত না।

উন্নয়নের ফিরিস্তি : মেয়র বলেন, পর্যায়ক্রমে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে সৌন্দর্যবর্ধন করে নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়া হবে। চট্টগ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ পিসি রোডের কাজ শেষ করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আমার মেয়াদেই সব কাঁচা সড়ককে পাকা করার লক্ষ্যে কাজ করছি। পতেঙ্গা টানেল এলাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে দৃষ্টিনন্দন সড়ক নির্মাণ ও এয়ারপোর্টের প্রবেশমুখে বিশ্বের ২য় বঙ্গবন্ধুর ভ্যাটিক্যাল ম্যুরাল নির্মাণ করেছি। জংশনগুলোতে শৃঙ্খলা আনতে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে ‘ইন্টারসেকশন ডেভেলপেন্ট’ ও পে পার্কিং সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকায় চসিকের জমিতে টার্ফ খেলার মাঠ সংস্কার করা হচ্ছে। হালিশহর বি ব্লকে খেলার মাঠ সংস্কার করা হচ্ছে। আগ্রাবাদ বেপারীপাড়া কাঁচা বাজারের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। মোহাম্মদপুর ফ্লাইওভারের নিচে দৃষ্টিনন্দন জানাজার স্থান নির্মাণ করা হয়েছে। শহরের মূল সড়কের বিভিন্ন মোড়ে দৃষ্টিনন্দন গোলচত্বর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সড়কের মিড আইল্যান্ড আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

মেয়র বলেন, শহরের প্রধান সড়কগুলোকে আলোকিত ২৬১ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। নগরের একাধিক প্রধান সড়কে স্থাপন করা হয়েছে নৌকার আদলে বাতি। নগর পরিকল্পনার বিভাগের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মেয়র বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আনুমানিক ৫০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছি। আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন। প্লাস্টিক সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লক্ষ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। ৯নং ওয়ার্ডে ২৮ কাঠা জায়গায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। শহরের পকেট ল্যান্ডগুলোতে শিশুপার্ক করা হচ্ছে। তাছাড়া, জোড়া দীঘি, বলুয়ার দীঘিসহ কয়েকটি দীঘি রেলওয়ে থেকে নিয়ে সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

মেয়র ফইল্যাতলী কাঁচা বাজার কিচেন মার্কেট ভেঙে আধুনিকভাবে নির্মাণ, দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকা চসিক রহমতগঞ্জস্থ বহুতল ভবন সংস্কার, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় চসিকের পরিত্যক্ত জায়গায় জাইকার অর্থায়নে পাঁচ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, পুরাতন জরাজীর্ণ গণশৌচাগারসমূহ আধুনিকায়ন করে নগরবাসীর জন্য চালু করা হয়েছেও বলেও জানান। তিনি বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন স্থিত কাঁচা বাজারগুলো আধুনিক কিচেন মার্কেটে পরিণত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেঙের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ পুনরায় শুরু করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আন্দরকিল্লায় ২০ তলা নতুন নগর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম ধাপে ২৭ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। নিজস্ব ফান্ড থেকে করছি। আমার মেয়াদে পুরোটা না হলেও ৭৮ তলা শেষ করতে পারব।

হকারদের জন্য হলিডে মার্কেট : মেয়র বলেন, আমি আগেও বলেছি, হকারদের জন্য হলিডে মার্কেট করে দিব। সেখানে তারা শুক্রশনিবার ব্যবসা করবেন। তিনি বলেন, শত বাধা উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে নিউমার্কেট মোড়ের নালা, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করেছি। এই ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব প্রতিপত্তি ইনফ্লুয়েন্স আমাকে থামাতে পারবে না। নাগরিকদের মধ্যে থেকে একটাই দাবি উঠেছে, হকার মুক্ত ফুটপাত চাই। চলাচলের জন্য ফুটপাত চাই। ফুটপাত সাধারণ মানুষের হাঁটার জন্য। ফুটপাত কাঁচা বাজার, মাছ বাজার আর কাপড়ের বাজার বসানোর জন্য নয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদ অভিযানে হামলার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এত দুঃসাহস তারা পায় কোথায়? আমরা দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছি।

বিপ্লব উদ্যান প্রসঙ্গ : বিপ্লব উদ্যান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বিপ্লব উদ্যানে দোকান মালিক সমিতি এলো কোথা থেকে? এই দোকান কি আমি করেছি? আমি না দিলেও সিটি কর্পোরেশন চুক্তি করেছে। চুক্তি থাকলে সেটা আমাকে মানতে হয়। আপনারা বলেন, সেখানে কি আমি দোকান দিয়েছি? আমিও বলি, উদ্যানে দোকান কেন থাকবে? যদি আগে টাকা দেয়া না থাকত, চুক্তি না থাকত আমি দোকান ভেঙে ফেলতাম। এখন উচ্ছেদ করতে হলে তাদের টাকা দিতে হবে। তিনি বলেন, যখন দোকান ভাঙতে গেল তখন তারা মামলা করল। তখন দেখলাম, আমাদের চুক্তি ছিল খুবই দুর্বল। আমি দোকান বন্ধ করার উদ্যোগ নিলাম। কিন্তু এই চুক্তিও করা ছিল। তখন আমি বললাম যে, তাহলে দুই তলা ছেড়ে দিতে হবে। সেখানে আমি মুক্তিযুদ্ধের ও ইতিহাসঐতিহ্যের জাদুঘর করব। তারা বলল কিডজ জোন থাকবে। উন্মুক্ত মঞ্চ থাকবে। ঠিক আছে উদ্যানে বাচ্চাদের জন্য জোন থাকতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য মঞ্চ লাগে। তখন আমি বললাম, দোকান যাতে দেখা না যায় সেজন্য ২০০ ফুট বাই ১৫০ ফুট লালসবুজ বাংলাদেশের পতাকা রাখতে হবে, সেটা হবে অর্কিড দিয়ে। এটা দেশের কোথাও নেই।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : মেয়র বলেন, জনসাধারণের নির্বিঘ্নে ও দূষণমুক্ত পরিবেশে চলাচলের সুবিধার্থে ঝাড়ুর কাজ এবং নালানর্দমা হতে মাটিবালি ইত্যাদি উত্তোলনের কাজের শিডিউল পরিবর্তন করে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। যে কারণে দিনের বেলায় বর্জ্যাদি দৃশ্যমান হয় না এবং চলাচলেও কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয় না। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে শহরকে ছয়টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে এবং মশক নিধন শাখাকে পরিপূর্ণ শাখায় রূপান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রজননক্ষেত্রে মশার ডিম, লার্ভা ধ্বংস করার জন্য পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড থেকে প্রায় দুই লক্ষ লিটার ক্যামিকেল ক্রয়পূর্বক প্রতিটি ওয়ার্ডে মশার বিস্তার রোধে প্রয়োগ করা হয়েছে।

এসময় ডোর টু ডোর আর্বজনা অপসারণে চসিকের নিজস্ব কর্মী বাহিনী থাকার পরেও ঘরবাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্ব পালন ও এ বাবদ তাদের টাকা আদায় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, ঢাকা শহরের সব ওয়ার্ডে আউটসোর্সিং আছে। আমরা অন্য শহরের মত ১৭ বা ২৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাঙ নিই না। অন্য শহরের মত ট্যাঙ নিতে পারলে হয়ত এ টাকা দিতে হত না। যারা ময়লা নিয়ে যায় তারা পরিবার প্রতি ৫০ টাকা হয়ত নিচ্ছে। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে এটুকু দিতেই হবে।

এসময় হোল্ডিং ট্যাঙ এর প্রসঙ্গ টেনে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম শহরে অতীতে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাঙ বিরোধী আন্দোলন হয়েছে। তখন কিভাবে এসেসমেন্ট করে এক লাখ টাকার হোল্ডিং ট্যাঙ ১০১২ লাখ টাকা করা হয়েছিল তা আপনারাই পত্রিকায় লিখেছিলেন। আমি আসার পর করদাতাদের আপত্তি ও আর্থিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে ছয়টি রিভিউ বোর্ড গঠন করি। গণশুনানিতে আমি নিজে উপস্থিত থেকে করদাতাদের চাহিদা মোতাবেক সহনীয় পর্যায়ে কর মূল্যায়ন করা হয়েছে। একারণে নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে গৃহকর পরিশোধ করছেন দাবি করে মেয়র রেজাউল বলেন, নগরবাসীর এ বিষয়ে যে অসন্তোষ ছিল তা প্রশমিত হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে আগের অর্থ বছরের চেয়ে ২০২২২৩ অর্থ বছরে ২৪ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে।

জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গ : নির্বাচনী ইশতেহারের এক নম্বরেই জলাবদ্ধতা নিরসনে মনোযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল মেয়রের। বর্তমানে নগরে সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পের কাজ চললেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলেনি নগরবাসীর। এ বিষয়ে মেয়র বলেন, শহরে ৭২টি খাল ছিল। পরে কমে গিয়ে হয় ৫৭টি। এরমধ্যে ৩৬টি খাল নিয়ে সিডিএ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেখানে হাত দেয়ার সুযোগ আমাদের নেই। উনাদের আমরা সময়ে সময়ে বলি। আমাদের একটা খালবারইপাড়া খাল খননের কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। জমি বুঝিয়ে দেয়ার এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে আমরা খাল দৃশ্যমান করেছি। এই মৌসুমে খালে পানি চলাচল করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, হাজী নুরুল হক, নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পুলক খাস্তগীর, সচিব খালেদ মাহমুদসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফখরুল-খসরুর জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
পরবর্তী নিবন্ধনারী ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজ করবো