নগরীর হারিয়ে যাওয়া ১১৮ খাল পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির বিবৃতি

| মঙ্গলবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

মহানগরীর হারিয়ে যাওয়া প্রায় ১১৮টি খাল পুনরুদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি। গত ২ ফেব্রুয়ারি বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দীন চৌধুরী, কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম নুরুল হক, মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইব্রাহীম, সাংগঠনিক সচিব জিকরুল হাবীব ওয়াহিদ, অর্থ সচিব, লায়ন মুহাম্মদ নুরুল আলম।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি হস্তক্ষেপে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের চারজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব প্রদান করায় সাধুবাদ জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের অনেক পুরোনা সমস্যা। যা নিরসনে ১৯৮৬ সাল থেকে নগরবাসী প্রথমে শত নাগরিক কমিটি, চাক্তাই খাল খনন সংগ্রাম কমিটি, পরবর্তীতে ১৯৮৮ সাল থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে অবস্থান ধর্মঘট, সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও, অবরোধ ও হরতালসহ অদ্যাবধি নানা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে বিগত সরকারের সময়ে গৃহীত মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা, অপরিকল্পিত উদ্যোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়, সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ওয়াসার মাধ্যমে বিগত সরকারের সময়ে নেয়া মেগাপ্রকল্পগুলো দীর্ঘ প্রায় দশ বছরে শেষ করতে না পারাই নগরবাসী তার সুফল ভোগ করতে পারছে না।

এতোবছর পর আবার চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমান সরকারের আন্তরিক উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে চট্টগ্রামবাসী। তজ্জন্য বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টা মণ্ডলীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করে সিএস মূলে নগরীর হারিয়ে যাওয়া প্রায় ১১৮ টি খাল পুনরুদ্ধার করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, খালগুলো দখলমুক্ত করে গভীরভাবে খনন করা, খালের মুখে নির্মাণাধীন স্লুইসগেটগুলো চালু করা, বিজ্ঞান ভিত্তিক সুয়োরেইজ সিস্টেম চালু করা, কর্ণফুলী নদীকে অবৈধ দখল মুক্ত ও দূষণমুক্ত করে নিয়মিত খনন কাজ চালু রাখা কর্ণফুলী নদীর দুই পাশে স্তূপকৃত বালু উত্তোলন করে নদীর প্রশস্থতা রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বমানের নান্দনিক শহর, জলাবদ্ধতামুক্ত পরিছন্ন নগরীতে পরিণত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে ঘোষণা প্রদান করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন পদ্ধতিতে ভিসাসেবা দেবে মার্কিন দূতাবাস
পরবর্তী নিবন্ধওমর আলী মাস্টার