আগামী ১ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হওয়ার পর ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে রেজিস্ট্রেশনের কাজ। ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন ও জেলা নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এবার ১ লাখ ৪৭ হাজার ২১৬জন নতুন ভোটার করার টার্গেট। নগরীতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক এক প্রস্তুতি সভা নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চসিকের পুরাতন নগর ভবনে কে বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করণের কার্যক্রম শুরু করবে। চলবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত। এরই অংশ হিসেবে সিটি এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগরবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য নির্ভূল ভোটার তালিকা প্রণয়ন অপরিহার্য মন্তব্য করে বলেন, তবে কোনো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে ব্যাপারে
জনপ্রতিনিদেরকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, মোবারক আলী, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার কোন বিকল্প নেই। তিনি জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা বিভিন্ন অত্যবশ্যকীয় সনদ প্রদানের সময় রোহিঙ্গাসহ ভিন দেশের নাগরিকদের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার অনুরোধ জানান এবং এই বিষয়ে সিটি মেয়রের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন। চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা একটি বড়ো কাজ। দেশের প্রকৃত যোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার করাটা নির্বাচন কমিশনের যেমন দায়িত্ব-তেমনি জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রতিটি নাগরিকেরও দায়িত্ব। ভোটাররা যেন সঠিক তথ্য দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমকে সহযোগিতা করে।