নগরীর টেরী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারি রিকশা ভাঙচুর করেছে প্যাডেল রিকশা চালক ও সিএনজি চালকেরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১ টায় টেরীবাজার এলাকায় প্যাডেল চালিত রিকশা চালকরা একজোট হয়ে ব্যাটারি রিকশা ভাঙচুর করে। এসময় তাদের সাথে এসে যুক্ত হন সিএনজি চালকরা। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের এলাকায় রিকশা–সিএনজিসহ গণপরিবহন সংকট হয়। একইভাবে পাহাড়তলী আমবাগান–ওয়ারলেস–অক্সিজেন এলাকায়ও গতকাল প্যাডেল চালিত রিকশা চালকরা একজোট হয়ে ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে।
টেরীবাজারে ব্যাটারি রিকশা ভাঙচুরের ঘটনার পর ব্যাটারি রিকশা চালকরা সবাই একজোট হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে টেরী বাজার–ঘাটফরহাদবেগ–আন্দরকিল্লাহসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার প্যাডেল চালিত রিকশা চালকরা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে জামালখান রোডে যতগুলো ব্যাটারি রিকশা পাওয়া গেছে সবগুলো উল্টে দিয়েছে।
গতকালও বেলা সাড়ে ১১টায় টেরীবাজার এলাকায় প্যাডেল চালিত রিকশা চালকরা একজোট হয়ে ব্যাটারি রিকশা যত গুলো পেয়েছে সব উল্টে দিয়ে ভাঙচুর করেছে। এদিকে কোরবানীগজ্ঞ–আছদগজ্ঞ–বলুয়ারদীঘি, কাটাপাহাড় লেইন, ঘাটফরহাদবেগসহ পুরো এলাকা থেকে শত শত ব্যাটারি রিকশা টেরীবাজার এলাকা দিয়ে হাজারীগলির মুখ পর্যন্ত আসে।
এই রোড গুলোতে ব্যাটারি চালিত রিকশার জ্যাম থাকে সব সময়। এত বিপুল সংখ্যক ব্যাটারি রিকশার কারণে পথচারীরা পায়ে হাঁটার সুযোগ পান না।