চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সম্প্রতি গৃহকর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন। তিনি নগরবাসীকে গৃহকর নিয়ে কোন ধরণের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অতিরিক্ত কোন করের বোঝা নগরবাসির উপর চাপানোর প্রশ্নই আসে না। পূর্বের বকেয়া কর হালনাগাদ করে ২০১৭ সালের মূল্যায়নের উপর যে অসংগতি রয়েছে তা নিস্পতির জন্য আপিল করার অনুরোধ জানান। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত যদি কোন করদাতার কাছে সন্তোষজনক মনে না হয়। সেক্ষেত্রে সরাসরি মেয়র বরাবরে আবেদন জানানোর আহ্বান জানানো হয়। গতকাল বুধবার চসিক মেয়রের অফিস কক্ষে নগর বাইশ মহল্লা সর্দ্দার কমিটি নেতৃবৃন্দের স্মারকলিপি গ্রহণকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাইশ মহল্লা সর্দার কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ সর্দার, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহম্মদ সর্দার, আলহাজ্ব শওকত হোসেন, মো. আলী বক্স, মো. সালাহ উদ্দিন, সূফী জাবেদ হোসেন, মো. সাহাবুদীন, শাহেদ হোসেন, মো. তারেক প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, গৃহকর নিয়ে একটি মহল চক্রান্তে লিপ্ত, তারা সিটি কর্পোরেশনকে নগরবাসির মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এব্যাপারে পুন: উল্লেখ করে বলেন, কর বৃদ্ধির কোন অবকাশ নেই। শুধুমাত্র করের আওতা বৃদ্ধি করা হবে। আপীল বোর্ডে নিস্পত্তি হওয়া বিষয়টি সন্তোষজনক মনে না হলে তা মহল্লা সর্দার কমিটিকে অবগত করে সন্তোষজনক পর্যায়ে আনার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বাইশ মহল্লার সর্দার কমিটির নেতৃবৃন্দকে প্রত্যেক এলাকায় কর আদায়কারী সার্কেল অফিসে গিয়ে আপীল করার ব্যাপারে প্রয়াস চালাতে অনুরোধ জানান।
বাইশ মহল্লার সর্দ্দার কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ সরর্দার মেয়রের সাথে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, নগরবাসির উপর কোন ধরণের অতিরিক্ত কর ধার্য করা হবে না। আমরা মেয়রের আশ্বাসকে বাস্তবে প্রতিফলিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করি। তিনি নগরবাসিরকে পূর্বেকার বকেয়া কর পরিশোধ করে অসঙ্গতিপূর্ণ কর মূল্যায়নের উপর আপিল করার জন্য নগরবাসির প্রতি আহবান জানান। এবং আপিলের সম্মুখীন হওয়ার পর কোন অসঙ্গতি থাকলে নগরবাইশ মহল্লার সর্দ্দার কমিটির সাথে যোগাযোগ করার জন্যও অনুরোধ জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।