ধূমকেতুটি এক লাখ ৬০ হাজার বছরে একবার দেখা যায়

দেখা যাবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে

| বুধবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

এক লাখ ৬০ হাজার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আগামী কয়েকদিনে বিশ্বের আকাশে এক উজ্জ্বল ধূমকেতু দেখা যাবে বলে জানিয়েছে নাসা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি বলেছে, এ ধূমকেতুর উজ্জ্বলতা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই কঠিন। তবে অ্যাটলাস সি/২০২৪ জি৩ নামের ধূমকেতুটি খালি চোখে দেখার মতো যথেষ্ট উজ্জ্বল হবে।

সোমবার পেরিহিলিয়ন বিন্দুতে ছিল ধূমকেতুটি। সূর্যকে কেন্দ্র করে কোনো মহাকাশীয় বস্তুর কক্ষপথের এই বিন্দুতে সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে। ধূমকেতুটির উজ্জ্বলতায়ও প্রভাব ফেলবে এটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমবার থেকে দেখা যাবে ধূমকেতুটি। খবর বিডিনিউজের।

পৃথিবীর কোন কোন দেশের আকাশে ধূমকেতুটি দেখা যাবে এর সঠিক স্থানগুলো এখনও অজানা বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুক্র গ্রহের মতো উজ্জ্বল হতে পারে ধূমকেতুটি। পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে সবচেয়ে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে এটি।

গত বছর এই ধূমকেতুর খোঁজ মেলে নাসার অ্যাস্টরয়েড টেরেস্ট্রিয়ালইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেমে। কিংস কলেজ লন্ডনের অ্যাস্ট্রোপার্টিকেল ফিজিঙ অ্যান্ড কসমোলজির গবেষক ড. শ্যাম বালাজি বলেছেন, এর বর্তমান কক্ষপথের হিসাব থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, সূর্য থেকে প্রায় ৮৩ লাখ মাইল দূর দিয়ে অতিক্রম করবে ধূমকেতুটি। ফলে এটিকে সানস্কার্টিং বা সূর্যআচ্ছাদিত ধূমকেতু হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছেন গবেষকরা। ধূমকেতুটিকে এক লাখ ৬০ হাজার বছরের মধ্যে একবার ঘটে যাওয়া ঘটনা বলে বর্ণনা করেছে কিংস কলেজ লন্ডন।

. বালাজি বলেছেন, স্থানীয় আকাশের পরিস্থিতি ও ধূমকেতুর আচরণের ওপর নির্ভর করে আগামী কয়েকদিনে ধূমকেতুটি দেখার সুযোগ মিলতে পারে। সব ধূমকেতুর মতোই এর দেখা পাওয়া ও উজ্জ্বলতার বিষয়টি অনিশ্চিত হতে পারে। তিনি বলেন, পূর্বাভাস বলছে, ধূমকেতুটি সবচেয়ে ভালো পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের বাসিন্দারা। এটি দেখার জন্য তাদের সূর্যোদয়ের আগে পূর্ব দিগন্তের দিকে ও সূর্যাস্তের পরে পশ্চিম দিগন্তের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এটি বেশ উজ্জ্বল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বালাজি বলেছেন, ধূমকেতুর উজ্জ্বলতা সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া একেবারেই অনিশ্চিত। কারণ ধূমকেতু নিয়ে এর আগে দেওয়া বেশিরভাগ পূর্বাভাসই খুব একটা খাটেনি।

যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারীদের জন্য সূর্যের আলোর কারণে ধূমকেতু দেখার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এদিকে ধূমকেতুটির গতিপথ অনুসরণ করছেন নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা ধূমকেতুটির একটি ছবি শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন নাসার নভোচারী ডন পেটিট। তিনি লিখেছেন, পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে মনোমুগ্ধকর ধূমকেতু দেখার বিষয়টি সত্যিই অসাধারণ। অ্যাটলাস সি/২০২৪ জি৩ আমাদেরকে পরিদর্শন করতে আসছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফুটপাত থেকে দোকান উচ্ছেদ ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে সেই কলম ভেঙে দেব : হাসনাত আব্দুল্লাহ