ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলার অংশ পেরিয়ে ফেনীর কিছু পয়েন্টে বন্যায় সড়কের উপর ৫ দিন ধরে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হয়। এতে সড়কের বিভিন্ন অংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন সেসব অংশে সংস্কার চললেও কাজ ধীরগতির হওয়ায় যানবাহনগুলো পারছে না স্বাভাবিকভাবে চলতে। এতে দীর্ঘ যানজটে পাঁচ ঘণ্টার পথ ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লাগছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যেতে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর যান চলাচল শুরু হলেও অনেক স্থানে ভাঙাচোরা, গর্ত, সুরকি, ইট উঠে যাওয়ায় যানবাহনগুলো চলতে পারছে না স্বাভাবিক গতিতে। অনেক স্থানে বড় বড় গর্তে বিকল হচ্ছে যানবাহন। বেড়েছে দুর্ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে খুবই ক্ষীণ গতিতে গাড়িগুলো এই সড়ক পাড়ি দিচ্ছে বলে এতে কোনো কোনো স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখনো আটকে থাকতে হচ্ছে যানজটে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী কাভার্ড ভ্যানচালক নুরুল ইসলাম বলেন, চৌদ্দগ্রাম থেকে ফেনীর লালপোল পর্যন্ত সড়কে শত–সহস্র গর্ত। কোথাও কোথাও খুব ভাল সড়ক মিলছে। অনেক স্থানে বিভিন্ন রকমের যানবাহন নষ্ট হয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে রাত ১টায় রওনা হয়ে মীরসরাই অতিক্রম করছি দুপুর ১২ টায়। অথচ সকালেই চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা। চট্টগ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা যাওয়া কর্মজীবী এক বাসযাত্রী জানান, কয়েক ঘণ্টা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে জ্যামে থেকে শুক্রবার সকাল ৯ টায় ঢাকা পৌঁছেছেন। অথচ ভোরেই ঢাকা নামার কথা ছিল। প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা গেছে, মহাসড়কে যানজট লেগে থাকা সড়কের অনেক অংশে বিশেষ করে রাতের বেলায় চুরি – ডাকাতির আশংকায় থাকেন সাধারণ বাসের যাত্রী ও বিভিন্ন যানবাহনের সকলে।
এই বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের ফাজিলপুর থানার ইনচার্জ রাশেদ খান বলেন, আমরা দিনে ও রাতে সিডিউল করে সড়কে টহলে রয়েছি। যে কোথাও সকলের নিরাপত্তায় সচেষ্ট আছি। সড়কের সংস্কার কাজের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ ফেনী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল বলেন, টানা ৫ দিন সড়কের উপর দিয়ে পানি গড়িয়ে যাওয়ায় মহাসড়কের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে ধসে গেছে, গর্তের পরিমাণও অনেক বেশি। তবুও আমাদের রিপেয়ারিং টিম মাঠে কাজ করছে। বিশেষ করে কিছু কিছু স্থানে বড় বড় গর্তের দরুণ রিপেয়ারিংয়ে একটু বেশি সময় লাগছে। তবে দু–একদিনের মধ্যে পুরো সড়ক পূর্বের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে জানান তিনি।