চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারে হঠাৎ বেড়ে গেছে চালের দাম। পাইকারি বাজারে মণপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। চালকল মালিক ও আড়তদাররাই বাজার অস্থির করার ভূমিকায় কাজ করছেন। বাজারে তারা ধীরে ধীরে চাল ছাড়ছেন। এতে চাহিদার চেয়ে যোগান কমায় তৈরি হয়েছে কৃত্রিম সংকট। বাড়ছে চালের দাম। গতকাল দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী বাজারে অভিযান চালানোর পর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ তথ্য জানান। অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান, লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে আড়তদার। এ জন্য এক আড়তদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আড়তদারকে সতর্ক করা হয়। চালের দামের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে পাহাড়তলী বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আজাদীকে বলেন, পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ থাকার পরেও পাইকারী ও খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে মণপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। চালের দাম বৃদ্ধি বিষয়ে তিনি বলেন, চালের বাজার অস্থির করার ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে চালকল মালিক (মিলার) ও আড়তদারদের দিকে। মিলার ও আড়তদাররা বাজারে ধীরে ধীরে চাল ছাড়ছেন। চাহিদার চেয়ে য়োগান কম হওয়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, এতে বাড়ছে চালের দাম। আমাদের কাছে থাকা তথ্যানুযায়ী ব্যবসায়ী ছাড়াও অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স বা লাইসেন্স ছাড়া ধান–চাল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। এসব ব্যবসায়ী এবং ধান–চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে নজরদারীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মিলার ও আড়তদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারেন সে ব্যাপারে নজর দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চাল উৎপাদনশীল অঞ্চলগুলোতে চাল মজুদ এবং অনেক প্রতিষ্ঠানের বেনামে চাল মজুদের ব্যাপারও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে। এছাড়াও সারাদেশে চালের কৃত্রিম সংকট মোকাবেলায় সমন্বয় সাধন চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হবে।