সারাদেশে অব্যাহত নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে খাগড়াছড়িতে মশাল মিছিল করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ–পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেলা সদরের মহাজন পাড়া থেকে মশাল মিছিল বের করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শাপলা চত্বর ঘুরে চেঙ্গী স্কয়ারে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। এছাড়া বান্দরবানেও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল–মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে ক্রমাগত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। নারী–শিশুরা আজ চরম অনিরাপত্তায় ভুগছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় নারীর উপর নিপীড়নের ঘটনা অব্যাহতভাবে বেড়েছে। এই অবস্থায় নারীও উপর যৌন নিপীড়ন বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। একইসাথে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করতে হবে। পাহাড় ও সমতল কোথাও নারীরা নিরাপত্তা পাচ্ছে না।
এ সময় বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নৈতিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ– খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, সুভাষ চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ– কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুজন চাকমা ঝিমিট। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি মৃনাল চাকমা।
বান্দরবান : গতকাল বুধবার দুপুরে বান্দরবানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ছাত্র–জনতার ব্যানারে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল–মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণী–পেশার মানুষ। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান সম্বলিত ব্যানার প্রদর্শন করেন। একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচি। এতে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার নেত্রী ডনাই প্রু নেলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আসিফ ইকবাল, শিক্ষার্থী মো. ইসমাইল, ফোজিয়া, সুলতানা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ এবং যে কোনো ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। ধর্ষকরা যদি শাস্তি না পায়, তাহলে সমাজে অপরাধ আরও বাড়বে। তাই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।