টিভির সামনে কিংবা পত্রিকা নিয়ে বসলে, চোখে পড়ে ধর্ষণের খবর। সম্প্রতি ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও ঐ নর-পশুদের মাঝে ভয় জিনিসটা কাজ করছে না। ধর্ষণ যেন আরো বেড়ে গেছে। এইসব ধর্ষণকারীদের মধ্যে বৃদ্ধ, রাজনৈতিক দলের কিছু কিছু নেতা কর্মী, স্কুল-মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক, কিশোর গ্যাং, সমাজের কিছু নিকৃষ্ট ব্যক্তি এই ধর্ষণের সাথে জড়িত। আগেও ধর্ষণের শাস্তি বিভিন্ন মেয়াদে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছিল। এই শাস্তি যথাযত প্রয়োগ হয়নি বলে আজ ধর্ষণ দ্রুত বেড়ে গেছে। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরও এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। আজ দেশের সর্বোচ্চ স্থানের অধিকারী প্রধানমন্ত্রী নারী। মহান জাতীয় সংসদের প্রধান নারী। সংসদের বিরোধী দলীয় প্রধান নারী। বৃহৎ রাজনৈতিক দল (বিএনপি) নেত্রী নারী। দেশের সর্ববৃহৎ স্থানে থাকা এই তিন নেত্রীর কাছে আহবান আপনারা সম্মিলিতভাবে এই জঘন্য ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সমসুরে বলুন শাস্তি মৃত্যু। আমরা সাধারণ মানুষ অসহায়বোধ করছি। আজ কোনো নারী নিরাপদ নয়। তাই বলছি আপনারা ‘তিন নারী’ দেশের সর্বোচ্চ স্থানে চুপ মেরে বসে থাকতে পারেন না। আমার প্রস্তাব হলো ধর্ষণকারীর শাস্তি যেখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেখানে শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) কার্যকর করা হোক। কারাগারের ভিতর দণ্ড কার্যকর করলে কেউ দেখে না। তিনদিন আগে থেকে ঐ স্থানে মাইকিং করতে হবে। সরাসরি টিভির সব চ্যানেলে প্রচার করতে হবে। অপরাধী তার অপরাধ স্বীকার করার ৩/৪ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৮/২০ কোটি মানুষের মধ্যে ১৮/২০ জন অপরাধী মরে গেলে আমাদের কিছু যায় আসে না। দেশেরও কোনো ক্ষতি হবে না। তাই ধর্ষক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।
জসিম উদ্দিন, বন্দর, চট্টগ্রাম-৪১০০।