চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ডায়াবেটিক রোগীদের সচেতন করতে ডায়াবেটিক মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ এই মেলার মাধ্যমে ডায়াবেটিক রোগীরা বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে পারবে। এই ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা ধনী–গরীব সবাইকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল নগরীর খুলশীস্থ চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের প্রাঙ্গণে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ১২তম ডায়াবেটিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান সরকারের সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে। স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই এর তদারকি করছেন এবং সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যখাত হতে প্রকৃত সেবা পাচ্ছেন। এজন্য তিনি গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবার ওপর জোর দিচ্ছেন।
স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নয়, শুধুমাত্র সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই মেলার আয়োজন। ২০১১ সালে ডায়াবেটিক মেলার যাত্রালগ্ন থেকে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও প্রচারণার মাধ্যমে ডায়াবেটিক মেলা এক যুগ পূর্ণ করেছে। এই মেলাকে আরো বড় পরিসরে করার জন্য আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ডায়াবেটিক হাসপাতাল যেহেতু জেনারেল হাসপাতাল, সেহেতু এখানে ডায়াবেটিক, নন–ডায়াবেটিক রোগীরা স্বল্প খরচে সকল চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মানকে আরো আধুনিকায়ন ও উন্নত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, কাউন্সিলর মো. ইলিয়াস, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সহসভাপতি এসএম শওকত হোসেন, আবিদা মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ, ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী, এসএম জাফর, প্রিন্সিপাল লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, মো. শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, হাসপাতালের পরিচালক ডা. নওশাদ আজগর চৌধুরী এবং ডায়াবেটিক রোগী শেখ মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৫ জন আদর্শ সচেতন ডায়াবেটিস রোগীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।