দ্বীনি শিক্ষার স্বর্ণময় ইতিহাসে বর্ণময় প্রতিষ্ঠান কাগতিয়া কামিল মাদরাসা

কাগতিয়া মাদরাসার ৮৯তম সালানা জলসায় বক্তারা

| রবিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ

দ্বীনি শিক্ষার সুপ্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম.এ মাদরাসা। নিভৃত পল্লিতে নাগরিক সব সুযোগসুবিধা দিয়ে দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করছে এ মাদরাসা। খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) এ মাদরাসার প্রাণপুরুষের ভূমিকা পালন করেছেন। যিনি মাদরাসার উন্নতি অগ্রগতির জন্য সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানের অধ্যক্ষ সে ধারা বজায় রেখেছেন। পবিত্র হাদিস শরীফে বর্ণিত রয়েছে আল্লাহ তা’আলা যার দ্বারা কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। জাহেরবাতেন সমস্ত জ্ঞানের স্রোতধারা এ মাদরাসার মাঝে প্রবাহিত। একজন জ্ঞান অন্বেষণকারী শিক্ষার্থী এই মাদরাসার সংস্পর্শে এসে অমূল্য হয়ে উঠে। সুবিশাল অবকাঠামো, সুদৃঢ় একাডেমিক কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, অমূল্য সব কিতাবে ভরপুর দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার, মানসম্মত শিক্ষক প্যানেল, সহশিক্ষা কার্যক্রম সর্বোপরি হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর দোয়ায় এ মাদরাসাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) নিজের জীবনের চেয়েও এ মাদরাসাকে বেশি ভালোবাসতেন। এরই পথ ধরে বর্তমানের অধ্যক্ষ মহোদয়ও প্রাণ উজাড় করা ভালোবাসার নজির স্থাপন করেছেন। কাগতিয়া কামিল এম.. মাদরাসা দ্বীনি শিক্ষার অনন্য আলোকবর্তিকা রূপে শিক্ষা বিস্তারে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান রূপে আবির্ভূত হয়ে সুনিবিড় শিক্ষা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে আলোকিত মানুষ গড়ার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলছে। ০৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ৩ ঘটিকা থেকে রাউজান মূল ক্যাম্পাস ময়দানে চট্টগ্রামের এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম.এ মাদরাসার ৮৯তম সালানা জলসায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর মহাসচিব্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সালানা জলসায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ। বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক ও মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধরামু, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ায় প্রাণ হারালেন তিনজন