দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে কাগতিয়া মাদরাসা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে

৮৮তম এনামী জলসায় বক্তারা

| রবিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

কাগতিয়া কামিল এম.এ মাদরাসার ৮৮তম এনামী জলসায় বক্তারা বলেন, কাগতিয়া কামিল এম.এ মাদরাসা আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের তৈরী করে যাচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন, সুবিশাল খেলার মাঠ, বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাচেতনার বিকাশের লক্ষ্যে কম্পিউটার ল্যাব, অমূল্য সব কিতাব দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে সুবৃহৎ গ্রন্থাগার যা এ মাদরাসাকে করেছে অনন্য। শিক্ষার্থীদের ঈর্ষণীয় ফলাফল এ মাদরাসাকে করেছে সমৃদ্ধ। মূল ক্যাম্পাসের পাশাপাশি বায়োজিদস্থ গাউছুল আজম সিটিতে চট্টগ্রাম মহানগর ক্যাম্পাসের অগ্রযাত্রায় গুণগত শিক্ষার প্রসারে মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।

গতকাল শনিবার বেলা ৩টা হতে বায়েজিদ মহানগর ক্যাম্পাস সম্মুখস্থ ময়দানে কাগতিয়া কামিল এম.এ মাদরাসার ৮৮তম এনামী জলসা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা আরও বলেন, প্রিয় রাসুল (দ.) বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। জ্ঞান অর্জনের মিশনকে যে মহান মনিষী বিশ্ববাসীর কাছে উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছেন তিনি হলেন খলিফায়ে রাসুল হযরত গাউছুল আজম (রাঃ)। এ মাদরাসার উন্নতিসাধনের রূপকার হলেন হযরত গাউছুল আজম (রাঃ)। যিনি বলেছেন, আমি কাগতিয়া কামিল এম.এ মাদরাসাকে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি মুহাব্বত করি। তিনি আরো বলেছেন, আমি যা কিছু পেয়েছি কাগতিয়া মাদরাসার খেদমতের মাঝেই পেয়েছি।

বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র একাডেমিক ফলাফল নয় সহশিক্ষা কার্যক্রমেও এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা সফলতার সাক্ষর রেখে যাচ্ছে। এ মাদরাসার গোড়াপত্তন হয়েছে একজন আশেকে রাসুল (দ.) এর হাতে অতঃপর খলিফায়ে রাসুল হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) এর পর উনার একমাত্র প্রতিনিধি বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয়ের হাতে। এ মাদরাসায় একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হলে শুধুমাত্র একজন ভালো শিক্ষার্থী হয়ে গড়ে উঠেনা পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হিসেবেও তৈরী হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছীন মহাসচিব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, নানুপুর মাজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুছলেহ উদ্দীন আহমদ মাদানী, ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ সাহেদ ইকবাল বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সরওয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলওয়ার হোসেন খাঁন প্রমুখ।

জলসায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোহাম্মদ কারিমুল মওলা, মুফতি কাজী মোহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাংবাদিক হাউজিং সোসাইটিতে বিজয় দিবস ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধসিপিডিএল-আজাদী বিশ্বকাপ কুইজ