কখনো পরিচয় দেন তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, কখনো তিনি চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য, কখনো আবার বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তবে সিএমপির নগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে। তা-ও আবার পাঁচ বছর পর। তার নাম শেখ নওশেদ সরোয়ার পিল্টু। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আলী হোসেন জানান, গত শুক্রবার নগরীর খুলশী থেকে নওশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে।
২০১৫ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে নওশেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সুমাইয়ার মা দিলরুবা বেগমের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে নিজ বাসা থেকে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন সুমাইয়া। একদিন পর তার পোড়া লাশ পাওয়া যায় চন্দনাইশ উপজেলায়। মামলায় নওশেদ ছাড়াও তার প্রথম স্ত্রী ও ভাইসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছিল।
সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, সুমাইয়া তার স্বামী নওশেদের প্রথম বিয়ের খবর জানার পর ২০১৪ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। তার জেরে নওশেদ তার কর্মচারীদের নিয়ে সুমাইয়াকে হত্যা করেন এবং লাশ গুম করার জন্য চন্দনাইশ উপজেলার সুচিয়া গ্রামের শ্মশানের পাশে দাহ্য পদার্থ দিয়ে লাশের চেহারাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে ফেলেন। ওটা যে সুমাইয়ার লাশ, ডিএনএ পরীক্ষা করে তা শনাক্ত করা হয়েছিল।
সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেখানে নওশেদের প্রথম স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন পরী ও বড় ভাই প্রিন্সকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেয়।
এতে বাদী নারাজি দিলে আদালত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। পুনঃতদন্তে হত্যাকাণ্ডের ৫ বছর পর নওশেদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।