হাইকোর্টের নির্দেশের পর লোহাগাড়ায় অভিযানের দ্বিতীয় দিনে চরম্বায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে ৩টি অবৈধ ইটভাটা। গতকাল মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দিনব্যাপী যৌথ অভিযানে এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় নষ্ট করা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ কাঁচা ইট।
গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হল, চরম্বা ইউনিয়নের নয়া বাজার এলাকায় মো. জামালের মালিকানাধীন এসএমবি ব্রিকস, মাইজবিলা এলাকায় শাহ আলমের মালিকানাধীন এসবিএন ব্রিকস ও গুরা মিয়ার মালিকানাধীন সিবিএম-১ ব্রিকস। এছাড়া অভিযানের সময় এসবিএন ব্রিকসের মালিকের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ও বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন। এছাড়া অভিযানে সাথে ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম, পরিদর্শক নুর হাসান সজীবসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, র্যাব ও পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জানান, আইন না মেনে কৃষি জমি, লোকালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার বেষ্টিত এলাকা ও বনাঞ্চলের পাশে ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। অবৈধভাবে পরিচালিত সব ইটভাটায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসেন জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। এরই অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে লোহাগাড়ায় দুই দিনে ৭টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।