চট্টগ্রামে গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১০ হাজার ৪৪৩ জন। এর মধ্যে বিভিন্ন উপজেলার ৫২৮০ জন এবং নগরীর ৫১৬৩ জন। গত বৃহস্পতিবার প্রথম দিন চট্টগ্রামে ৪৫৯৮ জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৫ হাজার ৪১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, গতকাল নগরীর ৫১৬৩ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৫৬১ জন, জেনারেল হাসপাতাল থেকে ১২০৪ জন, চসিক জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৯৬৬ জন, মোস্তফা হাকিম হাসপাতাল থেকে ৪৯১ জন, বন্দরটিলা হাসপাতাল থেকে ৩০২ জন, ছাফা মোতালেব হাসপাতাল থেকে ১৩১ জন, সিএমইচ থেকে ১২৬ জন, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও পুলিশ হাসপাতাল থেকে ৩৮২ জন করোনার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন।
অন্যদিকে লোহাগাড়ায় ২৩৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৮৩ জন, ফটিকছড়িতে ১৬২ জন, বাঁশখালীতে ৩০৮ জন, আনোয়ারায় ৫১৯ জন, সীতাকুণ্ডে ৪২১ জন, সাতকানিয়ায় ১৬০ জন, রাউজানে ৭৮৮ জন, মীরসরাইয়ে ৫৯৩ জন, চন্দনাইশে ২৬১ জন, বোয়ালখালীতে ২৮২ জন, হাটহাজারীতে ৭৬৮ জন, পটিয়ায় ৪১৯ জন ও সন্দ্বীপে ৭৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে করোনার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। গতকালও অনেকে টিকার প্রথম ডোজ নেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গতকাল জেলার ৬১৫ জন ও নগরীর ১০২৭ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮ জন প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩৩ জন ও বিভিন্ন উপজেলায় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, মজুদ ৫০ হাজার ১৩০ ডোজ টিকা নিয়ে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় টিকাদান কর্মসূচি। আরও ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা চট্টগ্রামে এসেছে। করোনার দ্বিতীয় ডোজের জন্য মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। কেউ মেসেজ না পেলে প্রথম ডোজ দেওয়ার আট সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পর কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গেলে টিকা দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান বলেন, পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছে। কোনো সংকট নেই। তিনি বলেন, প্রথম ডোজ নিয়ে যারা লকডাউনের কারণে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আটকা পড়বেন, লকডাউন শেষে তারা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।










