ভারত থেকে করোনা ভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় চালানে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ আসবে বলে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে জানানো হলেও স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী ৫০ লাখ ডোজ টিকাই আসছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে এই টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনছে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা রয়েছে, যার প্রথম চালান গত মাসে এসেছে। এই টিকা আনছে বাংলাদেশে সেরামের ‘এঙক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেঙ্মিকো ফার্মাসিউটিক্যালস। খবর বিডিনিউজের।
গত সোমবার বেঙ্মিকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেছিলেন, দ্বিতীয় চালানে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ টিকা আনা হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি এই টিকা আসবে বলে তারা আশা করছেন। তবে গতকাল বুধবার সচিবালয় ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সচিব মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, পরবর্তী চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কার অবকাশ নেই।
করোনা মহামারী মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটি টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ৮ সপ্তাহের ব্যবধান রাখার সুপারিশ করায় টিকা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আমাদের হাতে যেহেতু সময় আছে আরও সুন্দরভাবে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারব।
টিকার জন্য নিবন্ধনে ৪০ বছরের বয়সসীমা তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, প্রথম সারির যোদ্ধাসহ চল্লিশোর্ধদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা নেওয়ার বয়স এখন আর কমানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত এটি কন্টিনিউ করতে। সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে করতে চাই।