সুনীতি–দুর্নীতি, সত্য–মিথ্যা, জ্ঞানী–অজ্ঞানী, ভালো–মন্দ প্রভৃতির দ্বন্দ্বাত্মক সংমিশ্রণে একজন মানুষ সমগ্রতা অর্জন করে। আত্মদ্বন্দ্বে জর্জরিত মানুষ সত্যের পথে চলতে গিয়েও সংকটগ্রস্ত হয়, মিথ্যার পথে হাঁটতে গিয়েও দ্বিধান্বিত হয়। এ যেন চিরায়ত মানুষের স্বভাব। শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত সমাজ উভয়ই আত্মদ্বন্দ্বের সাথে জীবনযাপন করে। সমাজের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিমানুষও সংকটমুক্ত নয়। এ কেমন মানবজীবন; মৃতপ্রায় সমাজ জীবন!
ধর্ম, আদর্শ ও সংস্কারের বেড়াজালে আবদ্ধ মানুষ সামাজিক সংস্কারের পীড়নে অসহায়। সামাজিক বাস্তবতায় নতুন দিগন্ত সন্ধানের তীব্র মুক্তি–আকাঙ্ক্ষায় ইচ্ছাসঞ্জাত মানব মনের জটিলতা যেন ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন উদ্দীপনা।
মানবজীবন বিচিত্রমুখী জটিলতায় বিপর্যস্ত ও উজ্জীবিত। ব্যক্তিমানুষ নিজ অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে সুস্থ জীবনাকাঙ্ক্ষার দ্বন্দ্বে স্থবির। যেখানে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলাই শৃঙ্খলার মুক্তি সেখানে অদৃশ্যের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানব। যা প্রতিনিয়ত কেড়ে নেয় জীবনের প্রাণরস। কিন্তু মানুষ শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে স্বপ্নাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বেঁচে থাকে মানুষের মাঝে। পরম্পরায় চলতে থাকে চাওয়া ও না পাওয়ার দ্বন্দ্বময় হৃদয়ার্তি। তবুও মানব তার অন্তর্গত শক্তিতে উদ্দীপ্ত।