চট্টগ্রাম–কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের দোহাজারীতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে এখনো চলছে শোকের মাতম। মেধাবী শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা রিজভী (১৫) ও তার ছোট ভাই ওয়াকার উদ্দীন আদিল (১২) একালে চলে যাওয়াকে কোন ভাবেই মানতে পারছেন না জসিম দম্পতি। প্রিয় সন্তানদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, জামা–কাপড় দেখেই বুক ফাঁটা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন তারা। জসিম উদ্দীনের ভাতিজা আবুল মনসুর জানান, এক পরিবারের তরতাজা দুটি সন্তান এভাবে চলে যাবে তা মেনে নেয়া কষ্টকর। শোকে কাতর দরিদ্র রিকসা চালক রুহুল আমিনের পরিবারের সদস্যরাও। প্রিয় বাবার স্মৃতি মনে পড়লেই কাঁদছেন মেয়েরা।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ২ পরিবারে ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা ও বিভিন্ন শ্রেণী–পেশার মানুষ।
শুক্রবার সকালে রিকসা চালক রুহুল আমিনের পরিবারে গিয়ে মেয়েদের সান্ত্বনা দেন এবং নগদ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন গ্রীন চার্টার্ড স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর আগে নিহত মেধাবী শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা রিজভী ও ওয়াকার উদ্দীন আদিলের শোকাহত পিতা মো. জসিম উদ্দীনকে শান্তনা দিতে যান তারা। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারের সকল ছেলে–মেয়েকে আজীবন গ্রীন চার্টার্ট স্কুল এন্ড কলেজে ফ্রি পড়ালেখা করার সুযোগসহ নিহত রুহুল আমিনের মেয়ে উপযুক্ত হলে স্কুলে চাকুরির ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রীন চার্টার্ড স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ আলম, প্রতিষ্ঠানের এমডি এডভোকেট মুহাম্মদ রিদোয়ানুল হক, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন আজম, একাডেমিক ডিরেক্টর ওবায়দুল আকবর টুটুল, ডিরেক্টর মুহাম্মদ ইউনুচসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়া দোহাজারী জামিজুরী আহমদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০০৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংগঠন “স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন”র পক্ষ থেকে নিহত রুহুল আমিনের পরিবারে ৩৩ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার সময় সংগঠনের সদস্য সাংবাদিক মুহাম্মদ এরশাদ, তানভীর হাসান, সালাহ উদ্দীন কাদের হিরু ও আবুল মনসুর উপস্থিত হয়ে নিহত রুহুল আমিনের কন্যাদের হাতে এ আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন।