দৈনিক আজাদী সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর বন্যার্ত মানুষের পাশে আজাদী যেভাবে নিজ থেকে এবং তহবিল সংগ্রহ করে দাঁড়িয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আসলে, আজাদীর এরকম মহতী উদ্যোগ প্রায় প্রতি বছর কোন না কোন মানবিক ইস্যু কিংবা সময়ের প্রয়োজনে আমাদের চোখে। ২০২১ সালে চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বেসরকারি সংস্থা ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের যৌথ মালিকানায় প্রস্তাবিত বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগের প্রতিবাদে দৈনিক আজাদী প্রায় দুই মাস ধরে অনন্য একটি ভূমিকা পালন করছিল। সেসময় ধারাবাহিকভাবে জনমত প্রকাশ করে পত্রিকাটি সিআরবি ইস্যুতে চট্টগ্রামের গণমানুষের মুখপত্রের ভুমিকায় অবতীর্র্ণ হয়েছিল।
নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য এবং সংবাদপত্রপ্রেমী সর্বোপরি একজন মানসম্মত সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তুলতে পত্রিকাটির প্রতিটি বিভাগের অবদান অনস্বীকার্য। প্রতিদিনের নিয়মিত আয়োজন ‘সুখে দুখে’ বিভাগটির মাধ্যমে শুধু লেখক, সাহিত্যিক কিংবা সংবাদপ্রেমীদের নয়, বরং সর্বস্তরের জনসাধারণের মনের ভাষা প্রতিদিন হাজার লক্ষ জনের মাঝে তুলে ধরে যাচ্ছে দৈনিক আজাদী। যেমনটা স্থানীয় পত্রিকা দূরের কথা জাতীয় কোনো পত্রিকার ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবিক কাজে অবদানের জন্য আজ আজাদী সংবাদপত্রের পাশাপাশি মানুষের নিকট সতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। পরিশেষে পত্রিকাটি আজকের অবস্থানে আসার পিছনে যাদের অবদান এবং এই অবস্থান ধরে রাখার জন্য যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গৌরবের এই ৬৫তম বর্ষে পদার্পণের মাহেন্দ্রক্ষণে একটাই কামনা– ‘সফলতার ছোঁয়ায় দৈনিক আজাদী এগিয়ে যাক সমৃদ্ধির পথে’।