বেতন এক লাফে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিদ্যমান বেতন থেকে ১৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব পর্ষদে উঠলে তা অনুমোদন না দিয়ে যাচাইয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চার সদস্যের কমিটিকে পরবর্তী পর্ষদ সভায় প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের সদস্য মহসীন কাজী।
এর আগেও ২০২১ সালের ৪ মে চট্টগ্রাম ওয়াসার ৬১তম পর্ষদ সভায় বেতন বাড়ানোর এ প্রস্তাব একবার উঠেছিল। সেবারও চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় যে কমিটি ‘কোভিডের কারণে’ প্রতিবেদন দিতে পারেনি।
গত ১০ বছর ধরে বেতন না বাড়ানোয় তিনি এ প্রস্তাব করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী ফজলুল্লাহ।
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে শতভাগ এখতিয়ার বোর্ডের। তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। চাইলেই যে বেতন বাড়িয়ে দেবে তা নয়। এমনও হতে পারে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিল যে বেতন ২০ হাজার টাকা বাড়বে বা এত শতাংশ বাড়বে অথবা একদমই বাড়বে না- সেটা তাদের বিষয়।”
২০০৯ সাল থেকে দফায় দফায় এমডি হিসেবে পুনর্নিয়োগ পাওয়া ফজলুল্লাহ তার মেয়াদকালে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতার দাবি করে বলেন, “পানির উৎপাদন ১২ কোটি থেকে ৫০ কোটি লিটারে উন্নীত করেছি। আগে পানির দাবিতে কলসি মিছিল, ঝাড়ু মিছিল হতো যা এখন হয় না। স্যুয়ারেজ প্রকল্প শুরু করেছি।”
আজ সোমবারের সভায় সভাপতিত্বে করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বেতন বাড়ানোর বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে পর্ষদ সদস্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে। বাকি তিনজন হলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসান খালেদ ফয়সাল, চাটার্ড অ্যাকাউট্যান্ট সমিতির সাবেক সভাপতি শওকত হোসেন ও চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) শামসুল আলম।
শওকত হোসেন বলেন, “ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেতন বাড়ানোর বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। আগেও একবার বিষয়টি বোর্ডে এসেছিল। তখন যে কমিটি হয় তাতে আমি ছিলাম। কোভিডের কারণে আমরা প্রতিবেদন দিতে পারিনি। আজ সভায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। উনি চাইলেই যে হয়ে যাবে, তা নয়। প্রতিবেদন দিলে তা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে যাবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে।”
বর্তমান এমডি ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসায় ১৯৬৮ সালে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে অবসর নেন ১৯৯৮ সালে।
তারপর ২০০৯ সালের ৮ জুলাই এক বছরের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান।
পরে প্রথম দফায় তিন মাসের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেলেও ছয় দফায় পুনর্নিয়োগ পেয়ে গত ১০ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।