ফিজিও–শরীর, থেরাপি–চিকিকৎসা। শারীরিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা একটি বিজ্ঞানসম্মত ও সুপ্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা পদ্ধতি। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও পরিচিত। বর্তমান জীবনব্যবস্থার বহুমাত্রিক বিন্যাসে মানুষের দেহকাঠামোর সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধানের জন্য উজ্জ্বল কীর্তিকথার পাশে ফিজিওথেরাপি বেশ দৃঢ় অবস্থান সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন এক ধারা মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম। ফিজিওথেরাপি এই টিমের ষোল আনা পূর্ণ করে। এই টিমের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় মেডিসিন, সার্জারিবিশেষজ্ঞ, জেনারেল ফিজিসিয়ান, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, নার্স, সোশ্যাল ওয়ার্কারের সাথে ফিজিওথেরাপি বাধ্যতামূলকভাবে সংযুক্ত থাকে। এই চিকিৎসার সেবার আনন্দময় অনুভূতি বহুপ্রাচীন।
প্রাচীন গ্রীসে ৪৬০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ হিপোক্রেটিস ম্যাসেজ ও ম্যানুয়াল থেরাপি দ্বারা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার সূচনা করেন বলে ইতিহাসে জানা যায়। এই চিকিৎসার বাসনা লালন করে পরবর্তীতে ‘গেইলিয়াস’ শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশীর সক্ষমতা বাড়ানোর কৌশল, ম্যানুয়াল থেরাপি টেকনিক, হাইড্রোথেরাপি প্রভৃতির মাধ্যমে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার জড়তা কাটাতে থাকেন। এই চিকিৎসা ব্যবস্থার স্বাদ–সৃষ্টি–আস্বাদন নিয়ে বাড়তে থাকে আকাঙ্ক্ষা। অনুকূল ও প্রতিকূল পরিবেশে চলতে–এর উত্থান পর্বে–পর্বে ভাগা হতে থাকে ফিজিওথেরাপির কলাকৌশল। মাংসপেশীর সাথে হাড়গোর বা অর্থপেডিক সংক্রান্ত বিষয় সংযুক্ত হতে থাকে। সাদামাঠা ফিজিওথেরাপির সাথে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। ১৮১৩ সালে ‘পের হেনরিক লিং’ সুইডেনে রয়্যাল সেন্টাল ইনস্টিটিউট অব জিমন্যাস্টিক স্থাপন করেন। এই পর্যন্ত শান্ত–ক্ষান্ত–ক্লান্ত না থেকে শুরু করেন সফট টিস্যু মোবিলাইজেশন, ম্যানিপুলেশন এবং এক্সারসাইজের মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতি।
১৮৮৭ সালে সুইডেনের ন্যাশনাল বোর্ড অব হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সংযোজিত এই চিকিৎসা সেবা সরকারিভাবে গ্রহণ করে রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করে। সন্দেহবাতিকগ্রস্ত ব্রিটিশরাও ১৮৯৪ সালে ‘চার্টাড সোসাইটি অব ফিজিক্যাল থেরাপি’ প্রতিষ্ঠা করে নবীন আলোক সঞ্চার করে। পূর্বসূরিদের জীবনদৃষ্টি উপলব্ধি করে ১৯১৩ সালে নিউজিল্যান্ড আরো একধাপ অগ্রগামী চিন্তা করে। এই বিষয়ের বৈভব ও বিস্তার ঘটাতে ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোতে শুরু করে ফিজিওথেরাপি শিক্ষার প্রথম আনুষ্ঠানিক স্কুল। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সংক্রান্ত সৃজনশীলতার উদ্যানকে সমৃদ্ধ করণের ভূমিকা পালনকারী ‘পের হেনরিক লিং’ ভূষিত হন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার জনক হিসাবে। তথ্যপূর্ণ বিশ্লেষণ করে ১৯১৪ সালে আমেরিকার রিট কলেজে ফিজিওথেরাপি বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। বিজ্ঞান–প্রযুক্তি–উন্নয়ন–গবেষণায় ধারাবাহিক অগ্রগতিতে ফিজিওথেরাপিও অগ্রজতুল্য চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে থাকে। শ্রমশীলতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে ফিজিওথেরাপির শাখা–প্রশাখা ঐতিহ্য আশ্রিত হয়। সংযুক্ত হয় স্পোর্টস মেডিসিনে ফিজিওথেরাপি, স্পাইনাল ডিসফাংশন, মাস্কুলোস্কেলেটাল ডিসফাংশন, কার্ডিওভাস্কুলার অ্যান্ড চেষ্ট ডিজিজেস, নিউরোলজি, নিউরোসার্জারি, শিশুরোগ, ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ, অর্থোপেডিক মেডিসিন, অর্থোপেটিক সার্জারিসহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ আরো শাখায় সুনাম ও সফলতার সঙ্গে সঙ্গী হয়েছে ফিজিওথেরাপি।
প্যারিসের মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টির ‘অধ্যাপক নিকোলাস অ্যান্ডি’ ১৭২৩ সালে ‘ব্যায়াম পেশী তৈরি করতে পারে’ তত্ত্ব আবিস্কার করেন। আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে ফিজিওথেরাপির বিপ্লব ঘটে ১৯২১ সালে। মাদার অব ফিজিক্যাল থেরাপি ‘মেরি ম্যাকমিলান’ এই সময়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আমেরিকান উইমেন ফিজিক্যাল থেরাপিউটিক অ্যাসোসিয়েশন’। বর্তমানে আদর্শআশ্রয়ী কল্যাণ চেতনা নিয়ে ‘আমেরিকান ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন’ নামে এই চিকিৎসা পদ্ধতির স্বর্ণাভ ভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত হৃদয়ছোঁয়া বর্ণনার এই ফিজিওথেরাপি প্রাতিষ্ঠানিক হাসপাতালে পরিষেবা প্রদান করা হতো। সময়ের ফাঁদে পড়ে এর পর থেকে হাসপাতালের বাইরে অনুশীলন হতে থাকে ফিজিওথেরাপি।
বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি আগমন কিছুটা স্মৃতির গভীর থেকে। মুক্তিযুদ্ধের আগুন পোড়া দাগ নিয়ে আহত, পঙ্গু, অক্ষম হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছিল, তাদেরকে কর্মক্ষম ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সতত মনোযোগী চিন্তা করতে থাকেন। ভেতরে ঘুরপাক খাওয়া লালিত সত্যর কাছে নিজেকে সপে দিয়ে তৎসময়ের পৃথিবী বিখ্যাত জার্মান অর্থোপেডিক চিকিৎসক ‘আর জে গাস্ট’ কে আমন্ত্রণ জানান। বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে তিনি দ্রুত সারা দেন। বাংলাদেশে এসে শুরু করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্বাসন চিকিৎসা। এতো রোগী দেখে তিন হতাশ ও বিমর্ষ হন। এখানেই শুরু করেন ফিজিওথেরাপি বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম।
বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ইনস্টিটিউট তাঁর হাত ধরেই ১৯৭২ সালে শুরু হয়। পঙ্গু হাসপাতাল নামে যেটি বিশাল বিস্তার লাভ করেছে। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের অপতৎপরতায় ফিজিওথেরাপি শিক্ষাতেও বিনাশের ইশারা দেখা যায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জন গুরুত্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির ফিজিওথেরাপি শিক্ষা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে শুধু শারীরিক কার্যক্রম বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। শারীরিক পরিশ্রম আর ব্যায়ামের কণামাত্র নিমগ্নচিত্তে বিভোর হলে নানা ধরনের রোগব্যাধি আক্রান্ত হওয়া থেকে দূরে থাকা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে সারা বিশ্বে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রতি পাঁচজনে একজন দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভুগে। আফসোসের কথা ঠিকমতো ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিশ্চিত না হওয়ায় এদের বড় একটি অংশ আংশিক বা পুরোপুরি প্রতিবন্ধীতায় ভুগছে। মাংসপেশি, হাড় ও কোমরের ব্যথা, প্যারালাইসিস, আর্থ্রাইটিস, পঙ্গুত্বসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ব্যাধির পরীক্ষিত চিকিৎসা ফিজিওথেরাপি।
ওষুধের ব্যবহার কমিয়ে অনেকটা সময় নিয়ে বিবেচনা করে সুস্থ্য ও সচল জীবনযাপনে ব্যায়াম বা ফিজিওথেরাপি দিকে ঝুঁকছে ইউরোপ–আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ। অসংক্রামক রোগের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগের কবলে পড়ে শারীরিক–মানসিকভাবে আহত, বাত, কোমর, মেরুদণ্ড, ঘাড়, ব্যথা, ক্রীড়া বা খেলাধুলায় আহত ব্যক্তি, পক্ষাঘাত ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত প্যারালাইসিস সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের সারাৎসার চিকিৎসা ফিজিওথেরাপি। অটিজম, নিউরোডেভেলাপমেন্ট ডিজঅর্জার, স্ট্রোক আক্রান্তদের নিস্পৃহ–নিঃশব্দ–আগাগোড়া ঝকমক চিকিৎসা একমাত্র ফিজিওথেরাপি।
ঐতিহাসিককাল থেকে সৎ এবং শুদ্ধ এই চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল পরিশ্রমজাত। ব্যক্তির কলাকৌশলের উপর নির্ভরশীল। ১৯৮০ সালে স্বাস্থ্য সেবায় কম্পিউটারের আবির্ভাব ও সংযোজনে ফিজিওথেরাপি জগতের বিকল্প জগৎ সৃষ্টি হয়। ম্যানুয়েল কৌশলকে বৈদ্যুতিক উদ্দীপকের মতো নানারকম ডিভাইস দখলের পায়ঁতারা করে। আধুনিকতার ছোঁয়া আর যন্ত্র আবিস্কারের ভেলকিভাজিতে পড়ে অতিবাস্তবতার ভেতর দিয়ে আগাতে থাকে। বর্তমান বাস্তবতায় এই চিকিৎসার প্রতি মানুষের কিছুটা হাহাকারও শুরু হয়েছে। কখনো সখনো তীব্রতার জলন্ত বিস্ফোরণমালা দেখা যায়। গ্রাম জীবনের কেচ্ছা–কাহিনিতে খানিকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিয়ে ফিজিওথেরাপি আলোচনা চলে। মাঠ থেকে ঘাট পর্যন্ত কৌশলি ত্রাসপয়দাকারী এই ফিজিওথেরাপি চতুর্মুখী বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে। এই বিষয়টির শিক্ষা ব্যবস্থায়ও শুভবুদ্ধিমান স্পেশাল থেকে স্পেশালাইজড বৈশিষ্ট্য সংযোজন হতে থাকে। কার্ডিওপালমোনারি, ফিজিওথেরাপি, স্কিন ফিজিওথেরাপি, নিউরোলজিক্যাল ফিজিওথেরাপি, স্পোর্টস ফিজিওথেরাপি, পেডিয়্যাট্রিক ফিজিওথেরাপি, অর্থোপেডিক ফিজিওথেরাপি, সাইকিয়াট্রিক ও সাইকোসোম্যাটিক ফিজিওথেরাপি, জেরিয়্যাট্রিক ফিজিওথেরাপি, অনকোলজিক্যাল ফিজিওথেরাপি, প্রসেসট্রিক এবং গাইনোকলজিক্যাল ফিজিওথেরাপির মতো আলাদা আলাদা শব্দ, পদ এবং প্রবাদ নিয়ে অগ্রগামী হচ্ছে।
বাংলাদেশে বিশেষায়িত ফিজিওথেরাপির এই ইচ্ছারা হালকা–পাতলা নাড়াচাড়া করলেও এখনো বেঘোর ঘোরে। জেনারেল বা ম্যানুয়াল থেরাপির ঘোর কাটাতেই ৭৫ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত সময় লেগেছে। শোষণে–শাসনে নিমজ্জিত অবস্থা থেকে বেরিয়ে ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ফিজিওথেরাপি শিক্ষা কোর্সটি আবার চালু করা হয়। রূপকের আধিক্য নিয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন হাসপাতাল (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে চালু হয় জনগণ গুরুত্বের এই শিক্ষা কোর্স। গড়পড়তা আমেজ নিয়ে এই শিক্ষা দেশের বেসরকারি আরো কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিক চালু হলেও সরকরিভাবে এখন পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার কোন কলেজ বা আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয় নাই। ফিজিওথেরাপির সমস্ত বৈভব নিয়ে দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি শিক্ষা কোর্স চালু করে।
ফিজিওথেরাপি শিক্ষার এই নিটোল বর্ণনার সাথে একেবারে দম্ভহীনভাবে জড়িয়ে আছে ফিজিওথেরাপি ডিপ্লোমা শিক্ষা। তাও সময়ের প্রয়োজনে জনসংখ্যার ভিত্তিমূল হিসাবে একেবারেই নগণ্য। জৌলুসহীন। বার বার হোঁচট খেয়ে পরাজয়ের ভেতর দিয়ে বেঁচে আছে। বাংলাদেশে সত্তাবিনাশকারী চেতনা থাকলেও ১৯৫১ সালে ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপি’। স্বত:সাবলীলভাবে বিস্তৃতি লাভ করে এই সংগঠন। ১৯৯৬ সালে তারা ৮ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস ঘোষণা করে। আত্মপ্রকাশের আকুলতার চিন্তা ফিজিওথেরাপি পেশার সাথে জড়িত পেশাজীবীরা সমর্থন, অনুশীলন ও প্রচার করতে থাকে। সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বাধিক সেবা নিশ্চিত করার বাসনা জাগিয়ে ২০১৯ সালে ‘ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপি’ নিরাভরণ সহজ সরল নাম ঠিক করে ‘ওয়ার্ল্ড ফিজিওথেরাপি।
‘বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন’ ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক এই সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করে বৈজ্ঞানিক প্রমাণভিত্তিক এই শিক্ষার সর্বোচ্চ সম্ভাব্য মানে বিকাশ ঘটাতে শুরু করে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালন। স্বাস্থ্যসেবার এই কার্যকর পদ্ধতিকে মতাদর্শিকতার প্রশ্নে ঊর্ধ্বে রেখে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ১২১টি দেশ একযোগে পালন শুরু করে এই দিবস। বহুশ্রমে সকল ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পেশার উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার এই দিবস ঠিক অর্থে মানুষের বৃহত্তর জীবনে সুফল বয়ে আনুক এই কামনা। লেখক : প্রাবন্ধিক, সমাজকর্মী