দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ

জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই” প্রিয় চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ নির্মিত অন্যতম প্রিয় সিনেমা “হীরক রাজার দেশের” এই সংলাপটি, সিনেমাটি দেখার পর থেকেই নানান সময়ে মজা করে আওড়ালেও, সৌদিতে আসার পর থেকে পড়ছে মনে, তা আরো বেশী। হচ্ছে তা ওরকম কারণ, প্রায়শই এখানে এমন সব আতিক্কা ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছি যে, তাতে এপর্যন্ত প্রায় তিন মাসের কাছাকাছি সময় যে কাটলাম এখানে হাজতি ভিসায় মানে সিংগেল এন্ট্রি ভিসায়, মনে হচ্ছে তাতেও, হায় কতো অজানারে!

আচ্ছা, কোন কিছু জানা ও শেখা, কী এক? কোন কিছু কেউ জানলেই কী ঐ ব্যাপারে সে শিক্ষিত হয়ে উঠে বা শিখে ফেলে তা? একে তো আমি না শিক্ষাবিদ, না দার্শনিক। তারপরও এইরকম নানান আপাত সরল জাতের আদতে জটিল সব প্রশ্ন জাগে কেন মনে, সময়ে সময়ে? আর যখনই জাগে তা, হয়ে যায় অবস্থা মনের যারে বলে এক্কেবারে বেড়াছেড়া, তা। এমতাবস্থায় নিজেকে নিজেই, ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’ বলে উৎসাহ দিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করি কোন না কোন একটা উত্তর। হোক না তা যতই গোঁজামিল জাতীয়, তারপরও উত্তর একদম না জেনে, যষ্টিহীন অন্ধের মতো এগুনোর বদলে ঐ গোঁজামিল উত্তরকেই, উত্তর মান্য করে এগোই। প্রায়শই হয় তাতে নতুন শিক্ষা। এতেই তো মনে হচ্ছে, জানার ও শেখার বিষয়টা এক না।

যেমন, কোন তথ্য কেউ যখন মুখস্থ করে, তবে সে ব্যক্তির জন্য তা একটি জানা তথ্যে পরিণত হয়। এর মানে কি, সেটা তার শেখাও হয়ে গেল? নাহ, তা তো মনে হচ্ছে না ! কারণ প্রয়োজনের সময় সেই তথ্য যদি ঐ ব্যক্তির মনে না আসে, বা আসলেও সে যদি তা কাজ না লাগায়, সেই জানায় লাভ কী? তা হলে তো মনে হচ্ছে কেউ কোন কিছু শিখতে চাইলে, যেতে হবে তাকে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে। এতে শেখা যেমন হয়, তেমনি জানাটাও হয় শক্তপোক্ত। কিন্তু আবার না জেনেও শুধু অভিজ্ঞতায় তো মানুষ শিক্ষা পেতে পারে। অতএব জানি না জানি, কিছু যায় আসে না; বিষয় হল শিখতে হবে প্রতিনিয়ত; এটা আগে যতো না মানতাম, এখানে আসার পর থেকে পাচ্ছি টের তা, হাড়ে হাড়ে। থাকুক জারী তবে প্রতিনিয়ত শেখাটাই, আজীবন!

একটু আগেই বলেছি একটানা প্রায় তিন মাসের কাছাকাছি সময় আছি সৌদিতে। এতগুলো দিন এখানে কাটানোর পর, এই সেদিনও জানতাম না যে এখানকার শপিংমলগুলোতে ‘ফ্যামিলি ডে’ বলে একটা ব্যাপার আছে! কোন কোন মলে সেই দিনটি সপ্তাহের বা মাসের কোন কোন দিন হবে তা আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। আবার কোন কোন মল, আতিক্কা দেওয়া ‘সেইল’ জাতীয় বিপণন কর্মকাণ্ডের মতোই, হঠাৎ করেই ঐদিনটির সপ্তাহখানেক বা দুই তিন দিন আগে তা ঘোষণা করে। তা করুক তা, তাদের ইচ্ছামতো। আমার কী তাতে?

এমনিতে যতোই অপ্রয়োজনীয় মনে হউক না কেন এই জানাটাকে আগে, তাতে আমার অবশ্যই যে কিছু আছে, বুঝলামই তো তা সেদিন; যখন গ্রানাডামলের গার্ডরা দূর দূর করেছিল আমাকে! তবে যেহেতু তাদের ঐরকম ব্যবহার করার কারণটি ছিল তখনও অজানা; ভীষণ মন খারাপ হয়েছিল এই ভেবে যে; এরই মধ্যে আড়ালে আবডালে আমাকে যে কেউ কেউ মিসকিন ডাকে বলে শুনেছি, ঐ গার্ডেরা নিশ্চয় আমাকে সেটাই সাব্যস্ত করে করেছিল ঐ রকম আচরণ? সেটাই যদি হয়, তবে দিনে দিনে হউক যতই পোক্ত আমার সৌদিবাসের আয়োজন বা যতোই অভাবনীয় রকমের ভালো স্যালারি বেনিফিট প্যাকেজ নিশ্চিত করে থাকুক না কেন ফিল আমার জন্য, এই মরুতে তিন বছর কাটাবো কী না? এ নিয়ে এখনি সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।

ধরলাম চ্যালেঞ্জ থেকে শিখবো এমন প্রতিজ্ঞা ও স্বাস্থ্যবান বেতন ভাতাদির লোভে, নিজের চামড়া মোটা করে এরকম নানান আকস্মিক অপমান গায়ে না মেখে, থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তও যদি নেই, আর তারপর, আমার পরিবারকে এখানে নিয়ে আসবার মতো রেসিডেন্ট পারমিট যদি গিউসি যোগাড়ও করে ফেলে, তারপরও একটানা এখানে থাকার জন্য পরিবারকে আনবো না আমি কিছুতেই! কোনমতেই ও কোনকিছুর বিনিময়েই চাই না আমি, দীপ্রর অভ্রর, মানে আমাদের শিশুপুত্রদ্বয়ের হিরণ্ময় শৈশব ও স্কুলজীবন কলুষিত হোক এই হীন বর্ণবাদি মরু হাওয়ায়!

এইসব ভাবতে ভাবতে চূড়ান্ত অপমানহত হয়ে সেদিন বাসায় ফিরে, ঝিম মেরে একের পর এক বেশ ক’টা সিগারেট ধ্বংস করার পর মনে হয়েছিল, আচ্ছা অভিজ্ঞতা যতোই বাজে হউক না কেন, হল কেন এটা তা তো জানা দরকার? না হয় বেহুদাই তো বারবার এর মুখোমুখি হয়ে, হয়ে যাবো ধ্বস্ত বিধ্বস্ত। তাতে আমার সউদিবাসকাল শুধুই তো তেতোই না, বিষাক্তও হয়ে উঠবে। এই ভেবে এখানকার হাল হকিকত, নিয়ম কানুন এসবের ব্যাপারে এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞ হিসেবে যাকে মান্য করি যাকে, করেছিলাম ফোন সেই জিয়াকে। জিয়া, আমার বিবরণ শুনে এখানকার শপিংমলগুলোতে ‘ফ্যামিলি ডে’ নামে যে একটি বিষয় আছে, তা বিশদ বলতেই বুঝেছিলাম যে, নাহ মিসকিন মনে করে না, একাকী পুরুষ হওয়াতেই ঘটেছিল সেদিন ঐ বিড়ম্বনা, আমার।

ঘটনা হচ্ছে, এখানকার কোন শপিংমল যেই দিনটিকে তাদের ‘ফ্যামিলি ডে’ হিসাবে ঘোষণা করে, সেদিন একাকী কোন পুরুষের ঐ মলে ঢোকা নিষেধ। যেতে হবে পুরুষকে সপরিবারে। সপরিবারে মানে শুধু বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে গেলেও হবে না, সাথে একজন নারী অবশ্যই থাকতে হবে। শুনে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আচ্ছা যদি কোন নারী একাকী যায় শপিংমলে তখন কী হবে?

জিয়ার উত্তর ছিল সে ব্যাপারে মল কর্তৃপক্ষের কোন বিধিনিষেধ আছে কী না, তা তার জানা নাই। তবে এটা জানা যে, এখানে কোন নারী একাকী ঘোরাফেরা করলে এবং তা মোতওয়ার নজরে পড়লে খবর আছে সেই নারীর। শরিয়াহ আইনের রক্ষক মোতাওয়ারা, মাহরাম ছাড়া নারীদের ঘোরাফেরা করা মোটেও সহ্য করে না!

জিজ্ঞেস করেছিলাম তাতে, তার মানে কী? নানান শপিংমলের ফ্যামিলি ডে, কবে তা জেনে আমাকে একটা শপিংমল ক্যালেন্ডার বানাতে হবে নাকি? আর যে সব শপিংমল হঠাৎ করেই ‘ফ্যামিলি ডে’ ঘোষণা করে, সেটাই বা জানবো কিভাবে?

এর উত্তরে জিয়া বলেছিল ‘অতো কিছুর দরকার নাই ভাই! কোন শপিংমলে যাওয়ার পর যদি দেখেন গেইটে খুব সিরিয়াসভাবে গার্ড ঘোরাফেরা করছে, ধরে নেবেন চলছে ফ্যামিলি ডে। এছাড়া ঐ দিন শপিংমলের গেটে ব্যানারও লাগানো থাকে।’ জানা ও শেখা নিয়ে মনের ঐ ঘোরপ্যাঁচ শুধু ঐ ফ্যামিলি ডে নিয়েই তো লাগে নি, লেগেছিল তা গত সপ্তাহজুড়ে ঘটা আরো কিছু কারণেই। ফলে এখন গোটা গত সপ্তাহটিকেই শিক্ষাসপ্তাহ মনে হচ্ছে।

যেমন অনেক আগে থেকেই তো জানতাম, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল, তেমনি এখানে আসার অল্প কদিনের মধ্যেই জেনেছিলাম আমার টিমের আফিফি যে আস্ত একটা ইংরেজিতে যাকে বলে ‘হার্ড নাট’ ও ফাঁকিবাজ, তাও। কিন্তু সেদিন যদি দিরাব গলফ কোর্সে সারাদিনব্যাপী অফসাইট টিম মিটিংটি না করতাম, তা হলে তো শেখাই হতো না এর ফলাফল। অথচ ঐ মিটিংয়ে যাওয়ার আগে অন্যান্য টিম মেম্বারদের মতো আফিফিকেও যখনই জিজ্ঞেস করেছি তার কোন সাহায্য সহযোগিতা লাগবে কী না, বরাবরই সে উত্তর দিয়েছে– “দোনত অরি ড. সেলিম, আই আন্ডারস্টয়ান্ড হোয়াট নিদ টু বি ডান। ইনশাল্লাহ আই উইল ডু।”

এমনকি মিটিংয়ের আগের দিনও তাকে জিজ্ঞেস করেছি যখন প্রস্তুতি তার কেমন? আর শেষ মুহূর্তে হলেও তার জন্য আমি কিছু করতে পারি কী না? অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর এসেছিল– “আলহামদুলিল্লাহ! এভ্রি থিং ইজ ফাইন!” অতঃপর যথারীতি শেষপর্যন্ত সে করেছে তুমুল হতাশ, শুধু তো আমাকে না গোটা টিমকেই! বলেছে তা কান্ট্রি হেড ফিল থেকে শুরু করে বাকী সবাই, মিটিঙয়ের ফাঁকে ফাঁকে একান্তে। মিটিংয়ের নানান ব্রেকে।

আর ভাল যে সব জানা বিষয়, শিখলাম হাতে কলমে ঐদিন, তা হল নাশাত ইজ এ রাইজিং স্টার। অভিজ্ঞ রাদি, অভিজ্ঞতার প্রমাণ রেখেছে চমৎকার। শুধু তার টিমের সাদেক খাপাগার উন্নতি করা দরকার। এ বিষয়ে রাদি দিয়েছে স্থির নিশ্চয়তা। ফলে আশ্বস্ত হয়েছি।

টিমের সার্টিফিকেটম্যান পাকিস্তানি কানাডিয়ান আমির শামিম, স্টেজে ভালই মেরেছে। কিন্তু তার পেছনে মিটিংয়ের আগ পর্যন্ত প্রচুর সময় দিতে হয়েছিল আমাকে। যেমন দিতে হয়েছে একই রকম সময় ও শ্রম, মোহামেদ হাশিস ও আহমেদ হেলালকেও। এতে হেলাল উৎরে গেলেও, হাশিশ খেয়েছে হোঁচট। বাসেম বারমাহ নামের জর্ডানি তরুণটি, যে তার আধাসময় আমার টিমে কাজ করে বাকী সময় কাজ থাকে তার তালাত আদ দিব নামের আমাদের ইন্সটিউশন সেলস ম্যানেজারের সাথে; কিছুদিন আগেই তাকে চেনার পর খুব ভাল কাজের লোক ও বুদ্ধিমান হিসেবে জানলেও; এই মিটিংয়েই বুঝতে পেরেছি, তার আধা বস মিশরি তালাত, মিলিটারির সুবেদার মেজর স্টাইলে সারাক্ষণ তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। বেচারার জীবন হয়ে উঠেছে তাই ফানা ফানা। এ থেকে দ্রুত তাকে উদ্ধার না করা হলে ত্যক্ত বিরক্ত হয় উদিয়মান এই তরুণটি চলে যেতে পারে অন্য কোন কোম্পানিতে।

এছাড়াও, শিখেছি যা আরো হাতে কলমে ঐ মিটিং থেকে তা হল, আমার টিমে রাদির মতো অভিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান আরেজনকে দরকার, যে আমির শামিম, মোহামেদ হাশিশ, আফিফি ও হেলালকে গাইড করতে পারবে। তা না হলে অতিরিক্ত যে সব দায়িত্ব বর্তেছে ঘাড়ে ওসব নামাতে পারব না। আর মোহাম্মেদ আল গার যে নাকি আমির শামিমের ব্র্যান্ডগুলোর সেলস দেখে এবং যার ঘাড়ে বন্দুক রেখে, সারা দেয়ালে নানান সার্টিফিকেট ঝুলিয়ে সেই হুজরায় সারাক্ষন গ্যাঁট হয়ে বসে থাকেন মহামতি আমির শামিম, তাকে টিমে নেয়া গেলে ভাল হয়; কারণ শামিমের উপর লোডও কিছুটা বেশীই আছে। এ ব্যাপারে প্রথমে খলিলের সম্মতি নিয়ে নিতে হবে আল গারের মতামতও। শেষ বিকেলে অফিসে থেকে বের হবার আগে নিজের উপরিল্লিখিত অতোসব শিক্ষাবিষয়ে জাবর কটাতে কাটতে ভাবছিলাম যখন ভালই একটা শিক্ষাসপ্তাহ কাটলো, ঠিক তখনই, কাজী সালাহ উদ্দিন উদয় হয়ে বুঝিয়ে দিল এ জীবনে শেখার কোন শেষ নাই!

এই কাজীসাহেবকে, সপ্তাহ দুয়েক আগে অফিসে আমাদনি করেছে সিএফও আমিন ইব্রাহিম সরাসরি পাকিস্তান থেকে একাউন্টস ম্যানেজার পদে। ডিসেম্বরের মধ্যে কোম্পানির যেই কন্ট্রোল ও কমপ্লায়েন্স ফ্রেমওয়ার্ক কার্যকর করতে হবে, তার জন্য আমিনের টিমে লোক বাড়ানো যে প্রয়োজন, তা মানি। আর তার লোক সে কোন জায়গা থেকে আনবে, সেটাও তারই ব্যাপার। এ তো আমার মাথাও না, তাই ব্যাথাও থাকার কথা না।

কিন্তু শুরু থেকেই দেখছি এই কাজী, দেখা হলেই তার খাস পাকিস্তানি খাসলতে, আমার সাথে উর্দুতে “আয় মেরা ভাই! হামরা তো এক হি মুলুক থা” মার্কা কথা বলে গায়ে পড়ে। তদপুরি, সে তার বস আমিন ইব্রাহিমের সামনে পেছনে ক্লিন্ন প্রজার মতো মাথা নিচু করে সারাক্ষণ আমিনকে স্যার স্যার করলেও আমার সাথে তার যাবতীয় ভঙ্গী এমন, যেন বা আমি তার সহকর্মী! নাহ নিজ পদভারে কখনোই অবশ্যই পায়াভারী হয় না আমার। তবে কাজী যে শুধুমাত্র বাংলাদেশি হওয়াতেই আমার ভারী ঐ পদটাকে অবলীলায় উপেক্ষা করে জিগ্রি দোস্তির ভাব করছে, তাও তো সহ্য করা ঠিক না। এই ভেবে এতদিন তার ঐ আচরণ দেখে ও তা না দেখার ভান করলেও, একটু আগে রুমে উদয় হয়ে সে তার আচরণের পুনরাবৃত্তির উপক্রম করতেই ঠাণ্ডায় গলায় বলেছিলাম, লুক কাজী, আই হ্যাভ নো ক্লু এবাউট উর্দু। সো, উইথ মি ইটস ইংলিশ এন্ড অনলি ইংলিশ, অলওয়েজ ইংলিশ। কিপ ইন মাইণ্ড, নো ব্রাদার বিজনেস ইন অফিস। ওয়েল হাও মাচ ইউ নো এবাউট নাইন টিন সেভেন্টি ওয়ান? এতে কাজী ভড়কে গিয়ে এক্কেবারে এটেনশন হয়ে, প্রথমবারের মতো আমাকে “ইয়েস স্যার” বলতেই শিখলাম আবারো অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই যে, হাড়েমজ্জায় পাকিস্তনিরা কখনোই বাঙালিকে সম্মান করতে জানে না, চায় না। আসলেই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যে জানা ও শেখা, তার বিকল্প হয় না কোনো!

লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণসাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউপেক্ষিত চা শ্রমিকদের ঝুমুর নৃত্য
পরবর্তী নিবন্ধদুর্নীতি প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন