দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২ মার্চ, ২০২৫ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

এ কি ছিল তবে স্বপ্নদৃশ্য নাকি? নাহ! ঐ তো শুনতে পাচ্ছি ফের সেই একই শব্দ! আচ্ছা আমি আছিই বা তবে কোথায়? একটু আগে তো মনে হচ্ছিল আছি চাঁদপুরের সাপদি গ্রামের বহরদার বাড়ির আমার দিদির ঘরের বাইরের রুম, যেটিকে বলে আতিনাঘর, আছি শুয়ে সেই ঘরের চৌকিতে, কাঁথা মুড়ি দিয়ে। অঘ্রাণের এই সন্ধ্যায় বেশ শীত শীতই লাগছে। বাইরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায়, ঘরের পেছনের গাছগাছালিতে পাখিরা যে ফিরছে সব দলে দলে, কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকলেও বুঝতে পারছি তাও পরিষ্কার; দিনশেষে ঘরে ফিরতে পারার আনন্দে আনন্দিত পাখিদের কুজনে কিম্বা কোন ডালের কোথায় বসবে কে, এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে লেগে যাওয়া ঝগড়াঝাটি খুনসুটিজনিত কারনে সৃষ্ট কলকাকলিতে। বড় কথা সেসবও ছাপিয়ে এরই মধ্যেই তো শুনলাম মনে হচ্ছে, ঘরের পেছনের ঘন গাছগাছালিতে ভরা যে বড় জমিখণ্ডটি আছে সেটির ওপাড়ের ঘোষবাড়ি এবং বাড়ির ডানের সীমানার শেষে রাস্তা পেরুনোর পর শুরু যে চক্কোতিদের বাড়ি, এই দুই বাড়ি থেকে ভেসে আসা উলুধ্বনি!

কিন্তু শুধুই উলুধবনি কেন? শাখের আওয়াজই বা শুনিনি কেন? কিম্বা কেনই বা শুনতে পাচ্ছি আমাদের মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজান! শুয়েই বা আছি কেন এইসময় বিছানায়। গ্রামে বেড়াতে যাওয়া শহুরে বালক আমার এরকম বিকেল বা ভরসন্ধ্যায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে সময় নষ্ট করার তো কোন মানে হয় না! অসুস্থ নাকি আমি তাহলে?

নাহ, বিছানাটাও তো আতিনাঘরের চৌকির মতো শক্ত তো মনে হচ্ছে না। পুরানো শাড়িতে তৈরি গ্রাম্য রোদের গন্ধ মাখা মোটা কাঁথার বদলে গায়ে তো দেখছি ঝকঝকে নতুন, তুলতলে নরম আর বিদেশী সুগন্ধির সুবাস মাখা কম্ফোর্টার। এছাড়া নিজেকে তো বিশাল চৌকির মাঝামাঝি কাঁথামুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা বালক মনে হচ্ছে না। নরম বিছানার এ মাথা ও মাথা জুড়ে প্রলম্বিত মনে হচ্ছে নিজের দৈর্ঘ! ঘটনা কী?

এমত ভাবিতে ভাবিতে অতপর কিছুটা ঘোর ভাঙ্গিতেই হৃদয়ঙ্গম করিলাম যে, আছি শুইয়া, সদ্য পরিচিত এক বিছানায়; অবস্থান যাহার মরু শহর রিয়াদের একপ্রান্তে, কাড়ি কাড়ি রিয়াল আর মরু খররোদে বাস্প হয়ে যাওয়া অসংখ্য মানুষের ঘামের বদৌলতে গড়ে উঠা গ্রানাডা কমপাউন্ড নামের এক টুকরো সবুজ অমরাবতীতে, আমার ফ্ল্যাটে।

আড়মোড়া ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে গা থেকে এসময় কম্ফোর্টারের ওম সরিয়ে দিতেই টের পেলাম, নীরবে নিঃশব্দে চলমান ঠাণ্ডাইযন্ত্র, এই মরুঘরে আসলেই নামিয়েছে বাংলার গ্রামের অঘ্রাণের শেষ বিকেলের হিম। খুব হালকা করে হলেও বাইরে থেকে ভেসে আসছে বাংলোর সামনের এবং পেছনের গাছগাছালিতে ফিরে আসা পাখীদের মধ্যে বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ চড়ুইদলের কিচির মিচির। জানালায় টানানো ভারী পর্দার ফাঁক গলে আসা আলোর আভাসে বোঝা যাচ্ছে, নামিছে সন্ধ্যা মরুতে এখন। তাহলে এই যে একটু আগে দৃশ্যমান হয়েছিল যা চোখে এবং যে উলুধ্বনি ও পাখির কুজন এসেছিল কানে, তা স্বপ্নে ঘটমান কোন বিষয় ছিল কী?

সেটাই বা হবে কেন? এ মুহূর্তে উলুধ্বনি কানে না আসলেও, ঘরেফেরতা পাখির কুজন শুনছি ঠিকই। শীত শীত লাগার ব্যাপারটাও তো বাস্তবই মনে হচ্ছে। পড়েছি তাহলে এ কোন বিভ্রমে? আচ্ছা, কী বার আজ? পর্দার ফাঁক দিয়ে আসা আলোর আভাসে তো বুঝতেই পেরেছি যে, এ হলো গোধূলি লগন। এ সময়ে বিছানায় কেন আমি? ফের এ প্রশ্ন মনে আসতেই, নাহ, উঠা যাক! এই ভেবে বিছানা ছাড়তেই স্থান ও কাল বিষয়ে কিছুটা সম্বিৎ পেতেই সাথে মনে হল, নাহ যাই রান্না ঘরে। এক কাপ চা বানিয়ে খেতে হবে আয়েশ করে।

অতপর রান্নাঘর বিষয়ক যাবতীয়যন্ত্রে লোডেড রান্নাঘরে ঢুকে আম্মার সাবেকি রেসিপিতে কড়া লিকারের দুধ চা বানানোর জন্য সসপেনে পানি নিয়ে চুলায় চড়িয়ে দিতে দিতে মনে হলো, যতোই লোডেড হউক রান্নাঘর আর হউক ভাড়ার আমার যতোই পূর্ণ, ঐ চা বানানো তো সম্ভব না। প্রথমত নাই একাধিকবার জ্বাল দিয়ে দিয়ে, চায়ের জন্য যে ঘন গরুর দুধ রাখতেন আম্মা মজুদ রান্নাঘরে, নাই তো তা! আগামিতে তা যোগাড় করে সেই শুন্যতা পূরন করা গেলেও, আরকেটি শুন্যতা তো কখনোই পূরণীয় নয়; তা হলো চায়ের কাপে কাপে চামচ নেড়ে নেড়ে গুলে দেওয়া আম্মার মমতা। কিন্তু কী আর করা! জীবনতো এরকমই। আপাতত গুঁড়াদুধ দিয়ে চা বানিয়েই মেটানো যাক সেই অমৃতের তেষ্টা।

চুলায় চায়ের পানি চড়িয়ে বাথরুমে গিয়ে মুখে পানির ঝাপটা দিতেই মনে পড়লো আরো যে, শুক্রবার আজ। সকালে বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠে, আলুভর্তা, ডিম ভাজার সাথে পান্তা ভাতের ভরপেট একটা জম্পেশ নাস্তা সেরে, দুপুরের রান্না করতে করতে দুপুর দেড়টা বাজতেই ফোন পেয়েছিলাম আমিন ইব্রাহিমের। প্রশ্ন ছিল তার, জুম্মা পড়তে যাবো কি না? যদি যাই তবে, যাওয়ার সময় তুলে নেবে সে আমাকে। ২২০/২২৫ টি বাংলোর এই কমপাউন্ডে ছোট বড়, ইনডোর আউটডোর মিলিয়ে মোট ১২ টি সুইমিং পুল, একটা বেশ বড়সড় ডান্সফ্লোর সম্বলিত বিরাট কমিউনিটি হল থাকলেও কোন মসজিদ নাই। তাতে অবশ্য অবাক হইনি। কারণ আমাদের দেশের মতো রিয়াদে প্রতি দেড় দুই হাত অন্তর মসজিদতো দেখিনি এ পর্যন্ত। আমিনের বলছিল, জুম্মা পড়তে যেতে হবে কমপাউন্ডের বাইরে প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার দূরের এক জামে মসজিদে! যদি যাই আমি, তবে মিনিট দশেকের মধ্যে আসছে সে।

আমিনের প্রস্তাবে এককথায় রাজী হয়ে রান্না বন্ধ করে, সাথে সাথে জুম্মা পড়তে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে লেগে গিয়েছিলাম সে সময়। তারপর পুরো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চোখ আন্দাজ আড়াই বা তিন হাজার লোকের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন, ইউরোপিয়ান টেকনোলজিতে তৈরি, চমৎকার আরবিয় কারুকাজ সম্বলিত সে মসজিদে গিয়ে যা দেখে অবাক বনেছিলাম, তা হল ঐ মসজিদের দেয়ালে বাংলায় লেখা নামাজের সময়সূচীসহ বাংলা অক্ষরে আরবি উচ্চারণে নানান দোয়া দরুদ লেখা থাকতে দেখে! তাতে, সাথে সাথেই এবং তারপর ক্ষণে ক্ষণে চারদিকে চোখ বুলিয়ে নামাজিদের মধ্যে দেশিভাইদের মুখ খুঁজে পেতে সফল না হলেও, ধরে নিয়েছিলাম আছে এই এলাকায় দেশী ভাইদের বসবাস ভালই। তদুপরি এখানে এসে আস্তানা গাড়ার পর থেকে বাগানের গাছে গাছে, আর নানান বাংলোর কার্নিশে কার্নিশে প্রচুর ঘু ঘু আর চড়ুইয়ের ওড়াউড়ি ঘোরাঘুরি কারনে, মরুর খর আবহাওয়াকে অবলীলায় উপেক্ষা করে, এই কমপাউন্ডকে এক টুকরো সবুজ বাংলাদেশ ভেবেছিল নিশ্চয় অবচেতন মন।

সে কারণেই জুম্মাফেরত আমি দ্রুত রান্নার বাকি কাজ শেষ করে বেশ দেরীতে দুপুরের খাওয়া খেয়ে, বিছানায় পিঠ লাগিয়ে বস ফিল রাশের কাছ ধার করে আনা সৌদিবিষয়ক একটা বই পড়তে পড়তে যখন পান্তার হাত ধরে চলে গিয়েছিলাম ঘুমের রাজ্যে, তাতেই মনে হচ্ছে হয়েছিলাম হাজির, চাঁদপুরের গ্রামের নিজেদের ভিটায়?

নাহ, ভালই তো হয়েছে। ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসে চায়ের কাপে পরীক্ষামূলক ছোট্ট চুমুক দিয়ে নিজের চা বানানোর প্রতিভায় মুগ্ধ বিমোহিত হয়ে উপর্যুপরি দ্বিতীয় পরিপূর্ণ চুমুক দিতেই এ সময় ভেসে এলো কানে সমন্বিত নারী কণ্ঠের সেই উলুধ্বনি ফের!

নাহ তাহলে তো মানতেই হয়, বিছানায় শুয়ে শোনা পাখির কলকাকলির মতো এই উলুধ্বনিও তো দেখছি স্বপ্ন নয়। এতো বাস্তবই! কিন্তু কথা হচ্ছে এই পবিত্রভূমিতে আমাদের দেশে কাফিরি শব্দ বলে বিবেচিত এই উলুধ্বনি দিচ্ছে কে বা কারা? এতো সাহস কাদের? এ কি তবে এই কমপাউন্ডের ভেতর থেকেই আসছে? কারণ এই কাম্পাউন্ডের বাইরের সৌদিভূমিতে নিধিদ্ধ বলে বিবেচিত অনেক ব্যাপারতো মোটেও নিষিদ্ধ নয় এর অন্দরে। যেমন কোন নারীকে কমপাউন্ডের ভেতরে তো বোরকা পরতে হয় না। কিম্বা ভেতরে পুরুষদের শর্টস পরে ঘুরে বেড়ানোয়, নাই কোন মানা। তেমনি আমার জানা মতে সৌদিতে এমনিতে যে কোন কাফিরের ধর্ম পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকলেও, সেটিও কি তবে কমপাউন্ডের ভেতরে প্রযোজ্য নয় নাকি?

এদিকে আমার বাংলোটির অবস্থান গেটের একদম কাছাকাছি হওয়ায়, আর যে দিক থেকে এইমাত্র বেশ কিছুক্ষন ধরে প্রলম্বিত ঐ উলুধ্বনি এলো, তাতে তো মনে হচ্ছে, এসেছে সে শব্দ বাইরে থেকেই। তার মানে কী? মসজিদে বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড দেখে যে ভেবেছিলাম, আশেপাশেই আছে দেশী ভাই বোনদের বসবাস, তাদের মধ্যে আছে নাকি তবে সনাতন ধর্মীদেরও একাধিক পরিবার? ঐ উলুধ্বনিতে তো পরিষ্কার বোঝা গেছে, ছিল তাতে একাধিক নারীর অংশগ্রহণ। না, অনতিবিলম্বে এ সন্ধ্যার মরু উলুধ্বনির রহস্য ভেদ করতেই হবে! অর্থাৎ সেই সুদূর কৈশোরে রহস্য উপন্যাস পড়ার পর প্রায়শই চারপাশের নানান রহস্য ভেদ করার যে তুমুল আকাঙ্ক্ষা জাগতো, সেরকমই একটা উত্তেজিত ভাবের উদয় হল মনে! অতঃপর রহস্যভেদের কৈশোরিক সেই তুমুল উত্তেজনার তাড়ায় দ্রুত চা শেষ করে, গায়ের টি সাটের্র সাথে জিন্স পরে পায়ে হ্নটন জুতা গলিয়ে, দ্রুত নীচে নেমে এসে বাংলোর সামনের নির্ধারিত পাকিং সেড টির শুন্যস্থান দেখে মনে হল, আহা বুধবার সন্ধ্যায় সাইফ আমাকে নামিয়ে দেয়ার পর গাড়িটাও রেখে যেতে চেয়েছিল, পাছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কোন কাজে লাগে আমার। রাজী হইনি তাতে আমি। ভেবেছিলাম এমনিতেই আছি ‘নট ফর ওয়ার্ক’ ছাপ্পড় মারা হাজতি ভিসায়, মেয়াদ আছে যার আর মাত্র দুই মাস কয়েক দিন, এমতাবস্থায় অপটু হাতে উল্টা দিকের স্টিয়ারিং সম্পন্ন এই নতুন গাড়ি চালাতে গিয়ে, কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হাঙ্গামায় পড়তে চাই না। মনে হচ্ছে এখন, গাড়িটা থাকলে ভালই হতো। একটু টেস্টভ্রাইভ করে হাত পাকানো যেতো যেমন, তেমনি এই রহস্যভেদ অভিযানে যাচ্ছি গাড়ি চালিয়ে, তাতে একটু মাসুদ রানা মাসুদ রানা ভাবও হতো।

ঘটনা হচ্ছে রিয়াদে সেই প্রথমবার আসার দিন তিনেক পর থেকে এই চারদিন আগ পর্যন্ত আমার জন্য ড্রাইভার সাইফ চালিত অফিসের একটি পুল কার নির্ধারিত ছিল। হোটেল ছেড়ে এখানে এসে ফ্ল্যাটে আস্তানা গাড়ার পরদিনই গিউসি বলেছিল– ‘বাড়ি তো হল, এবার তাহলে নিজের গাড়িও নিয়ে নাও।’

বলেছিলাম শুনে, সেটা তো ভালই হয়। তা এখানকার নিয়ম অনুযায়ী কোন গাড়ি নিতে পারি? সেটি কি কিনতে হবে নাকি কেনাই আছে? “পলিসি মোতাবেক তোমার জন্য যা বাজেট তাতে তুমি নতুন প্রাডো কিনতে পারো, কিনেছে যেমন আমিন। এছাড়া আমিও চালাই প্রাডো। চাইলে তোমার জন্যেও সেটা অর্ডার করতে পারি, তবে তাতে দু চার দিন দেরী হতে পারে। যদি কিছু মনে না করো অফিসের পার্কিং লটে লক্ষ করেছ কি যে একটা লাঙারি সিডান মজুদ আছে। মাত্র ৮/৯ মাস আগেই কিনেছিলাম মোহাম্মদ মেতওয়াল্লির জন্য ৩৫০০ সিসির ঐ টয়োটা এভালনটা। কেন জানি এস ইউ ভির চেয়ে সিডানই পছন্দ ছিল তার।

ঠিক আছে ঠিক আছে, কী দরকার তাহলে নতুন করে গাড়ি কিনে অফিসের টাকার অপচয় করার? ওটাই নেব। গিউসির কথার মাঝখানে এ কথা বলে উঠতেই, সেদিন বিকেলেই সেই এভালন বরাদ্দ হয়ে গিয়েছিল অধমের নামে। তাই পুল কারের বদলে সেই থেকে সাইফ আনা নেয়া করছিল আমার নামে বরাদ্দ হওয়া সেই গাড়িতে।

এদিকে এই সন্ধ্যায় মরুর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালকা কিছুটা শীতল হয়ে আসা বাতাস কেটে, কমপাউন্ডের তিন স্তরের প্রহরীদের কিছুটা অবাক হয়ে যাওয়া চোখের সামনে দিয়ে বেশ দ্রুত হেঁটে এরই মধ্যে, কমপাউন্ড এলাকার বাইরের বিশাল বিশাল সাইজের তিনটি বিলাসবহুল বাংলো পেরিয়ে আলোক সজ্জায় মোড়া চতুর্থ টির সামনে এসে দাঁড়াতেই পর পর পথ আগলে দাঁড়ালো একটি হামার ও আরেকটি বিশাল দেহী এক ক্রাইস্লার এস ইউ ভি। চকিতে তাতে রাস্তার পাশে সরে দাঁড়াতেই গাড়িদ্বয় থেকে, সৌদি তোব আর বোরকা পরিহিত একে একে চার জন নারী ও পুরুষ বেরিয়ে বাড়ির গেটের দিকে অগ্রসর হতেই, ভেতর বাড়ি থেকে এ সময়ের মরুর সুনশান সান্ধ্য নিস্তব্ধতা ভেঙে কানে এলো সম্মিলিত নারী কণ্ঠের উলুধ্বনি ফের!

লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআত্মার পরিশুদ্ধি ও সংযমের মাস রমজান
পরবর্তী নিবন্ধসমকালের দর্পণ