মরু নদীর পাড়ে গিয়ে দাঁড়াবার তীব্র বাসনা নিয়ে গিউসির গাড়িতে উঠতে উঠতে মনে হল ফের যে, এখনোতো পাইনি দেখা মরুভূমিরও। ফলে ছোটবেলায় মরুজাহাজ বলতে যে জন্তুটিকে চিনেছিলাম, দেখা পাইনি সেটিরও। অথচ দুইবারে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় মাসের কাছাকাছি থাকা হয়েছে রিয়াদে। এ ব্যাপারে আপাতত সুখবর হল গিউসির সাথে বাড়ি দেখতে প্রথমবারের মতো দিনের বেলায় বেরুতে পারায় রিয়াদ শহরের একটা অংশের কিছুটা অন্তত দেখতে পাবো।
আগেও বলেছি বলছি ফের, যখন থেকে পশ্চিমা টেকেনলজি ও বিনিয়োগের জোরে মরুবালির গহীন গভীর থেকে তরল সোনা উপরে উঠতে শুরু করেছিল সে থেকেই বদলে যেতে শুরু করেছিল আমূল এই অঞ্চল। ফলে যতোটাই দেখেছি রিয়াদ এ ক’দিনে, সে তো হলো এ গ্রহের অন্যতম একটি আধুনিক নগরী। চারদিকের নানান বয়সি নানান সাইজের, ডিজাইনের দালানকোটা, বিশাল চওড়া সব রাস্তাঘাট, আর তাতে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটন্ত আমেরিকান, জার্মানি, ইতালির বিখ্যাত সব কোম্পানির নতুন মডেলের নানান সাইজের বিলাসসবহুল সব গাড়ী দেখে, বোঝার তো কোনই উপায় নাই যে, এটা মরুভূমি! বরং এইসব মরুদেশে আজকালমরুভূমি দেখতে হলেও নগদ রিয়াল দেরহাম ডলারে টিকিট বুকিং দিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে হয়। এছাড়া ইচ্ছে করে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে মাথার উপর প্রজ্জলিত মার্তণ্ডটির উত্তাপ গায়ে না লাগালে, উপায়ই তো নাই বোঝার কারো যে, আছে সে মরুতে। উল্টা সবইতো আছে এখানে ঠাণ্ডাইযন্ত্রের আওতায়।
সে যাক গিউসির গাড়ি পার্কিংলট থেকে বেরিয়ে অফিসের সামনের তাহলিয়া স্ট্রিটের যে রাস্তাটি আধা কিলোমিটারটাক এগিয়ে গিয়ে লম্বাচওড়া এক হাইওয়েটির যে জায়গায় গুঁতো খেয়ে থেমেছে, সেখানটায় এসে ট্রাফিকের লাল সিগন্যালের পাল্লায় পড়ে থামতেই জিজ্ঞেস করলাম, নাম কী এই সড়কের?
“ওহ তুমি এদিকটায় আসো নি নাকি? এ হলো রিয়াদের অন্যতম প্রধান সড়ক, কিং ফাহাদ রোড। রিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক এলাকা আল ওলেয়া ডিসট্রিক্টের মধ্য দিয়ে যাওয়া এ সড়কের যে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে আছি এখন, তা থেকে বাঁয়ে কিলোমিটারখানেক এগুলেই পাওয়া যাবে রিয়াদের দ্বিতীয় উচ্চতম ফয়সালিয়া টাওয়ার। আর ডানে এক দেড় কিলোমিটারে এগুলে পাওয়া যাবে মামলাকা টাওয়ার। যাবো আমরা ডানেই মানে মামলাকার দিকেই।”
তা আর সুযোগ পেলাম কোথায়? প্রতিদিনের দৌড় তো ছিল আমার এতদিন, হোটেল অফিস হোটেল। তবে হ্যাঁ ঐ দুটোরই মাথা দেখেছি তাহলিয়া থেকে, যখনই বেড়িয়েছি দুপুরে খেতে। পিরামিডমার্কা মাথার ভেতরে বিশাল কাঁচের গোলক নিয়ে ফয়সালিয়া আর চমৎকার প্যারাবোলা মাথার উপরে ঝুলন্ত ব্রিজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে মামলাকা,এটুকু অবশ্যই জানি। এ বলতে না বলতেই, এসময় চোখে ধাঁ ধাঁ লাগিয়ে একদম নাকের সামনে দিয়ে বিদ্যুৎগতিতে পর পর দুটো বিশালদেহী এস ইঊ ভি কে উড়ে যেতে দেখে আঁতকে উঠলাম! আরে এ কি? এ কি রেসিং ট্র্যাক নাকি? স্পিডলিমিট নাই নাকি এখানে?
“তা তো আছেই। কিন্তু সৌদিরা কোন পাত্তা দেয় না ওসবের। এখানকার আইন যাই থাকুক, ব্যক্তিনিরিখে তার মানে কিন্তু নানান রকম হয়। মানে নন সৌদির জন্য আইনের যা মানে, সৌদির জন্য কিন্তু তা না। আবার সৌদির জন্যও আইন কেমন হবে, নির্ভর করে তা, কোন জাতের সৌদি সে, তার উপর! শুনতে পাচ্ছি রাস্তায় নাকি স্পিডরাডার বসানো হবে শিগগির। গোটা ট্রাফিক সিস্টেমটাও কম্পিউটারাইজড হবে। তখন নাকি কেউ কোন আইন ভাঙ্গলে জরিমানার মেসেজ চলে যাবে সোজা মোবাইলে। দেখা যাক তাতে কিছু বদলায় কী না।”
গিউসির কথা শুনতে শুনতে মনে হল, এতোদিন, রিয়াদের রাস্তায় জেনারেল মোটরস, ক্রাইস্লার, মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, পোর্শ, লেক্সাস, টয়োটার প্রাডো ইতাদি সব দেখেছি ঝাঁকে ঝাঁকে অবশ্যই। তবে ওইগুলিকে এরকম উড়ন্ত গতিতে ছুটতেতো দেখিনি! সাথে সাথেই মনে হল, সকালের অফিস টাইমে ও শেষ বিকেলের ছুটির সময়, রিয়াদের চওড়া সব রাস্তায় যেরকম গাড়ির ভিড় জমে, তাতে ঐরকম উড়ন্ত গতিতে গাড়ী চালানোর সুযোগ তো কম। আর এখন চোখের সামনে দেখলাম যা, তাতে মনে হলো ঐ চালকদ্বয়, রাস্তায় গাড়ী চালিয়ে তৃপ্ত নয়। চওড়া এই রাস্তাটিকে রানওয়ে জ্ঞান করে সেটির উপর দিয়ে তাদের বাহন দুটোকে ঝড়ের গতিতে তাড়িয়ে নিয়ে, সামনে কোথাও বিমানের মতো টেক অফ করাতে চাচ্ছে গাড়ী দুটোকে! তাতে গাড়ির টেক অফ তো অবশ্যই হবে না, বরং সমূহ সম্ভাবনা আছে তাদের নিজেদেরই টেক অফ করে উর্ধ্মুখি যাত্রা করার।
“বুঝলে রোড এক্সিডেন্টের মৃত্যর হারে সৌদি কিন্তু আছে সবদেশের মধ্যে উপরের দিকেই।” আমার ভাবনার পিঠাপিঠি বলা গিউসির এই কথার সাথেই এসময় ট্রাফিক বাতি সবুজ হয়ে উঠতেই হুঁশ করে গাড়ী কিং ফাহাদ রোডে উঠতেই, মারকুটে ড্রাইভারদের এই রাস্তায় কথা বলে গিউসির মনোযোগ নষ্ট করার ঝুঁকি না নিয়ে, চুপচাপ চারদিকে তাকিয়ে বিশাল রিয়াদ শহরের এই অংশটির ব্যাপারে একটু ধারণা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
বিশাল এই হাইওয়েটি মাঝ বরাবর আইল্যান্ড দিয়ে দুই ভাগে ভাগ করা। আইল্যান্ডে একটি আরেকটি থেকে একদম মাপা দূরত্ব বজায় রেখে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একই উচ্চতার সারি সারি খেজুর গাছ। খর্জূরবিথিসজ্জিত আইল্যান্ডের দুইপাশে গনগনে মরুসূর্যের নীচে নির্দ্বিধায় চওড়া বুক চিতিয়ে শুয়ে থাকা সড়কটির দুই পাশেই রস্তার দুই বিপরীত মেরুতে যাওয়ার জন্য আছে তিনটা করে লেইন। সড়ক পেরুলেই আছে দু পাশেই কংক্রিট মোড়া চওড়া হাঁটাপথ। যদিও দেখছি না কাউকে এই মরুরোদে ভেতর দিয়ে হাঁটতে ঐ পথে। হাঁটাপথের ওপাশে দুদিকেই আছে নানান আকারের, ডিজাইনের ও বয়সের দালানসমূহ। থেকে থেকে দু’পাশেই নয়নমনোহর নানান দালান চোখে পড়লেও, ডানে থাকা মামলাকা টাওয়ার যার অন্যনাম কিংডম সেন্টারও, আছে সেটি গর্বিত ভঙ্গিতে “তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে” সব কিছু ছাড়িয়ে। সৌদি বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী আল ওয়ালিদ বিন তালাল আল সাউদ ১৯৯৯ সালে, ৯৯ তলার এই চমৎকার দালানটি তৈরি করার পর, একই রাস্তার উপর আরো দুই বছর আগে মানে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা ফয়সালিয়া টাওয়ারকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে উঁচু স্কাইস্ক্র্যাপারের মর্যাদা পেয়েছিল। আছে যা অটুট এখনো।
এ পাশের মাঝের লেন ধরে একটানা ৭৫/৮০ কিমি বেগে গাড়ি ছোটানো গিউসি,মামলাকা অতিক্রম করতে করতে জানায় এসময়, বর্তমানে ওতে ফোর সিজন্স হোটেল, শপিং মল ছাড়াও, আছে অফিস , লাক্সারি ফ্ল্যাট, আর হাই এন্ড রেস্টুরেন্ট। সাথে যোগ করে ফেরার পথে সময় থাকলে হাতে, ঢু মারা যাবে দুজনে ওতে, কফি খেতে।
মামলাকা টাওয়ার পার হওয়ার কিছুক্ষণ পর, একমনে গাড়ি চালাতে চালাতে রাস্তার ঐ একই পাশে থাকা বিশালকায় রিয়াদ গ্যালারি মলের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে গিউসি জানায়, মাত্র বছর দুয়েক আগে মানে ২০০৭ সালে চালু হওয়া এই মলটিও এই শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
এইভাবে টুকটাক নানান কথা বলতে বলতে, দুই বার ট্রাফিক সিগন্যালের মুখোমুখি হওয়ার পর, বোধ করি কিং ফাহাদ সড়কের একদম শেষ মাথায় এসে ডানে বাঁক নিয়ে গিউসি আরো মিনিট পাঁচেক, দু পাশে উঁচু দালানবিহীন চওড়া কিন্তু স্থানে স্থানে চটে যাওয়া রাস্তায় গাড়ি চালাবার পর, বা দিকের খোলামেলা একটা প্রান্তরের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি পাশ রাস্তা উঠে, ঐ পাশ রাস্তার ডানে বেশ দূরে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা গোটা দশ বারো বিশালাকায় ভিলা ধরনের বাড়ী পেরুবার পর, সামনে দেখি হঠাত রাস্তার এমাথা ওমাথা জুড়ে বিশালাকার স্টিলের দাঁত বাগিয়ে মুখ ব্যাদান করে আছে ড্রেনের মতো একটা পরিখা। আরে এ আবার কী?
এরই মধ্যে গিউসি ঐ দাঁতাল পরিখাকে যথাযোগ্য সম্মান দেখিয়ে একটু দূরে গাড়ি থামাতেই চোখে পড়লো ঐ পরিখা থেকে ডানে রাস্তার পাশে মিটার দশেক দূরে থাকা জবরদস্ত এক সিকিউরিটি পোস্ট। আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত বেশ কয়েকজন সেন্ট্রি আছে ওখানে। গিউসি গাড়ি থামাতেই তাদের মধ্য থেকে দুজন এগিয়ে আসতেই, জানালার কাচ নামিয়ে আরবিতে কিছু একটা বলে গাড়ির পেছনের বুট খুলে দিতেই, একজন পেছনে গিয়ে হাতে ধরা একটা বিশেষ যন্ত্র বুলিয়ে বুট চেক করছে যখন, অন্যজন তখন আয়না লাগানো একটা সিকিউরিটি যন্ত্র দিয়ে ঘুরে ঘুর গোটা গাড়ির নীচের অংশ পরীক্ষা শেষ করে, সামনে গিয়ে গাড়ির ইঞ্জিনের ডালা তোলার ইশারা করলো।
ইঞ্জিন চেক করা তার শেষ হতেই, চেকপোস্ট থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে তৃতীয় জন কিছু একটা বলতেই, সামনের সেন্ট্রিটি ইঞ্জিনের ডালা যথাস্থানে নামিয়ে গাড়িকে সামনে এগুবার ইশারা দিতেই দেখি এরই মধ্যে স্টিলের দাঁত ব্যাদান করে থাকা সেই পরিখাটি মিলিয়ে গেছে একদম রাস্তার সাথে ।
মিনিট দুই কি তিন ধরে চোখের সামনে ঘটা এই ব্যাপারটায়, বলা চলে একদম হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। ঐদিকে গিউসিকে দেখছি একদম স্বাভাবিক! গাড়ি নিয়ে এগুতে এগুতে আনমনে বলল সে, যদিও আগে থেকে বলে রেখেছিলাম এখানকার ম্যানেজারকে, তারপরও যেহেতু প্রথম এসেছি সেজন্যই এইরকম কড়া চেকিং পড়তে হল মনে হচ্ছে। এরইমধ্যে সেই সিকিউরিটি চেক পোস্ট পিছু ফেলে কিছুটা পথ সোজা এগিয়ে গাড়ী নিয়ে ডানে ঘুরতেই, সামনে দেখি সোজা আমাদের দিকে নল বাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশালদেহি ট্যাঙ্ক! তার উপরে এবং আশে পাশে ভারী অগ্রসগ্র নিয়ে আর্মির কমব্যাট পোশাক পরা বেশ কয়েকজন সৈন্য! আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এরা ছাড়াও দেখছি এখানটায় রাস্তার দু পাশে টানানো তাঁবুতে দাঁড়িয়ে বসে আছে একই রকম ভারী অগ্রসগ্রসজ্জিত কমব্যাট ড্রেস পরা আরো কিছু সৈন্য!
ঘটনা কী? গিউসি তো বলেছিল নিয়ে যাচ্ছে আমাকে বাড়ি দেখতে, কোন এক এক্সপাট কমপাউন্ডে, এখন তো মনে হচ্ছে ঢুকছি আমরা রিয়াদ ক্যান্টনমেন্টে। ব্যাপার তো বুঝতে পারছি না।
এই অংশে বেশ ধীর গতিতে গাড়ি চালালেও, এরই মধ্যে গাড়ি আর্মি অংশ পার হয়ে আড় কিছটা এগিয়ে দুপাশে ভারী লোহারবারে তৈরি দুই ফটকের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা শক্তপোক্ত একটি দালানের সামনে থামিয়ে ড্রাইভিং সিট থেকে নিষ্ক্রান্ত হতে হতে বলল গিউসি, তাকে অনুসরণ করতে।
বিনাবাক্যব্যয়ে যন্ত্রাচালিতের মতো গিউসির পিছু পিছু, দুই দিকে হাতির দুই বিশাল কানের মতো ছড়িয়ে থাকা গেইটগুলোর মধ্যে মাথা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শক্তপোক্ত দালানটির ছোট্ট জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। এবার গিউসির কথা মেনে নিজের পাসপোর্ট ও মানিব্যাগ তার হাতে তুলে দিতেই আমারগুলোর সাথে সে তার নিজের ইকামাকার্ড ও মানিব্যাগ একাট্টা করে জানালাটির নিচের ছোট্ট একটা খোপ দিয়ে ওপাশে পাঠিয়ে দিয়ে, জানালা ছেড়ে ডান দিক রওয়ানা দিতেই পিছু নিলাম আমিও। ওখানে যেতেই দেয়ালের গায়ে দাঁতমুখ খিঁচে লেগে থাকা ভারী লালস্টিলের দরজাটি খুলে যেতেই, নিলাম তসরিফ ভেতরে দুজনেই। এবার মুখোমুখি হলাম ঐরকম দেহ তল্লাশির হয় যেরকম আজকাল বিমানে ওঠার আগে!
এখানকার দেহতল্লাসিতে পাশ করার পর, দুজনের সকল কিছু ফেরত দেবার সাথে দুজনের গলায় ঝোলানোর জন্য একটা করে ভিজিটর কার্ড দিতে দিতে দায়িত্বপ্রাপ্তজন আরবিতে কিছু বলতেই, পিছু ফিরে গিউসি গাড়ির দিকে এগুতে শুরু করলে, অনুচ্চস্বরে জিজ্ঞেস করলাম :এ কী কোন ক্যান্টনমেন্টে নাকি? কি কাজ এখানে আমাদের?
“আরে না। এটাই হল সেই এক্সপার্ট কমপাউন্ড। কয়েক বছর আগে সৌদির কয়েকটা এক্সপার্ট কমপাউন্ডে গাড়িবোমা নিয়ে আল কায়দা সুইসাইড এটাক করার পর থেকেই এগুলোকে এই রকম তিনস্তরের নিরপাত্তা চাদরে মুড়ে দেয়া হয়েছে” গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে অনুচ্চ কণ্ঠে গিউসি জানাতেই হাত পা হিম হেয় যেতে যেতে মনে হল, আরে এ কথা তো মনেই ছিল না!
লেখক: প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক