মেজাজটা খিচড়ে আছে একদম। আপ্রাণ চেষ্টা করছি সেটিকে বাগে আনতে, কারণ আছি তো বিদেশ বিভুঁইয়ে। কে নেয় এখানে আমার মন মেজাজ তো দূরের কথা, শরীরেই ভালো বা খারাপ থাকার খবর?
আজ সকালে আমার প্রোডাক্ট ম্যানেজার আহমেদ আফিফির সাথে তার ব্র্যান্ডপ্লান নিয়ে বসার কথা। জানিয়েছিলাম তা, তাকে গত সপ্তাহেই ক্যালেন্ডার ইনভাটে, যা সে একসেপ্টও করেছিল। তারপর মৌখিকভাবেও এ বিষয়ে কথা হয়েছিল গতকাল তার সাথে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে। অথচ আজ নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাবার আধা ঘণ্টা পরও যখন তার দেখা মিলেনি, বাধ্য হয়ে তাকে বেশ ক’বার ফোন করার পর ফোন ধরে জানালো সে; ঘরে নাকি তার কী সমস্যা হয়েছে। ফলে অফিসে আসতে দেরী হবে!
স্ত্রীরা যতোই হোন না কেন ঘরের সম্রাজ্ঞী, তারপরও কিছু কিছু ব্যাপার নিজদেশেই যখন স্বামীদের নিজেকেই সামলাতে হয় সেক্ষেত্রে মিশরি আফিফি, যে নাকি এখানে আমারই মতো বিদেশী হওয়ার পরও থাকছে এক্কেবারে ঘর বেঁধে, সে সমস্যা তার তো হতেই পারে। আবার কোনো মিটিং একসেপ্ট করার পর এমতাবস্থায় বদলানো যাবে না তা, তাও তো নয়। তবে যথাসময়ে সেটি জানানোর ভদ্রতাটুকুতো দেখাতে হবে! তারপরও না হয় ধরেই নিলাম যে, হঠাৎ করেই এমনই জটিল এবং ভয়াবহ সমস্যা হয়েছিল আফিফির ঘরে যে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে সে তা জানাতে ভুলে গিয়েছিল! কিন্তু ঘটনা যে তা নয়, বুঝলাম তা তখন, যখন সে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর এসে একদম স্বাভাবিক ভাবে জানালো, আমার কাছে তার যে ব্র্যান্ডপ্লানটি আছে সেটি পুরানো। সে নাকি এখন কথা বলবে নতুন আপডেটেড প্লান নিয়ে যা নাকি সে নিয়ে এসেছে সাথে করে!
টিম শুধু ‘জী হুজুরঃ মার্কা লোক দিয়ে ভর্তি রাখার পক্ষে মোটেও নই আমি। বুদ্ধিমান ও কাজের লোক ছাড়াও টিমে হার্ডনাট, থিকহেড, ফাঁকিবাজ, ট্রাবল মেকাররাও থাকবে, এটা স্বাভাবিকই মানি। এরকম দলের সদস্যদের যার জন্য যা প্রযোজ্য, সে মতো তাকে হয় বলবর্ধক ভিটামিন নয়তো ব্যথানাশক এমনকি দরকার পড়লে বালাইনাশক এন্টিবায়োটিকের পরিমাণমতো ডোজ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করাই তো নেতার কাজ। পরিষ্কার বুঝতে পারছি, আফিফি হলো একইসাথে ফাঁকিবাজ ও ট্রাবলমেকার। তবে সমস্যা সেটাও নয়। মেজাজটা খিঁচড়ে গেছে বরং সহকর্মী এবং অফিসের আমার রুমসংলগ্ন প্রতিবেশী মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. সামি আজমির দু’মুখো সাপের ভূমিকাতে! সেই প্রথমবার আসার পর থেকে আজকের মিটিং এর আগ পর্যন্ত যতোটা চিনেছিলাম চেইন স্মোকার ডা. সামি আজমিকে, তাতে তাকে বেশ সজ্জন এবং চিকিৎসাবিদ্যার ক্লিনিক্যাল রিসার্চ বিষয়ে বেশ সলিড লোক মনে হওয়ার সাথে, মনে হয়েছিল উনি হলেন কোদালকে নির্দ্বিধায় কোদাল বলতে পারা লোক। আজকের মিটিংএ অকস্মাৎ তার দু মুখো সাপের ভূমিকা দেখে ভেঙেছে সেই ধারণা! পেশাগত জীবনেতো অবশ্যই, এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও এই দু’মুখো সাপদের একদমই সহ্য করতে পারি না, তাই নিরাপদ দূরত্ব রাখি বজায় ঐ সরীসৃপদের থেকে। অথচ আজ কী না আবিষ্কার করলাম এই মরুর অফিসে সর্বক্ষণই গা ঘেঁষে থাকবে একটা বুদ্ধিমান দু’মুখো সাপ!
আজ আফিফি যতোক্ষণ এসে পৌঁছয়নি, তার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ডা. সামি তার সম্পর্কে চতুর্মুখে তার ফাঁকিবাজি আর অকর্মণ্যতা নিয়ে নানান বিষোদ্গার করে তার মুণ্ডুপাত করলেও, যেই না আফিফি তার নতুন প্রেজেন্টেশন, যেটিতে সে নদীর রচনা লিখতে গিয়ে গরুকে নদীর তীরে টেনে না এনেই গরুর বয়ান দিতে গিয়ে খাবি খাওয়া শুরু করতেই, ডা. সামি তার পক্ষাবলম্বন করে আকারে ইঙ্গিতে দায় চাপাতে লাগলো আমার পূর্বতন মার্কেটিং হেড মোহাম্মেদ মেতওয়াল্লির উপর ! ডা. সামি ভেবেছিল আফিফির ঐ খাবি খাওয়া দেখে আমি বুঝি বিরক্ত হচ্ছিলাম। তাই আফিফির ত্রাতা হয়ে সে কি না নিজের সদ্যবিদায়ী সহকর্মীকে দাঁড় করালো কাঠগড়ায় তারই অধস্তনের সামনে! অথচ ঘটনা তো ছিল উল্টা। আমি তো আফিফির তড়িঘড়ি করে বদলে ফেলা প্ল্যান দেখে বেশ মজাই পাচ্ছিলাম। ভাবছিলাম যে, যাক গত কয়েকদিনে অন্যরা তাদের ব্র্যান্ড প্লান নিয়ে আমার যে সব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিল, আফিফি সে সবের খোঁজ নিয়ে, সে মতো প্লান বদলাতে চেষ্টা করেছে আপ্রাণ! ফলে ডাঃ সামির ভূমিকায় কিছুটা বিরক্তির উদ্রেক হলেও পাত্তা দিচ্ছিলাম না সেটাকেও তেমন।
কিন্তু যেই না মিটিং শুরুর আগে আমাকে দেয়া তার নিজের কথাই ডা. সামি উল্টে ফেললো মিটিংয়ে, হতবাক হয়েছিলাম। আফিফি আসার আগে আমাদের দুজনের একান্ত আলোচনায় একাট্টা একমত হয়েছিলাম যে, আফিফির দায়িত্বে থাকা কোম্পানির এক্কেবারে নতুন ধরনের হাইটেক প্রোডাক্ট যা নাকি বায়োটেক জাতের ঔষধ নামে পরিচিত, সেটির সার্থক বিপণনের অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয় হলো মেডিকো মার্কেটিং; যাতে কোম্পানির মার্কেটিং ও মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্টকে কাঁধে কাঁধ, হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এবং একারণেই ব্র্যান্ডপ্লানের আলোচনায় উপযাচক হয়েই ডেকেছিলাম ডা. সামিকে।
এছাড়াও আফিফি হাজির হবার আগ পর্যন্ত ডা. সামি বারবারই বলছিল, আফিফি কীভাবে মেডিক্যালকে অগ্রাহ্য করে আসছিল এতোদিন। মেডিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে এ ব্যাপারটি নিয়ে সে বড়ই মর্মাহত। কারণ তার ডিপার্টমেন্ট এ নিয়ে কাজ করার জন্য উন্মুখ। বলেছিল সে আরো যে, আফিফি এমন করছে কারণ একদিকে সে হলো তুমুল ফাঁকিবাজ, অন্যদিকে এ জাতের হাইটেক প্রোডাক্ট এবং সেটির মার্কেটিং বোঝার মতো মেধা নাই তার। কিন্তু মিটিঙের সময় আমি মেডিকো মার্কেটিং প্রসঙ্গ আনতেই, ডা. সামি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে বলে বসলো, এ মুহূর্তে মেডিক্যাল টিমের যা লোকবল, তা দিয়ে সে এখানে কোনো সাপোর্ট দিতেই প্রস্তুত নয়!
এ কথা শুনে আক্কেল গুড়ুম তো না শুধু, যাকে বলে এক্কেবারে ব্রক্ষতালু জ্বলে উঠা, হয়েছিল ঠিক তাই আমার। তুমুল ধৈর্যে তারপরও হাসিমুখে বলেছিলাম ডা. সামি, রিসোর্স প্রায়োরাটাইজেশন অলটুগেদার ইজ আ সেপারেট ডিস্কাসসন। লেটস হ্যাভ ইট সেপারেটলি। ফর দি ওয়েলবিং অব প্যাশেন্ট এন্ড ফর দ্য সেইক অব বিজনেস অব আওয়ার কোম্পানি দ্যাটস নেসেসারি, ডু ইউ এগ্রি উইথ মি নাউ?
আমার এ কথায় এক্কেবারে যাকে বলে জোঁকের মুখে চুন পড়া তাই হয়েছিল। অতঃপর আফিফিকে তার প্লান নিয়ে আরো কাজ করার কথা বলে এবং তার যা যা সহযোগিতা লাগে, সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়ে মিটিং শেষ করে রুমে ফিরে টেবিলের ফাইলে মনোযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু একটু আগে ডা. সামি আর আফিফিকে উচ্চৈস্বরে আরবিতে কথা বলতে শুনে বাইরে উঁকি দিয়ে দেখি দুজনেই ফুঁকছে সিগারেট অন্তরঙ্গভাবে আর হাসছে থেকে থেকে। মেজাজ খিঁচড়ে যাওয়ার মাজেজা এটাই। ভাবছিলাম তাই, এখানে আসার পর থেকেই অফিসের বাতাসে সর্বক্ষণ ফিসফিস করে উড়ে বেড়ানো, যে মিশরি মাফিয়ার কথা শুনেছিলাম, ডা. সামির আচরণে সেটিই কি আজ প্রত্যক্ষ করে চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন হলো নাকি?
তা হোক তা যা ইচ্ছা তাই। ভালো ব্যাপার হলো বেশ দ্রুতই একটা দু’মুখো সাপ চিনলাম! আজকের প্রাপ্তি হিসেবে এ তো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজে দেবে এটা আমার মরুবাসের আগামী দিনগুলোতে।
‘স্যার, এইচ আর সেন্ড দিস ফর ইউ’
পরিচিত চি চি কণ্ঠের একথায় সম্বিৎ ফিরতেই, টেবিলের ওপাশে ফিলের সেক্রেটারি মহসিন আলী হায়দারাবাদিকে দেখতে পেলাম। আসার পর থেকেই দেখছি দেশ ছেড়ে এই মরুতে দীর্ঘ ২৭/২৮ বছর থাকতে গিয়ে দিনে দিনে ক্রমে ক্রমে যতো দুঃখ, হতাশা, বিরক্তি ও বেদনার ধুলো জমেছে স্তরে স্তরে তার মনের গহীনে, সর্বাঙ্গে তার সর্বক্ষণই সে সবই দৃশ্যমান। রেখেছে টেবিলে এখন সে আমার, ছোট ছোট গোটা পাঁচেক বাক্স ও এস টি সি মানে সৌদি টেলিকম কোম্পানির লোগোসমৃদ্ধ একটি সুদৃশ্য কাগজের শপিংব্যাগ জাতের প্যাকেট।
দ্রুত হাসি হাসি মুখ করে মহসিন আলিকে ধন্যবাদ জানিয়ে, হাত বাড়ালাম সৌদি টেলিকমের প্যাকেটটার দিকেই। ছোট বক্সগুলোতে যে সদ্য ছাপাখানা থেকে আসা আমার এখানকার বিজনেস কার্ড আছে বুঝতেই পারছি তা, যেহেতু দু’দিন আগে আমার যাবতীয় ব্যস্ততা অবলীলায় উপেক্ষা করে মহসিন কার্ডে আমার নামের বানানের প্রুফরিডিং আমাকে দিয়েই করিয়ে নিয়েছিল।
আন্দাজ করছি যে মোবাইল কোম্পানির ঐ ব্যাগে আছে, আমার জন্য ইস্যু করা এখানকার সিম ও নতুন মোবাইলসেট। যার মানে হচ্ছে যতোই সাইন না হয়ে থাকুক এখনো আমার অফিসিয়াল এসাইনমেন্ট কন্ট্রাক্ট এবং যতোই থাকি না কেন সিঙ্গেল এন্ট্রির হাজতি ভিসায়, যাতে ছাপ মারা আছে নট ফর ওয়ার্ক, ক্রমশ গাঁথছে দ্রুত শিকড় আমার, মরুবালির গভীরে। এর আগে গতকালই তো হাতে এসেছিল, এই অফিসের নতুন ল্যাপটপ।
বেশ স্বস্তি পেলাম। কারণ বলেছিইতো এখনো কোম্পানির সাথে আমার এই এসাইনমেন্ট নিয়ে হয়নি কোনো অফিসিয়াল কন্ট্রাক্ট! তদুপরি নট ফর ওয়ার্ক ছাপ্পড় মার্কা ভিসায় নিজেকে শিকড়হীন মনে হচ্ছিল। যেকোনো দেশের আইনেই তো এ অসিদ্ধ। যদিও জানি না সঠিক এই আইন ভাঙার শাস্তি হিসেবে এই মরুতে, কী নেমে আসতে পারে আমার নিজের ও কোম্পানির ঘাড়ে; তবে এটা সুনিশ্চিত যে, যদি কোনো ঝামেলায় পড়েই যাই; তবে কমপ্লায়েন্স নিয়ে গলাবাজি করা কোম্পানি, তার কমপ্লায়েন্সের মোড়কে যাতে কোনো দাগ না লাগে, সেটি নিশ্চিত করতে নির্ঘাত ফাঁসিয়ে দিতে পারতো এতোদিন সহজেই আমাকে। এখন আমার হাতে অন্তত তিন তিনটা প্রমাণ এসেছে যাতে প্রমাণ করা যাবে যে, এখানে নিজে নিজে উড়ে এসে জুড়ে বসিনি, আপন খেয়ালে। এ তিনটির দুটো আবার অত্যন্ত শক্ত প্রমাণ । যা হলো অফিসিয়ালি ইস্যু করা ল্যাপটপ, নাড়ি পোতা আছে যার কোম্পানির ইউরোপিয়ান সার্ভারে! আর দ্বিতীয়টি হল স্থানীয় মোবাইল নেটওয়ার্কের সংযুক্ত এই অফিসিয়াল ফোন!
আরে একি! আমি তো দেখছি স্মার্ট হয়ে গেছি! শুধুই তো স্মার্ট না, উঠে গেছি তো দেখছি জাতেও। শপিংব্যাগ ছেড়ে এইমাত্র হাতে আসা ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোনসেটের বাক্সটিতে চোখ যেতেই, ওরকমই অনুভূতি হল। এমনিতে ওটি বের করতে করতে ভাবছিলাম, কোন সেট যে দিয়েছে এরা? নতুনসেট নিয়ে সবসময়েই পড়ি এই অধম নানান ঝঞ্ঝাটে। কিছুদিন আগেই, দেশে থাকতে অফিস থেকে পেয়েছিলাম এক্কাবারে হালআমলের নকিয়া। এখনো যেটিকে রপ্ত করতে পারিনি পুরোপুরি। এখন যদি আবার এরা দেয় ভিন্ন কোন সেট, তবে তো শিখতে হবে ওটাও। দেশী সিমের ফোনটা এখানে তেমন ব্যবহার না করলেও, বাতিল তো করছি না। অতএব একই সেট হলে সুবিধা হতো।
কিন্তু যেই না চোখে পড়লো এটি ভিন্ন হলেও, জাতে ব্ল্যাকবেরি; কেমন যেন আলগা একটু ভাব হলো। এসময়ের কর্পোরেট জগতে ব্ল্যাকবেরি একই সাথে কৌলিন্য ও ফ্যাশনের প্রতীক! আমাদের কোম্পানিতে এই সেট শুধুমাত্র কান্ট্রহেডদের এবং গ্লোবাল বড় স্যারদের জন্যই নির্দিষ্ট ছিল। অতঃপর দেয়া হয়েছিল সেটি গুরুত্বপূর্ণ কিছু পজিশনেও। তাও ঐসব দেশেই শুধু, যাদের ব্যবসা বড়। সে নিয়মে বাংলাদেশে শুধু কান্ট্রি হেড ছাড়া আমাদের আর কারোই হাতেই উঠেনি এই সৈয়দী স্মার্টফোন, পেলাম যা এখন। তার মানে এই মরুতে আসার পর উঠেছি তাহলে উঁচু জাতে!
নাহ, সাধে কী আর মহামতি সক্রেটিস আজীবন নিজেকে জানার উপরই জোর দিয়েছিলেন! আমি তো ভাবতাম কোম্পানিপ্রদত্ত এসবে কিছুই যায় আসে না আমার। এখনতো দেখছি এই জড়বস্তু ব্ল্যাকবেরিটি হাতে পেয়ে, বেশ কেউকেটা মনে হচ্ছে! এতে নিজেকে নিজের কাছেই অচেনা ঠেকছে, ভাবতে ভাবতে ল্যান্ডফোনে ডাকলাম অফিসের আই টি এক্সিকিউটিভকে। তাতে বেশ দ্রুতই রুমে এসে হাজিরা দিয়ে ফিলিপিনো এঞ্জেলো, স্বভাবগত তাগালোগ সসে চোবানো ইংলিশে উদ্বেগের সাথে জানতে চাইল, গতকাল আমাকে দিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ কোন গড়বড় করছে কি?
সে ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করে, নতুন সিম ও ব্ল্যাকবেরির প্যাকেট এগিয়ে দিতে দিতে বললাম ডেকেছি তোমাকে এখন এটিতে প্রাণসঞ্চার করে কোম্পানির নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য। ওকে ওকে, কিন্তু আজ তো এটার কাজ শেষ করতে পারবো না। আগামীকাল দুপুরের আগে পাবে না এটা। প্যাকেটদুটো হাতে নিতে নিতে এঞ্জেলো জানাতেই বললাম–
নো ওয়ারিজ, মানে কুছ পরোয়া নেই।
লেখক: কলামিস্ট, ভ্রমণ সাহিত্যিক।