বিশ্বখ্যাত বোয়িং বংশের ৭৭৭ জাতের বিশালকায় এই আকাশযান, প্রায় সাড়ে দশ ঘণ্টা, না মনে হচ্ছে এগার ঘণ্টা পর অবশেষে একটু আগে এসে এই মরুর বুকে বুক লাগিয়ে থেমে যেতেই, বলা চলে ধুন্দুমার লেগে গিয়েছিল তার পেটের ভেতর!
অবশ্য একটানা ছয়ঘণ্টার কিছু বেশি সময় আকাশে ওড়ার পর আকাশযানটির যেই না নিম্নগামী হবার ঘোষণা এসেছিল ককপিট থেকে, সেই সময় থেকেই বিমানবালাদের যাবতীয় ধমকের গমক, হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন ধমকই, উপেক্ষা করে এটির পেটের ভেতরে থাকা ৩৫০ কি ৩৬০ এর মতো বঙ্গসন্তানদের অনেকেই শুরু করে দিয়েছিলেন নেমে পড়ার তোড়জোড়!
তারই ফলশ্রুতিতে এক্ষণে বিমানের দরজা খুলে যেতেই, বিমানে উঠার কালে হাতে করে নিয়ে ঢোকা বোচকা বুচকি ব্যাগ এসব এরই মধ্যে হাতে পিঠে নিয়ে অনেকেই যখন বিমান থেকে নিস্ক্রান্ত হবার মানসে এগুচ্ছে খুলে যাওয়া দরজার দিকে, বিমানটির মাথার অংশে প্রায় দরজার কাছাকাছি জায়গার সিটে বসে থাকা আমি ঠিক করলাম মনে মনে, নামবো তবে এই হুলস্থুল শেষ হবার পরই। দরকার হলে নামবো সবার শেষেই। কাজ নাই আমার এই হুড়াহুড়ির মধ্যে নামতে গিয়ে সর্বক্ষণ মুখ গোমড়া করে রাখা এই বিমানের ভিনদেশী প্রায় মধ্যবয়সী বিমানবালাদের কারো মুখ ঝামটার মুখোমুখি হওয়ার!
“কী ছার, আইয়া তো পড়ছি মনে অয়। নামবেন না?”
একটু আগে মনে মনে করা প্রতিজ্ঞাটি অক্ষরে অক্ষরে পালনার্থে নড়েচড়ে নিজের পছন্দের আইল সিটটির পিঠের সাথে আরো গ্যাঁট হয়ে পিঠ লাগিয়ে এলিয়ে বসতে না বসতেই, আমার বাঁ পাশের ভেতরের দিকের সহসিটযাত্রীদ্বয়, তুমুল উসখুস করতে করতে করলেন প্রশ্ন সমস্বরে।
ওহ আপনারা নামতে চান এখন? ঠিক আছে, ঠিক আছে নামেন, নামেন আপনারা।
একটু আগে কানে ঢোকা যমজ ঐ প্রশ্নের উত্তরে, অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্রুত নিজ কোমরে বাঁধা সিট বেল্ট খুলে উপরের কথা কটি বলে, সিট ছেড়ে উঠে ওনাদের বেরুবার পথ করে দিতেই দুজনেই প্রায় একই সাথে হামলে পড়লেন মাথার উপরের বাংকে রাখা তাদের ব্যাগ বোচকা বুচকি হস্তগত করার ধস্তাধস্তিতে!
নিজের সিট থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আইলে দাঁড়িয়ে, দুই সিট সহযাত্রির এক্কেবারে ধস্তাধস্তি না হলেও অবশ্যই হুড়োহুড়ি করে বাংক হাতড়ে নিজেদের ব্যাগ খোঁজার প্রতিযোগিতা দেখতে দেখতে প্রমাদ গুণছি মনে মনে। কারণ আমাদেরই সামনের সিট তিনটিতে বসেছেন এক পরিবার, যার মধ্যে আছে ছোট একটি বাচ্চাও, যে নাকি ঘুমুচ্ছে দেখেছি তার মায়ের কোলে। দুজনের এই হুড়োহুড়িতে বাংক থেকে কোন একটা ব্যাগ স্থানচ্যুত হয়ে পড়ে যদি ঐ বাচ্চাটির উপর তবে একটা বিতিকিচ্ছিরি কাণ্ডই নয় শুধু, দুর্ঘটনাও ঘটা অসম্ভব নয়।
এ কথা মনে হতেই, পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর করে নিজেদের উচ্চতা বাড়িয়ে, দুই হাতে বাংকের ভেতর নিজদেরে ব্যাগ খোঁজায় ব্যস্ত দুই সহসিটযাত্রীর উপর মেজাজও খিচড়ে যাওয়ায় ভাবলাম দেই একটা ছোট খাট ঝাড়ি দুজনকে। কিন্তু সাথে সাথেই সামলালাম নিজেকে। বরং দুজনের পিঠে ছোট্ট দুটি চাপড় দিয়ে বললাম, ভাই একটু সাবধানে নামান ব্যাগ। খেয়াল রাইখেন সামনের সিটে একটা বাচ্চা ঘুমাচ্ছে! কিন্তু তাতে তাদের তেমন বোধোদয় হল বলে মনে হলো না।
তা দেখে মেজাজ আরো খিচড়ে গেলেও একই সাথে মনে হল এদের আর কী দোষ দেই? অহরহই তো বিমান থেকে নামার সময় এইরকম করতে দেখি অনেক তথাকথিত ভদ্দনোকদের, যাদের আছে নাকি আবার দেশে বিদেশে ঘোরার বিস্তর অভিজ্ঞতা। সে জায়গায় এই দুইজনের তো শুনেছি এটাই হচ্ছে প্রথম বিমানভ্রমণ! তাও আবার সেই ভ্রমণ হচ্ছে এক্কেবারে দেশের বাইরে, অজানা এক মরুতে।
এসব ভাবতে ভাবতে নিজ সিট থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আইলে দাঁড়িয়ে, বিমানের পেছনের বৃহত্তর অংশের হাল হকিকত বোঝার জন্য ঘাড় ঘোরাতেই দেখি, ঐখানে বিমানের লেজ থেকে শুরু করে একদম সামনের অংশ পর্যন্ত আইলটিতে লেগে গেছে মহা মনুষ্যজ্যাম! ঐ জ্যামের অনেকে নিজেদের ব্যাগ আর বোচকা বুচকি হস্তগত করে ফেলতে পারায়, মহানন্দে আইল ধরে এগুতে চাচ্ছেন দরজার দিকে। কিন্তু তাদের সে আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিয়ে আইলের নানান জায়গায় বাংক থেকে ব্যাগ নামানোর জন্য কেউ কেউ হাচড় পাঁচড় করতে থাকায় নড়তে পারছে না জ্যামটি ঠিক মতো। তাতে আইলের ঐসব গিট্টু লাগা অংশে লেগে গেছে খণ্ড খণ্ড বাক বিতণ্ডা!
এসব দেখে এ বিমানের গোমড়ামুখো রাগী রাগী চেহারা বিমানবালা তো নয় বরং বলা উচিৎ বিমান মহিলারা, মনে হচ্ছে গোটা মাঠই যাত্রীদের খেয়ালখুশির উপর ছেড়ে দিয়ে, আছেন সম্ভবত নিজ নিজ স্টেশনে। কিম্বা কেউ কেউ হয়তোবা খুনসুটি করছেন গিয়ে সম্মানিত ক্যাপ্টেনের সাথে।
“দেখি তো ছার, দেখি তো রাস্তা দেন তো।“
এইমাত্র উপরের এই তাড়াটির কারণে দ্রুত যথাস্থানে নিজের ঘাড়টি এসে স্থির হতেই দেখি, আমার দুই সহসিটযাত্রী কোনো রকম ঝাঞ্ঝাট বা দুর্ঘটনা ঘটানো ছাড়াই, বাংক থেকে এরই মধ্যে উদ্ধার করে ফেলতে পেরেছেন নিজেদের বোচকা বুচকি। ফলে বিমান থেকে নামার জন্য তাদের তর আর সইছে না!
যদিও জানি পারবেন না তারা নামতে এখুনি, কারণ গেটের সামনে এরই মধ্যে আইল ধরে অনেক ক’জন একসাথে এগিয়ে তৈরি করে ফেলেছে এক জটিল মানব গিট্টু ; তারপরেও দ্রুত নিজেকে সংকুচিত করে ডানে শরীর এলিয়ে, ঐ গিট্টু লাগা গেইটের দিকে তাদের এগিয়ে যাবার পথ করে দিলাম।
দুইজনই দ্রুত আমাকে পেরিয়ে দরজার গিট্টুর দিকে রওয়ানা করতেই নিজ সিটে ফিরে এসে বসে ভাবতে লাগলাম, পেশাগত প্রয়োজন কিম্বা নিজ পারিবারিক প্রয়োজনে এ যাবতকালে দেশের বাইরে এ পর্যন্ত কম তো ভ্রমণ করিনি! তবে আজ যে অভিজ্ঞতা পেলাম তাকে এক্কেবারে অভূতপূর্বই বলা চলে। এছাড়া মরুর যে দেশের বুকে একটু আগে বুক লাগিয়ে থেমেছে এই বোয়িং ৭৭৭, সেই দেশটিতেও এটিই হল আমার প্রথম যাত্রা। সাথে সাথেই মনে হল আচ্ছা, ঢাকা থেকে এইখানে উড়ে আসা সব বিমানেই সবসময়ই কি এরকম দৃশ্যের অবতারণা ঘটে নাকি সব সময়? সে কারণেই যাত্রীদের প্রতি এই বিমানের ক্রুরা দেখাচ্ছে এরকম তুমুল হেলাফেলা জাতের অবহেলা?
বাংলার নানান গ্রাম থেকে, জমি জিরাত বিক্রি করে কিম্বা এনজিও সহ স্থানীয় নানান সুদি মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে টাকা ধার নিয়ে, সেই টাকা নানান টাউট বাটপারের মধ্যস্থতায় আদম ব্যাপারিদের হাতে তুলে দিয়ে, সোনার হরিণ ধরার আশায় যে অভাগা বঙ্গসন্তানেরা এই এয়ারলাইন্সের বিমানে করে উড়ে এসে পা রাখেন এই তেল সমৃদ্ধ উষর মরুতে, এখানে এসে পৌঁছনোর পর তাদের ধৈর্যের বাঁধ এভাবেই ভেঙে যায় নাকি প্রতিদিন?
নাহ, তা মনে হয় না। কারণ আজকের ব্যাপারটাই তো অবশ্যই আলাদা। এরকম ঘটনা তো প্রতিদিন ঘটে না অবশ্যই, ঘটেছে যা আজ। এমনিতে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের রিয়াদ আসতে তো এই বিমানের লাগার কথা ছিল সব মিলিয়ে ছয় ঘণ্টার মতো, কিন্তু আজ তো সাউদিয়ার এই ফ্লাইটে বন্দি ছিলাম আমরা প্রায় বলা চলে সাড়ে ১০ কি ১১ ঘণ্টা! তদুপরি ফ্লাইটের ভেতরে ঘটেছে যা, তাও তো ছিল অভূতপূর্ব ঘটনা, অন্তত আমার জন্য। নিশ্চয়ই তা প্রতিদিন ঘটার কথা না। সেক্ষত্রে আজ ফ্লাইট ল্যান্ড করার পর দশ এগার ঘণ্টা বন্দি থাকা এই জেলখানা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার জন্য যাত্রীরা এরকম করতেই তো পারে!
ঘটনা হচ্ছে আজকের এই ফ্লাইট এটির শিডিউলের চেয়ে চার ঘণ্টারও বেশি সময় পর, রিয়াদ আসার জন্য উড়াল দিতে পেরেছিল ঢাকার আকাশে। সাউদিয়া তো বিশ্বের খুব নাম করা এয়ারলাইন্স নয়, অতএব এর ক্ষেত্রে এরকম হতেই পারে। যখন জানি বছরের পর বছর বিশ্বসেরা বলে বিবেচিত হওয়া সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কিম্বা এমিরেটসেরও তো ঘটে দেরী করে ফ্লাইট ছাড়ার ঘটনা, যদিও তা অবশ্যই অতীব বিরল ঘটনাই। তদুপরি একাধিকবার দেশের ভেতরে ও বাইরে ভ্রমণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ বিমানের শিডিউল বিপর্যয়ের মহাঅভিজ্ঞতা পাওয়া আমার কাছে, সাউদিয়ার এই চার ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ার ঘটনাতে কিছুই মনে করতাম না, যদি না ঐ চার ঘণ্টায় যে সব অভিজ্ঞতা হয়েছে আজ সে সবের মুখোমুখি না হতাম।
আসলে, বেশ কবারই বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও আরো দুটো নামকরা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের যান্ত্রিক সমস্যা কিম্বা তাদের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ফ্লাইটের টাইম পিছিয়ে যাওয়ায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা এয়ারপোর্টে অপেক্ষায় থাকার অভিজ্ঞতা হলেও, আজকের অভিজ্ঞতাটি ছিল ভিন্ন ও আনকোরা নানান কারণে, যেমন
প্রথমত ঢাকা থেকে সাউদিয়ার এই ফ্লাইটে আমরা সকল যাত্রী আজ দুপুর দেড়টার দিকে মানে একদম ঠিক সময়েই যাকে বলে অনবোর্ড করা, তা করেছিলাম। তারপর একদম ঠিক সময়েই ফ্লাইট বোর্ডিং ব্রিজ ছেড়ে রানওয়েতে ওঠে আকাশে উড়াল দেবার জন্য শুরু করেছিল তার শিডিউলড দৌড়ও। তারপর যতোটা মনে হচ্ছে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিরোধিতা করে পাইলট সাহেব যেই মুহূর্তে ফ্লাইটকে ঊর্ধ্বমুখী যাত্রা শুরু করাবেন বলে ঠিক করেছিলেন, ঠিক সে সময়েই তিনি কোন যান্ত্রিক ভজঘট আবিষ্কার করেছিলেন! ফলে ঊর্ধ্বমুখীসেই উল্লম্ফন দেবার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে তিনি এই বিশালাকায় বাহনটিকে রানওয়েতে অতিরিক্ত পাক দিয়ে, গতি কমাতে কমাতে নিয়মমাফিক যাত্রিদের উদ্দেশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়েছিলেন সে মুহূর্তে আমাদের নির্ধারিত আকাশযাত্রাটি স্থগিত করার কারণ।
কাপ্তেন সাহেবের সে ঘোষণা কানে যেতেই, প্রথমেই মনে হয়েছিল হায় এ তো দেখছি পড়লাম গোড়ায় গলদের পাল্লায়! জানি না আছে কী কপালে, এই যাত্রার ভবিতব্যে? কারণ আসলে এই যে গোড়ায় গলদের মুখোমুখি হলাম, শিকড় এর তো ঢের গভীরে। যে জাতের যন্ত্রণাকে একসময় আমাদের প্রাতস্মরণীয় লেখকেরা সাক্ষাৎ গব্বযন্ত্রণা নামে বিবৃত করতেন, সেই রকম যন্ত্রণা তো শুরু হয়েছিল এই ভ্রমণের শুরুরও আগে থেকেই, মানে ভিসা পাওয়ার সময়ে পাওয়া তুমুল যন্ত্রণা থেকে। তবে সে কথা আপাতত থাক। ভিসা বিষয়ক সেই গব্বযন্ত্রণার কথা বলবো অবশ্যই, সময়মতো পরে।
তো বিমান ঠিক সময়ে উড়তে না পারায় প্রথমে মনটা খিঁচড়ে গেলেও সাথে সাথেই মনে হয়েছিল এতে তো বরং বড় বাঁচা বেঁচে গেলাম আমি সহ এই উড়োজাহাজের ৩৫০–৩৬০ জন যাত্রী আর ক্রু মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৭০/৩৮০ জন মানব সন্তান! আকাশে উড়ার পর যদি ধরা পড়তো সেই যান্ত্রিক গলদ তবে যে কী হতো শেষ পর্যন্ত! কে জানে? এমন তো হতে পারতো ঐ গলদের কারণে আকাশ থেকে সোজা নিচের দিকে গোত্তা মেরে পড়ে যেতে পারত এই বিমান। কিম্বা রিয়াদে পৌঁছে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করতে গিয়ে আগুন লেগে গিয়ে গোটা বিমানের সাথে শ চারেক মানুষ বেঘোরে মরে যাওয়ার পর, আকাশ ভেঙে পড়তো কয়েক শ পরিবারে সোজা মাথার উপর। এতো বরং ভালোই হলো। বড় বাঁচা বেঁচে গেছি আজ! কাটল এতে বিরাট ফাঁড়া! ক্যাপ্টেন মহোদয়কে জানাই বরং আনত কুর্নিশ, টুপি খোলা অভিবাদন।
এরই মধ্যে টের পেলাম সাউদিয়ার এই উড়াল বাদ দেওয়া নিয়ে নিয়মমাফিক যে দ্বিভাষিক ঘোষণাটি দিয়েছিলেন কাপ্তেন সাহেব, সেসময় যাত্রীদের মধ্যে তেমন কোনো ভাবান্তর না দেখা গেলেও, সেটির গতি কমাতে কমাতে, ঢাকা বিমান বন্দরের রানওয়ের কোনো এক জায়গায়, একদম ঠাঁয় দাঁড়িয়ে যাবার পরে বেশ একটা ভালোই গুঞ্জন উঠেছে গোটা বিমানজুড়ে। বিদ্রোহ, বিরক্তি, উষ্মা, হতাশা ইত্যাকার নানান স্বরে বিমানজুড়ে অনেকেরই প্রশ্ন একটাই,
‘উড়াল বাদ দিয়া থামলো কিয়ের লাইজ্ঞা এই বিমান, আতিক্কা?’
লেখক: কলামিস্ট, ভ্রমণ সাহিত্যিক।