চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্তি পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। খুনী হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ন্যক্কারজনক হামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদারের প্রাণ হারানোর ঘটনা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীসহ ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনা তারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনের নিকট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শওকত আলী দিদারের হত্যাকারী এবং এস এম জিলানীর উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাই। অন্যথায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আরোও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবে।
গত শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ গ্রামে যাওয়ার পথে তার গাড়ি বহরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যা এবং এস এম জিলানীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করা হয়। এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন রাশেদ খান। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড় এপেলো শপিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে নুর আহম্মদ সড়ক, লাভ লেইন, এনায়েত বাজার, জুবলী রোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কাজীর দেউড়ি মোড়ে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ–সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, মজিবুর রহমান, এডভোকেট সাইদুল ইসলাম, সেলিম রেজা, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, এম এ সালাম, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, জহিরুল হক টুটুল, এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হালিম গুড্ডু, সহ–সাধারণ সম্পাদক মো. আলম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।