শঙ্কা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত ইতিহাস লিখেই ক্ষান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। লাওসে বাছাইপর্বে দুর্দান্ত লড়াই করে এএফসি অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে লাল–সবুজের মেয়েরা। কিছুদিন আগে মূল নারী দল প্রথমবারের মত এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এবার অনূর্ধ্ব–২০ দল একই পথে হাটল। ইতিহাস গড়ে এবার দেশে ফিরেছেন আফঈদা খন্দকাররা। গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে লাওসের বিমান থেকে ঢাকার মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ নারী ফুটবল দল। হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আফঈদাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাফুফের সদস্য ও নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। ২০২৬ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য নারী অনূর্ধ্ব–২০ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ খেলেছিল ‘এইচ’ গ্রুপে। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩–১ গোলে ও দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮–০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশের গ্রুপের শেষ ম্যাচ ছিল এশিয়া কাপের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। কোনো ধরনের সমীকরণের দিকে না তাকিয়ে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে এই ম্যাচে ড্র করলেই হতো বাংলাদেশের। কিন্তু এই ম্যাচে সাগরিক–তৃষ্ণারা হেরে গেছেন ৬–১ গোলের বিশাল ব্যবধানে।
তবে ‘ই’ গ্রুপে চীন লেবাননকে হারিয়ে দেওয়ায় সমীকরণের সূত্র মেনে সেরা তিন রানার্সআপ দলের মধ্যে থেকে মূল পর্বে চলে গেছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল শুরু হয়ে ১২ দলের অংশগ্রহণে অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়ান কাপের আসর শেষ হবে ১৮ এপ্রিল। এই টুর্নামেন্টের জন্য জায়গা করে নেওয়া দলগুলো হচ্ছে থাইল্যান্ড (আয়োজক), উত্তর কোরিয়া (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন), ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন, জাপান, উজবেকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডান, বাংলাদেশ, চাইনিজ তাইপে।