বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের উদ্যোগে ৫ দিন ব্যাপী পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ধনিয়ালাপাড়া কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে কর্মসূচির চতুর্থ দিবসে গত ২৭ সেপ্টেম্বর গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী বলেন, তরুণ সমাজের অন্তরে প্রকৃত নবীপ্রেম ও আদর্শ প্রতিফলনের উদ্দেশ্যে বায়তুশ শরফ আঞ্জুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ মহানবী (সা.) এর জীবনচরিতের উপর রচনা প্রতিযোগিতা, ছোটদের অংশগ্রহণে বিশেষ অনুষ্ঠান ও গুণীজন সংবর্ধনার আয়োজন করে আসছে। তিনি বলেন, দেশে জ্ঞানীর সংখ্যা বাড়লেও গুণীর সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। এজন্য গুণীজনের প্রতি সম্মান দেখানো সকলের কর্বব্য। উল্লেখ্য, ইসলামী মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে একটি সুন্দর, সৃজনশীল ও আলোকিত সমাজ গড়তে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই বছর চারজন বিশিষ্ট গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা ও বায়তুশ শরফ স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। তারা হলেন, কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাপরিচালক উবায়দুর রহমান খান নদভী, এফবিসিসিআই‘র সভাপতি মাহবুবুল আলম, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস, ডা. তৈয়ব সিকদার। মাহবুবুল আলমের পক্ষে তাঁর ছোট ভাই চেম্বারের পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর পারভেজ স্বর্ণপদক ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।সংবর্ধিত অতিথি উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, বায়তুশ শরফের পীর–মুর্শীদগণ তাঁদের অসাধারণ প্রজ্ঞা, অতুলনীয় কর্মশক্তি ও চারিত্রিক মাধুর্যতা দ্বারা সমসাময়িক আলেম ওলামাসহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন। তাঁরা বায়তুশ শরফকে দাঁড় করেছেন জাতিভিত্তিক একটি আধ্যাত্মিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রূপে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, অধ্যক্ষ আবু সালেহ মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহ, মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলানা কাজী শিহাব উদ্দিন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।