গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। বাড়তে থাকে সংক্রমণ। মে মাসে ৪৫ শতাংশ ও জুন মাসে ৭৮ শতাংশ নমুনায় মিলেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। বাংলাদেশে বর্তমান কোভিড-১৯ সংক্রমণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সুস্পষ্ট প্রাধান্য দেখছে আইইডিসিআর।
গতকাল রোববার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানায়। দেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিকোয়েন্স করা সব নমুনায় আলফা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। মার্চ মাসের সিকোয়েন্স করা নমুনার ৮২ শতাংশে বিটা ভ্যারিয়েন্ট ও ১৭ শতাংশ নমুনায় আলফা ভ্যারিয়েন্ট মেলে। এপ্রিল মাসেও কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের মধ্যে বিটা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য ছিল। খবর বাংলানিউজের।
জানা যায়, সার্স কোভ-২ ভাইরাসটি ২০১৯ সালে প্রথম শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত অনেকগুলো ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে সংক্রমিতদের মধ্যে ভাইরাসটির ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের জন্য দেশে এ রোগটি শনাক্ত হওয়ার শুরু থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), আইসিডিডিআর,বি ও আইদেশী যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ৬৪৬টি সংগৃহীত কোভিড-১৯ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। এসব নমুনায় আলফা ভ্যারিয়েন্ট (যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত), বিটা ভ্যারিয়েন্ট (দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত), ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (ভারতে প্রথম শনাক্ত), ইটা ভ্যারিয়েন্ট (নাইজেরিয়ায় প্রথম শনাক্ত), বি ১.১.৬১৮ ভ্যারিয়েন্ট (আনআইডেন্টিফায়েড) শনাক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষায় প্রাপ্ত ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কিত তথ্য জিনোম সিকোয়েন্সের বৈশ্বিক ডাটাবেজে জমা দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে ধরনের ভ্যারিয়েন্টই হোক না কেন, তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণই একমাত্র উপায়। এছাড়া ভ্যাকসিন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন।