চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেছেন, নাগরিকদের ভোট দানে আগ্রহী করে তোলাই এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য। নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি সেটা নিজ নিজ জায়গা থেকে পূরণ করতে হবে। ভোট দেয়ার যে প্রচলন, সেটা আমাদের দেশে অনেক প্রাচীন। যখন ভারতবর্ষ ছিল তখন থেকেই ভোট দিয়ে রাজা নির্বাচন করার প্রক্রিয়াটা চলমান রয়েছে। রাজা গোপালকে ভোট দিয়ে এদেশের জনগণ রাজা নির্বাচন করেছিল এবং তিনি প্রায় ৪শ বছর এ জনপদকে শাসন করেছিলেন। গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়ে রাজা নির্বচন করা আমাদের দেশে অনেক পুরোনো সিস্টেম। এ প্রক্রিয়াকে আমাদের পুনঃরুদ্ধার করতে হবে। যে কোনো শর্তে, যে কোনো অবস্থাতেই দেশের মানুষকে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় আয়োজিত জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার পূর্বে সকাল ১০টায় ‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলেমিশে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বেলুন উড়িয়ে ভোটার দিবসের শুভ উদ্বোধন পরবর্তী বর্ণাঢ্য র্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিভাগীয় কমিশনার। চট্টগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ম বারের মত জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিতি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জর অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, সিএমপির অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মাহমুদুল হাসান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা, বিভিন্ন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা–কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে দুপুরের পর থেকে দিনব্যাপী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এনআইডি সেবা প্রদান করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।