দেশের উন্নয়নে মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে

চসিক কলেজ শিক্ষক সমিতির প্রীতি সম্মেলনে মেয়র

| রবিবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে দেশের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পাশাপাশি প্রবাসে থাকা মেধাবী বাংলাদেশিদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

গতকাল শনিবার মেরিন ফিশারিজ একাডেমির হল রুমে চসিক কলেজ শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন মেয়র।

মেয়র বলেন, দেশের বাইরে বসবাসরত আমাদের তরুণ প্রজন্ম উন্নত বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবনী ধারণার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। তাদের এই অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দেশে ফিরে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে। সেজন্য তাঁদের উৎসাহিত করতে হবে যেন তারা বিদেশে শুধু কর্মজীবনে সীমাবদ্ধ না থেকে আধুনিক প্রযুক্তি শেখে, জ্ঞান সঞ্চয় করে এবং সেই জ্ঞান নিজেদের মাটিতে প্রয়োগ করে জাতিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল। সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজিব সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সমিতির প্রতিবেদন পাঠ ও শিক্ষকদের পক্ষে দাবিনামা উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ কর। বক্তব্য দেন, অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জহিরুল কাইয়ুম চৌধুরী, কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক খান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, শিক্ষক নেতা আবুল খায়ের, শরাবান তহুরা, ইঞ্জিনিয়ার প্রবাল রক্ষিত, মেয়রের উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চসিক পরিচালিত কলেজসমূহ থেকে সমপ্রতি অবসরগ্রহণকারী ২২ জন শিক্ষককে বিদায় সম্মাননা দেয়া হয়। সমপ্রতি স্কুল ও কলেজের ২৫২ জন শিক্ষককে স্থায়ীকরণ করায় সমিতির পক্ষ থেকে মেয়রকে ক্রেস্ট ফুল ও শিক্ষকরা সম্মাননা জ্ঞাপন করেন। আলেচনার পর কলেজ শিক্ষকদের পরিবেশনায়, সংগীতশিল্পী শাহরিয়ার খালেদ ও সমপ্রতি নতুনকুৃঁড়ি টেলিভিশন প্রতিযোগিতায় আধুনিক গানে ২য় সেরা হওয়া অপর্ণাচরণের শিক্ষার্থী তুস্মি দাস কর্তৃক গান পরিবশিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভূমি অপরাধ প্রতিরোধে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার
পরবর্তী নিবন্ধমূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে সুস্থধারার সংস্কৃতির বিকাশে পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি