নিউজিল্যান্ডের উইকেট বরাবরই পেসারদের বন্ধু হয়ে থাকে। তাইতো স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিনজন পেসার নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে প্রথম ইনিংস তরুন শরিফুল আগুন ঝরালেও ততটা ভয়ঙ্কর ছিলেন না এবাদত হোসেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে যেন ভিন্ন এক বোলার হিসেবে আবির্ভূত হলেন এই পেসার। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপের ওপর একাই ঝড় বইয়ে দিয়েছেন এবাদত। বিশেষ করে দিনের শেষ সেশনে এক ঘণ্টার স্পেলে ম্যাচটিই বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে এসেছেন তিনি। যেখানে ৭ ওভারে দুই মেইডেনের সাহায্যে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন এবাদত। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার ১৬ ওভারে ৪ মেইডেনের সাহায্যে ৩৯ রানে ৪ উইকেট। যা টেস্ট ক্রিকেটে তার সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। এবাদতের এই বোলিংয়ের কল্যাণেই চতুর্থ দিন শেষে কার্যত ১৭ রানে ৫ উইকেট অবস্থায় রয়েছে নিউজিল্যান্ড।
কেননা প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ছিল ১৩০ রানের। আর চতুর্থ দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৭ রান। ফলে এখন ১৭ রানে এগিয়ে রয়েছে কিউইরা। শেষ দিনে তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি অলআউট করতে পারবে বাংলাদেশ, তত কম লক্ষ্য পাওয়া যাবে তাড়া করার জন্য। তারপরও দারুণ বোলিং করলেও কাজ শেষ মনে করছেন না দিনের নায়ক এবাদত হোসেন। ম্যাচের শেষ দিনে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে প্রত্যয়ী এ ডানহাতি পেসার। গতকালের খেলা শেষে এবাদত বলেছেন, আমরা চেষ্টা করবো শেষ দিনে যেনো দেশকে জিতিয়ে মাঠ থেকে বের হতে পারি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কখনও নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার এসেছে সে সুবর্ণ সুযোগ। আর এই দলটিই যে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়, নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চায় সেই বার্তা মিললো এবাদতের দৃপ্ত কণ্ঠে। এবাদত বলেন নিউজিল্যান্ডে আগে যে ম্যাচগুলো খেলেছি আমরা সেগুলোতে ততটা ভালো করতে পারিনি। কিন্তু এই দলটা চাচ্ছে নতুন কিছু করে দেশের জন্য ভালো কিছু করতে। আগে আমরা ভালো করতে পারিনি। কিন্তু কাউকে না কাউকেতো আমাদের দেশের জন্য ভালো করে শুরু করতে হবে। আমরা এই দলটাই চেষ্টা করছি যাতে আমরা অ্যাওয়ে ম্যাচগুলো জিততে শুরু করতে পারি।