৪ থেকে ৫টি হাতি দুই লক্ষাধিক মানুষের সামনে যেন যমদূত। সন্ধ্যা নামলেই পুরো এলাকায় চলে হাতির মহড়া। ঘরে–বাইরে সাধারণ মানুষ কোথাও নিরাপদে নেই। এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে আনোয়ারা–কর্ণফুলী উপজেলার দেয়াং পাহাড়ের চারপাশে বসবাসকারী দুই লক্ষাধিক সাধারণ মানুষের।
গত ৬ বছরে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে ৩০ জনের বেশি নারী পুরুষ, আহত হয়েছে অর্ধশত, এলাকার ফসলি জমি, বাগান, বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সবখানে আক্রমণ করছে প্রতিনিয়ত। সেই সাথে কোরিয়ান ইপিজেড়ে কর্মরত ৩০ হাজার শ্রমিক–কর্মচারী রয়েছে নিরাপত্তাহীনতায়। নষ্ট করছে কেইপিজেড শিল্প জোনের শত শত একর বাগান ও নানান স্থাপনা। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর হাতি থেকে বাঁচার আকুতি।
দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান করা হাতিগুলো স্থায়ীভাবে অপসারণের জন্য এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে চায়না শিল্পজোন সড়কের বৈরাগ পয়েন্টে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাতির আক্রমণে আনোয়ারা–কর্ণফুলীতে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। স্থানীয়দের বসতঘর, ফসলি জমি কোনো কিছুই রেহাই পাচ্ছে না। আমরা আর হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারাতে চাই না, আমরা বাঁচতে চাই। দেয়াং পাহাড়ে কখনো হাতি ছিল না, ২০১৮ সালের পর ২/৩টা হাতি বাঁশখালী থেকে এসে আবার চলে যেত। কত কয়েক বছরে হাতিগুলো পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে মানুষ হত্যা করছে প্রতিনিয়ত। আমরা আর ক্ষয়ক্ষতি চাই না, আমরা চাই স্থায়ী সমাধান। প্রশাসন ও বনবিভাগের কাছে আমাদের দাবি, হাতিগুলো হাতির আবাসস্থলে নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।