ভারতের হিমালয় অঞ্চলের জোশীমঠ শহরের বহু এলাকা দেবে যাচ্ছে, এতে বসতি এলাকাসহ বিভিন্ন ভবন, মহাসড়ক, অবকাঠামোতে ফাটল তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ শহরটির প্রায় ২০০ বাসিন্দাকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়েছে বলে শনিবার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। জোশীমঠে ও এর আশেপাশে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বড় ধরনের নির্মাণকাজ চলার কারণে শহরটি দেবে যেতে পারে, কয়েক বছর ধরেই বিশেষজ্ঞরা এমন সতর্কতা জানিয়ে আসছিল। চামোলির জেলাহাকিম হিমাংশু খুরানা জানান, সমপ্রতি জোশীমঠের ছয়শরও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ১৯৩ জন বাসিন্দাকে হোটেল ও গেস্ট হাউসসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলি জেলার শহর জোশীমঠ গেটওয়ে অফ গাড়োয়াল নামেও পরিচিত। খবর বিডিনিউজের।
খুরানা বলেন, লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিকরা ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছেন ও পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায় তার উপায় খুঁজছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের যা যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়েই প্রশাসন তাদের সাহায্য করছে। ২০২১ সালে চামোলি জেলায় হড়কা বানে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় এবং দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ভেসে যায়। ওই সময়ই জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতের ওপর এর প্রভাব নিয়ে কাজ করা কিছু বিজ্ঞানী পরিস্থিতি নিয়ে হুঁশিয়ার করেছিলেন। হিমালয় পর্বত অভিযান ও পর্বতারোহণের জন্য প্রতি বছর প্রচুর মানুষ প্রায় ১৭ হাজার বাসিন্দার এই শহরটিতে ভিড় জমান। বদ্রীনাথ ও হেমকুণ্ড সাহিবগামী হিন্দু ও শিখ তীর্থযাত্রীদের গমনপথের অন্যতম প্রধান বিরতিস্থলও এই জোশিমঠ।












