দেখতে দেখতে সন্ধ্যালগ্ন
পুকুর পাড়ে পারিবারিক,
বাবাও দেখতেন ঘুরে ঘুরে
জীবন কী যা বোঝার নিয়েছি বুঝে
আগের পরের বোনা রহস্য ভীষণ চুপ–
তেমন মগ্ন।
এক লহমার বাছুর ছুট্ দৌড়, স্থির খুর পায়ে এখন প্রধান রাস্তায়
সোনালি ধান জমির জলের আয়নায় দ্যাখে মুখ
একটা পোশাক দু’মুঠো ভাতের ক্রন্দন আলমারি বন্দী স্তুূপ
গ্রামভরা ছিল হৈচৈ ঝগড়া ও উৎসবে, সেসব কলরব
বাগান বেদনা সুর নিমিষের আনন্দ দান পাশা উল্টে– এমন ভগ্ন।
মেঘের মতো হেসে ভেসে সময় ঘুরে, পাশে শৈশব মাঠ
অংকুরোদগমন বৃক্ষ পরিণত ফুলে ডালে
ফলে রেখে বীজ বংশগতি ধারা
অস্থিত্ব কাতর মানুষের মতো তরু বন্ধুসভা বিজ্ঞানচিন্তা থেকে
‘ওপারে ভালো থাকিস’– দেয় না স্ট্যাটাস।
একেক বয়সে একেক টান, আসে ঢেউ মৎস্যপাখি
কাছে চলে আসি দূরে সরে যাই
নিজের খাতা নিজের থাকে নিজের কাছে শেখা
ভারি অশ্রুপাত বৃষ্টি নামে– ঢাকা ঘাসে যায় না আর দেখা
এক চিলতে স্বপ্নের মতো অধ্যায়।