রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম সেগুনবাগিচা–নিশ্চিন্তাপুর– মোগলের হাট সড়ক। ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তিতে চলাচল করতো এলাকার মানুষ। বিশেষ করে ইউনিয়নের বৃহত্তর নিশ্চিন্তাপুরের জনসাধারণ চরম ভোগান্তির মধ্যে ছিলো। বার বার টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সড়কটির উন্নয়ন করার চেষ্টা করা হলেও সংস্কার করা যাচ্ছিলো না। অবশেষে তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপির বিশেষ উদ্যোগে এলজিইডির মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দনভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে সড়কটি। এতে কাপ্তাই সড়ক থেকে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে যাওয়ার দৃষ্টিনন্দন বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্বস্তি নেমেছে এলাকাজুড়ে।
গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাপ্তাই সড়কের চন্দ্রঘানা শেখ রাসেল এভিয়ারী পার্ক থেকে মরিয়মনগর ডিসি সড়কের মোগলেরহাট পর্যন্ত এই সড়কটি কার্পেটিং করে উন্নয়ন করা হয়েছে। কয়েক ধাপে সড়কটির উন্নয়ন করায় মানুষ যানবাহন নিয়ে আনায়াসে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে। কাজটির তদারকি করতে সরেজমিনে গিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. দানু মিয়া, ফরিদুজ্জামান মিশু, মঈন উদ্দিন মঈনু, ইউপি সদস্য ফিরোজা বেগম প্রমুখ।
এলজিইডি সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়কটির দৈর্ঘ্য মোট ৮ কিলোমিটার। এরমধ্যে সড়কের আড়াই কিলোমিটার অংশ উন্নয়নের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। যা এক কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হচ্ছে। এরমধ্যে সড়ক টেকসই করতে গাইডওয়াল ও মাটি ভরাটও করা হচ্ছে৷ ৩.৭ মিটার প্রশস্ত করে নির্মাণাধীন সড়কটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এটি জনসাধাণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম। ইউপি চেয়ারম্যান দানু মিয়া জানান, পূর্বে লিচুবাগান– দোভাষী বাজার থেকে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্পটে যেতে অন্তত ১৫ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হতো।
তবে মাত্র ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি নির্মিত হওয়ায় ৭ কিলোমিটার কম পথ পাড়ি দিয়ে দ্রুত সময়ে লোকজন যেতে পারবে। ইতিপূর্বে টেন্ডার হলেও সড়কটির কাজ ফেলে টিকাদাররা বার বার চলে যেতো। তবে তথ্যমন্ত্রীর সহায়তায় সেই জটিলতা নিরসন হলো, উন্নয়নের ধারায় যুক্ত হলো এতদঅঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।