স্কুল–কলেজে টিফিনের সময় শিক্ষার্থীবৃন্দ বা, দুপুরের খাবার বাসা থেকে না এনে চাকরিজীবীরা পাশের ফুটপাত বা সাধারণ দোকানে নাস্তা সেরে নেন। দৃশ্যটি খুবই পরিচিত। এমন অবস্থায় একই গামলা থেকে সকাল–সন্ধ্যা–রাত পর্যন্ত থালা–বাটি ধোয়া হয়, জাস্ট লোক দেখানো। এমনকি পানিও সকাল বা ভোরে একবার আনা হয়। একই বাটি বারবার ব্যবহারের কারণে দুষিত খাবারে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু সংক্রমণ হয়। তবুও টাকা বা সময়ের দুহাই দিয়ে সবাই খাচ্ছে। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিয়মিত খাবার গ্রহণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস–ব্যাকটেরিয়া শরীরে জটিল কঠিন রোগে শরীরকে বিছানায় এলিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত ছাড় দেয় না। যেমন– ছোলা–মুড়ির দোকানে আমাদের নিয়মিত যাতায়াত। ঘরোয়া খাবারের বিপরীতে বাইরে নাস্তা খাওয়ার মানসিক চাপ (হোক তা আর্থিক বা সাময়িক অসুবিধা) লোভ অনেকেই দমন করতে পারেন না। এছাড়া তথাকথিত সস্তার নামে আমরা কী খাচ্ছি! তা বুঝার মতো পর্যাপ্ত ম্যাচিউরিটি আমাদের নেই। খাবার হিসেবে তেল, ভাজাপোড়া, ঝাল, মসলার রসালো ঝাঁঝে আমরা এতটাই বশ হয়ে যাই। নিরাপদ খাদ্য ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের অভাবে আমাদের আয়ু দিনদিন কমে যাচ্ছে। সুস্থ থাকতে হলে সচেতনতার কোনো বিকল্প নাই। আমাদের বোধের জয় হোক। আর কর্তৃপক্ষের কথা কী–বা বলবো। আমরা মাঝে মাঝে ভুলেই যাই এই ‘সাইনবোর্ড সর্বস্ব‘ কর্তৃপক্ষের কথা। তবু আশায় বুক বাঁধি। একদিন এইসব অনিয়মের অবসান হবে। সেই অপেক্ষায়…
শহিদ রাসেল,
চকরিয়া, কক্সবাজার।