খেজুর রস দিয়ে শীত মৌসুমে পিঠা ও পায়েস তৈরির প্রচলন থাকলেও শীতকালীন খেজুর গাছের রস এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। আগের তুলনায় খেজুর গাছ কমে গেছে। যা আছে তাও সঠিকভাবে পরিচর্যা না করা নতুন করে গাছের চারা রোপণ না করা এবং কাছ কাটার পদ্ধতিগত কারণে প্রতিবছর অসংখ্য খেজুর গাছ মারা যাচ্ছে।
এক শ্রেণির অসাধু ইটভাটা ব্যবসায়ী জ্বালানী হিসেবে খেজুর গাছ ব্যবহার করার কারণে ক্রমেই কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। শীত যত তীব্র হয় এই রসের চাহিদা বেড়ে যায়। সে অনুপাতে এখন খুবই কম। রসের সুবিধা স্বাদ পেয়ে খুশীতে মাতোয়ারা হয়ে উঠেন সবাই। ক্রমবর্ধমান মানুষের বাড়ীঘর নির্মাণ আর নির্বিচার গাছ কাটার ফলে ক্রমেই খেজুর গাছের সংখ্যা কমে গেছে।
ফলে মায়ের হাতে বানানো হরেক রকমের পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম আর নেই। কিন্তু কালের বিবর্তনে প্রকৃতি থেকে আজ খেজুরের রস দিয়ে ভেজানো পিঠা খাওয়ার ধুম কমে গেছে। ইট ভাটার মালিকেরা সব কিছু ম্যানেজ করে ধ্বংস করে চলেছে খেজুর গাছ। তাই খেজুর রসের উৎপাদন বাড়াতে হলে টিকিয়ে রাখতে হবে খেজুর গাছের অস্তিত্ব।
এম এ গফুর
বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ
পশ্চিম পাড়,
কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।