করোনার কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ফুটবলাররা। ফিটনেস নিয়ে ছিল সবচাইতে বড় শংকা। তার অল্প কয়দিনের অনুশীলন করে মাঠে নামতে হয়েছে ফুটবলারদের। দশ মাস পর কোন প্রতিযোগিতামুলক ফুটবল খেলা হয়নি। প্রতিপক্ষ আবার সেই নেপাল। যাদের বিপক্ষে গত পাঁচ বছর জিতা সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে যেন জুজুর ভয় পেয়ে বসেছিল বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের। তবে সব শংকাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ফিরল ফুটবলে। দুর্দান্ত জয় দিয়ে ফুটবলে ফেরাটাকে উদযাপন করল জেমি ডে এর শিষ্যরা। নেপালকে হারানোর নেশায় যেস ফুসছিলেন জামাল ভুইয়ারা। শেষ পর্যন্ত চরম প্রতিশোধ নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছরের জয়ের খরা কাটাল বাংলাদেশ দল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথম প্রীতি ম্যাচে নেপাল হেরেছে ২-০ গোলে। খেলার দুই অর্ধে দুটি গোল হয়েছে।
প্রথমার্ধে নাবীব নেওয়াজ জীবন দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন বদলি নামা মাহবুবুর রহমান সুফিল। নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ রাঙিয়ে রাখল ফেরার দিনটি। শুরু থেকেই আক্রমণের ধারাবাহিকতায় নবম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রোয়ের পর ডি-বক্সের জটলার মধ্যে বল পেয়েও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি তপু বর্মন। তবে এক মিনিট পরই সমর্থকদের আনন্দে ভাসায় স্বাগতিকরা। নাবীব নেওয়াজ জীবনের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সাদ উদ্দিন দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল বাড়ান গোলমুখে। নিখুঁত স্লাইডে জাল খুঁজে নেন জীবন। এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে একাদশে একাধিক পরিবর্তন এনে মাঠে নামলেও স্বাগতিকদের আক্রমণে প্রথমার্ধের ঝাঁজ ছিল না মোটেও। এরমাঝেও ৭৫ মিনিটে তপু বর্মনের ফ্রি-কিক গোলরক্ষক কিরণ কুমার লাবু ফিস্ট করে রক্ষা করেন। ৮০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। এবার গোলদাতাসুফিল। সোহেলের বাড়ানো বল ধরে মাঝ মাঠের একটু ওপর থেকে আক্রমণে ওঠা সুফিল বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। একেবারে ঠান্ডা মাথায় দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। ম্যাচের বাকি সময়টা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ এসএ গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রতিযোগিতায়ও তাদের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ । হারের বৃত্ত থেকে অবশেষে বেরিয়ে এলো জেমি ডের দল। আগামী মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।