দুরন্ত অষ্টাদশ : প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছেও যৌবনের উচ্ছ্বাস

তাহেরা বেগম | বুধবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

তোমায় নিয়ে সাগর পাহাড়, দূর জঙ্গল দৌড়ে গেলাম, সাগর অতল ছোঁয়া হলো না, পাহাড় শীর্ষে বুক ভরে শ্বাস নেয়া হলো না। প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্র্যের লীলাভূমি রাঙামাটি। সবুজ পাহাড়ে মোড়া নীল আকাশের নিচে যেনো সবুজ কার্পেট বিছানো। গত ১০১১ জানুয়ারি হয়ে গেলো চ,বি ১৮ ব্যাচের বন্ধুদের পারিবারিক মিলন মেলা। বন্ধুরা দূর দূরান্ত থেকে এসে যোগ দিয়েছেন এই মিলন মেলায়। প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছেও যৌবন বেলার বুকের ভেতর সযত্নে লালন করা নীরব ব্যথা, না বলা কথা যেনো প্রকাশ পেয়েছে তাদের উচ্ছ্বাসে। বন্ধুত্বের দাবি নিয়ে সুদুর কোরিয়া, আমেরিকা, ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট নোয়াখালী খুলনা থেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন বন্ধুরা।

মিলন মেলার স্থান ছিল রাঙ্গামাটি ‘পলওয়েল পার্ক’। দুটি দিন যেনো স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকবে সবার হৃদয়ে। কখনোই হারিয়ে যেতে দেবে না কালের নির্মম গহ্বরে। হোটেল সোনার বাংলা, রাজমহল, পর্যটন মোটেলে সব মিলিয়ে তিন শতাধিক বন্ধু মিলিত হয়েছে। সুন্দর আয়োজন, চমৎকার ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়েছিল দুটি দিন। বন্ধু হারুন, বন্ধু তৃশীতা সহ আয়োজক বন্ধুদের কঠোর পরিশ্রম ভুলবার নয়। বন্ধু হারুনের ছিল মাছির চোখ। যা আয়োজনকে আরো ত্রুটিমুক্ত করেছে। উনি একাই একশ। রাতের আয়োজনে ছিল স্মৃতিচারণ, বন্ধু ও বন্ধু পরিবারের সন্তানদের সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা। যেটা ছিল অতুলনীয়। এই মধ্য বয়সে এসে এত সুন্দর গলায় সঙ্গীত পরিবেশন করা ছিলো অতুলনীয়। গানের তাল তালে নৃত্যেও মাতিয়েছে বন্ধুরা। বন্ধু শুভ্রা আর বীনার উপস্থাপনা ছিলো আবেগময়। গতবারের মতো এবারও আমি একটা আবৃত্তি করলাম। অনেক করতালিও পেলাম। পরের দিন সকাল নটায় ছিলো নৌকা ভ্রমণ। পলওয়েল পার্ক থেকে শুভলং। দুটো নৌকায় এক তলা দোতলা ভরে ছিল বন্ধুদের সরব পদচারণা। গানে নৃত্যে তারা ফিরে গিয়েছিল নব যৌবনে। খাবারের আয়োজনও ছিলো অপূর্ব। হাঁস, মুরগি, খাসি, মাছ, সীমের বিচি, জর্দা, ড্রিংকস কিছুই বাদ পরেনি। সবশেষে দুপুর তিনটায় আমরা কোলাহলমুক্ত পরিবেশ ছেড়ে আবার আমাদের কোলাহলপূর্ণ নিরানন্দ ময় জীবনে ফিরে আসলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদৃষ্টির দীর্ঘশ্বাস
পরবর্তী নিবন্ধশিশুর মনে সংকীর্ণতা দূরীকরণে পিতামাতা ও শিক্ষকের ভূমিকা