কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালীতে দুই পক্ষের মধ্যে ৬৫ কড়া জমি নিয়ে বিরোধের সালিশ চলাকালে সংঘাতের সময় জয়নাল আবেদীন বদন নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা ও অপর তিন ভাইসহ চারজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার দুদিন পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহতের বড় ভাই আবদুল কাদের মানিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ১১ জনকে। তারা হলেন বদরখালী ইউনিয়নের খালকাঁচা পাড়ার আবদুল জলিলের দুই ছেলে মোহাম্মদ সাগর ও আবদুল মান্নান ছোটন, রুহুল আমিনের ছেলে মো. রাজীব, কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত রহিম দাদের ছেলে মো. দিদার, খালকাঁচা পাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে কামাল উদ্দিন, মৃত গুরা মিয়ার ছেলে আবদুল জলিল, আসহাব মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন, আবদুল জলিলের ছেলে মো. রুবেল, আবদুল জলিলের স্ত্রী শহর বানু, কামাল উদ্দিনের স্ত্রী সাজেদা বেগম ও আবদুল জলিলের কন্যা শাকিলা আক্তার। এর মধ্যে আসামি সাগর ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হন। তিনি পুলিশ পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে খালকাঁচা পাড়ায় অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয় সাগরকে। এই ঘটনায় থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম সারোয়ার বাদী হয়ে সাগর, আবদুল মান্নান ছোটন ও মো. রাজীবের নাম উল্লেখ এবং আরো চারজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা করে।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির কার্যালয়ে বিরোধীয় জমি নিয়ে বাদী–বিবাদীর উপস্থিতিতে সালিশ চলছিল। এ সময় কার্যালয়ের বাইরে প্রতিপক্ষের হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল আবেদীন বদর ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার আবদুস ছোবহানের পুত্র।
চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দেওয়ার পর তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। ইতোমধ্যে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে চমেক হাসপাতালে পুলিশের পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযানে গেলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরো একটি মামলা রুজু করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।












