দুদিন আগে দলগত জিমন্যাস্টিকসে ওসানার পদক জিতেছিলেন বাইলস। টোকিও অলিম্পিকের দুঃস্বপ্ন মাটি চাপা দিয়ে প্যারিসে এসে পান প্রথম সাফল্যের স্বাদ। এবার সে আনন্দকে দ্বিগুণ করলেন এই মার্কিন তরুণী। জিমনেস্টিক্সের সোনার পদক জয়ের লড়াইয়ে ব্রাজিলিয়ান জিমন্যাস্ট শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেননি যুক্তরাষ্ট্রের সিমোন বাইলসের সাথে। আর তাতে জিমন্যাস্টিক্সে আবারও সোনার হাসি হাসলেন বাইলস। লড়াইটা যখন চলছিল তখন রে–বে–কা, রে–বে–কা’ চিৎকার করে ব্রাজিলিয়ান জিমন্যাস্টকে নিয়ে তাদের সমর্থকরা এই স্লোাগানে গ্যালারি মাতিয়েছিলেন। কিন্তু সিমোন বাইলসের বিপক্ষে পেরে উঠেননি রেবেকা আন্দ্রেদে। প্যারিস অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিকস ইভেন্টে আবারও সোনার হাসি হেসেছেন বাইলসই। সেই সুর এবার বাইলস টেনে নিলেন অল–অ্যারাউন্ড ইভেন্টে। ৫৯ দশমিক ১৩১ স্কোর গড়ে হাসলেন বিজয়ীর হাসি। এ নিয়ে চলতি অলিম্পিকে দুটি সোনার পদক জিতলেন তিনি। সব মিলিয়ে অলিম্পিকে তার সোনার পদক দাঁড়াল ৬টি। রিও ডি জেনেরি অলিম্পিকে ৪টি সোনা জিতেছিলেন এই গ্রেট জিমন্যাস্ট।
শুধু তাই নয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অবিশ্বাস্যভাবে ২৩টি সোনা জয়ের কীর্তি রয়েছে তার। অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে তার মোট পদক এখন ৩৯টি। যা একজন জিমনেস্টের ক্যারিয়ারে ঈর্ষণীয় সাফল্য। এমন সাফল্যের অধিকারী এখন মার্কিন তরুণী বাইলস। ২৭ বছর বয়সী এই মার্কিন জিমন্যাস্ট আরেকটি পাতায় নিজের নাম তুলেছেন। আর তা হচ্ছে তৃতীয় অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকের অল–অ্যারাউন্ড ইভেন্টে দুটি সোনা জিতে তিনি বসেছেন ভেরা কাসলাভস্কা ও লারিসা লাতিনিনার পাশে। অবশ্য ভেরা ও লাসিরা ব্যাক–টু ব্যাক অলিম্পিকের আসরে দুটি সোনার পদক জিতেছিলেন। আর সেখানে বাইলস জিতলেন এক আসর পর। রিও ডি জেনেরির অলিম্পিক মাতানোর পর টোকিওতে এসে দলগত ইভেন্টে ভল্টে এসে দিশেহারা হয়ে শেষ পর্যন্ত হতাশায় নিজেকে আসর থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বাইলস। সেই হতাশার স্রোত পেরিয়ে প্যারিসে এসে আলো ছড়াচ্ছেন তিনি । ব্রাজিলের রেবেকা ৫৭ দশমিক ৯৩২ স্কোর নিয়ে রুপা ও বাইলসের স্বদেশি সুনিসা লি ৫৬ দশমিক ৪৬৫ স্কোর গড়ে জিতেছেন ব্রোঞ্জ পদক।